আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের মুসলমানিত্বের মোজেজা এবং কামড়া-কামড়ির রকমফের-৩

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত।

বাংলাদেশী ইসলামী বলিয়া কিছু আছে কি? বাংলাদেশের বিভক্ত আলিম-উলামাদের কথা বাদ রাখিলে তাহাদের অনুসরণকারী সাধারণ মুসলিমগণ এতোটাই বিভ্রান্ত যে, একদিকে হাজার রকমের পীর আর শত শত মাজারের বাহার, ওরস শরীফ, ফাতিহা শরীফ, চল্লিশা, চিল্লা, মিলাদ শরীফসহ কতো যে শরীফ (মানে পবিত্র) কাজ-কারবার চলিতেছে, কোনটা ইসলামসম্মত, কোনটা ইসলামের নামে বাংলাদেশী প্রডাক্ট বা বাংলাদেশী ইসলাম--তাহা বুঝিবার সাধ্য অন্তত তাহাদের নাই? আমার মতোন সাধারণ মানুষও সরাসরি বিভিন্ন ভাষায় কুরআন-হাদিস ও ইসলামী পুস্তক পড়িয়া এইসবের সমর্থনে কিছুই খুঁজিয়া পাই নাই। তাই আমার কাছে মনে হইয়াছে--ইসলামের নামে এইসবই কেবল ভারত উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশের মনগড়া ইসলাম।

ইসলামের হাজার হাজার ফরজ-ওয়াজিব, সুন্নত-মুস্তাহাব বাদ দিয়া এইসব কী চলিতেছে--তাহা ভাবিয়া আমি কুল-কিনারাও পাইনা। নবী-সাহাবীদের সুস্পষ্ট ইতিহাস এবং আদর্শ-কর্ম আমাদের নখদর্পণে থাকিবার পরও এইসব কী প্রমাণহীন বিষয় লইয়া আমরা কেনো বিভক্ত হইয়া পড়তেছি। আবার সবপন্থীরাই আলাদা আলদাভাবে কতো যে বই লিখিয়াছেন তাহাদের দাবীর সমর্থনে, তাহার ইয়ত্তাও নাই। কুরআন-হাদিস সম্পর্কে লিখা বাদ দিয়া কেহ পীরের পক্ষে, আবার কেহ সহীপীর বা ভণ্ডপী্‌র, কেহবা নিজেদের পীরের পক্ষেই কলম চালাইয়া আমাদের চরম বিভ্রান্ত করিতেছেন। অথচ উপমহাদেশের বাহিরে অন্য দেশের ইসলামী লিখকদের বই-পুস্তকের মধ্যে বাংলাদেশীদের লিখিত উল্লিখিত তথাকথিত ইসলামী বইয়ে তাহাদের দাবীর পক্ষে আমি কিছুই খুঁজিয়া পাই নাই।

তাই এতোসব বানোয়াট বিদয়াত দেখিয়া-শুনিয়া আমার মনে হইয়াছে---আমরা যেনো আসল ইসলাম ছাড়িয়া বাংলাদেশী এক আলাদা ইসলাম এবং মুসলিমত্ব চালু করিয়া দিয়াছি। নামাজের নিয়তের নামে রচিত যত বানোয়াট ও জটিল নিয়ত!! যেমন ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই--যখন এদেশের নামাজ শিক্ষা বইগুলো পড়িয়াছি এবং নামাজের নিয়তের নামে চাররাকাত, তিনরাকাত বা দুইরাকাত হইলে কী পড়িতে হইবে অথবা ফরজ বা সুন্নত বা ওয়াজিব নামাজ হইলে কী বলিতে হইবে বা যখন যে ওয়াক্ত তাহার নাম কোথায় পড়িতে হইবে কিংবা একাই পড়িতে নামাজে কী নিয়ত আর ইমামের পিছনে পড়িলে কী নিয়ত করিতে হইবে, এইসব দেখিয়া বিভ্রান্ত হইতাম। আবার মনে প্রশ্ন জাগিতো যে, ইন্নামাল আ'মালু বিন্নিয়াত মানে কর্মের ফল নিয়তের ওপরেই নির্ভরশীল হইলে নিয়ত করা তো জরুরিই হবে! কিন্তু তাহা মুখে মুখে বলিতে হইবে কেনো--নিয়ততো মুখের বিষয় নহে বরং অন্তরের বিষয়, তখন ভীষণ খটকা লাগিতো এবং বিষয়টা বেশ জটিল ও কঠিন মনে হইতো শুধু নহে বিশ্বাসযোগ্যও মনে হইতো না। নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া---বলিবার পর একজন আরবী পণ্ডিতের ন্যায় ব্যাকরণবিদ না হইলে এইসব বিষয় শিক্ষিত মানুষের পক্ষে চোখ বুঝিয়া মুখস্থ করা সম্ভব হইলেও নিরক্ষর-অর্ধশিক্ষিত মানুষের পক্ষে তাহা কি রপ্ত করা আদৌ সম্ভবপর?? আমার বৃদ্ধ ও নিরক্ষর মাকে নামাজ শিখাইতে গিয়াই নিয়তের গদবাধা বিষয়টা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হইতে লাগিলো। তাই হাদিস ঘাঁটিয়া দেখিলাম-এমন কোন মৌখিক নিয়তের কথা কোথাও নাই বরং অন্তরের নিয়তের কথাই জরুরি বলা হইয়াছে।

বুঝিলাম-- এইসব আমাদের আলেমসমাজের মস্তিষ্কপ্রসূত বানোয়াট নিয়ত, যাহা নতুন নামাজীদের জন্য নামাজ শিক্ষাকেই কঠিন করিয়া তুলিয়াছে মাত্র। এমন হাজার রকম উদাহরণ দেওয়া যাইবে--যাহা আমাদের আলিমসমাজের বানানো বিষয়, তাহার মধ্যে জুম্মার নামাজের খুতবাহও একটি ব্যাপার! অথচ খুতবাহ অর্থই হইলো ভাষণ বা বক্তৃতা, যাহা হইবে কুরআন-হাদিসের সংমিশ্রণে সময়োপযোগী আলোচনা, যাহার মাধ্যমে মুসল্লিগণ ইসলামী স্প্রিটে চার্জ হইয়া বাসায় ফিরিয়া যাইবে এবং ঈমানের দায়িত্বপালনে আরো তৎপর হইবে যেমন নবী সাঃ এবং সাহাবীদের বেলায় ঘটিয়াছে। (ধা্রাবাহিক)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।