আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের মুসলমানিত্বের মোজেজা এবং কামড়া-কামড়ির রকমফের?

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত।

সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েমের অর্থ আছে কি? জ্বী আছে, কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব হবে? আসলে হুজুররা যেইভাবে সহজভাবে বলেন, সেইভাবে কি সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েম করা সম্ভব, অন্তত বর্তমানের এই চরম ইসলামবিরোধী পরিবেশে? নাহ, সম্ভব নয় যদি না চার খলিফার মতোন ইসলামী সমাজব্যবস্থা কায়েম থাকে!! যে সমাজে বিদেশ হইতে চড়া সুদে আমদানিকৃত সকল কিছু যেমনঃ আপনার পরিহিত জুব্বা-কোর্তার কাপড়, খাদ্য-বস্থু, ব্যবহৃত ও ভোগ্য জিনিসপত্র এমনকি মাদ্রাসায় প্রাপ্ত বেতনের সহিত সুদ-ঘুষের সম্পর্ক রহিয়াছে এবং কুরআন নির্দেশিতমতে আপনার পর্দা রক্ষা করা আদৌ সম্ভবপর নহে, যেইখানে অসহায় ধর্ষিতাদের আপনি ইসলামী বিধানে সুরক্ষা দিতে ১০০% ব্যর্থ এবং ধর্ষক, চোর-ডাকাত, সরকারী-বেসরকারী লুটেরাদের, জুয়াড়ু-মদারুদের আপনি শাস্তি দিতে অক্ষম; সেইখানে কী করিয়া আপনি আপনার সাড়ে তিনহাত বডিতে ইসলাম ধারণ করিবেন, তাহাতো আমার মতোন কম শিক্ষিত বান্দার বুঝেই আসিতেছে না। আমাদের নোংরা-পচা সমুদ্রসদৃশ এই সমাজে বা বিষাক্ত বাতাসে নিজের শরীর ডুবাইয়া রাখিয়া বা নাপাক পানিতে অজু করিয়া আপনি কিভাবে বলিতে পারেন যে, আপনি পাক-পবিত্র আছেন এবং আপনার শরীরে হারাম খাদ্য ঢুকিয়া যায় নাই, আপনার পর্দা আপনি রক্ষা করিতে পাইতেছেন? আপনার ইবাদত-বন্দেগী সঠিক হইতেছে কিনা, আপনার আমার মতোন দায়িত্ব-জ্ঞানহীনের প্রার্থনা মহান বিবেচক আল্লাহর কাছে কবুলই হইতেছে কিনা--সেইটাই আগে ভাবিবার বিষয়। তাহার পরেই না আপনি অন্যের খুঁত ধরা কিংবা অন্য ইসলাম্পন্থীদের সমালোচনার জাবর কাটিতে পারেন মাত্র!! আপনার শরীরে হারাম বস্তু আছে কিনা, আপনার পোশাক পবিত্র কিনা, আপনার ক্রয়করা জায়নামাজ নির্ভেজাল কিনা, আপনার খাদ্য হালাল কিনা, আপনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ করিতেছেন কিনা, চার খলিফার মতোন আপনিও আল্লাহর আইনমতে ''আকিমুদ্দিন'' মানে সমাজ-রাষ্ট্র হইতে সকল খারাবী দূর করিয়া ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করিতেছেন কিনা--পরকালে মুক্তির জন্য ইহাই হইলো আসল বিবেচ্য বিষয়। কেননা হাদীসে এমন কথাও লিখা আছে যে, ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের চিন্তা ব্যতীত যে মৃত্যুবরন করিলো তাহার মরণ হইলো জাহিলিয়াতের মৃত্যু। এখন ভাবুন--আমরা কেমন মুসলিম হিসাবে বড়াই করিয়া যাইতেছি!! সুতরাং কাঁদার ভিতরের পিচ্ছিল গছিমাছ হইলেই পবিত্রতার দোহাই দিয়া আমরা পরকালে রক্ষা পাইবোনা।। (ধারাবাহিক) পূর্বের অংশ পড়িতে ভুলিবেন না- ক্লিক করুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।