আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু


জেলার উপজেলার সর্বত্রই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিকের ব্যবহার দিনকে দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। এলাকার চায়ের দোকান আর ওয়েল্ডিং দোকানগুলোতে দেদারছে চলছে শিশু শ্রমিকের ব্যবহার। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নয়নমুখি কিছু কর্মসূচির কথা বলা হলেও শিশুশ্রম বন্ধে কোনো প্রতিষ্ঠানেরই যেন নেই কোনো মাথা ব্যথা। নেই কোনো আইনি পদক্ষেপ। শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে অল্প বয়সী এসব শিশুরা অমানবিক পরিশ্রম করছে।

শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর আইন থাকলেও তার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না থাকায় শিশুশশ্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, শিশুশ্রম বন্ধে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে জোরালোভাবে তা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে তাদের সচেতন করতে সরকারিভাবে নোটিশ জারি করতে হবে। আর এনজিও সংস্থাগুলোকেও ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব শিশুদের নিয়েও কাজ করতে হবে। উপজেলায় কি পরিমাণ শিশুশ্রমিক কাজ করছে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তার সঠিক হিসেব না থাকলেও প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু শ্রমিক রয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা।

এসব শিশুকে শ্রমে নিয়োগের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিতে শিশুদের শ্রমে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশুদের কাজ করার জন্য অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে সেসব শর্তের সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ওয়েল্ডিঙের দোকানগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে। কর্মঘণ্টা এবং দৈনিক কর্মতালিকার কোনো বালাই নেই সেখানে।

সপ্তায় একদিন ছুটির ব্যবস্থা থাকলেও চাকরিচ্যুত করার আগে কোনো নোটিশ দেয়া হয় না। এছাড়া কর্মস্থলে তারা প্রতিনিয়তই বড়দের দ্বারা নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তারা জানে না শিশুশ্রম নীতি কী। জাতীয় শিশুশ্রম নীতি-২০১১ অনুসারে ৫ থেকে ১৮ বছরের শিশু কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুশ্রম দণ্ডনীয় অপরাধ।

কিন্তু এ আইন শুধু কাগজে-কলমেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শ্রমে নিয়োজিত অধিকাংশ শিশু মানসিক ও শারীরিকসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিশুশ্রম বন্ধ করা অনেক কঠিন কাজ। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে এসব শিশুকে আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়।

শ্রম বন্ধ করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারলে আমরা একটি সুস্থ জাতি হারাবো। কারণ শিশুদের দিয়ে ওয়েল্ডিঙের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করালে তাদের চোখের সমস্যা দেখা দেবে এবং অল্প বয়সেই বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জেলার উপজেলার সর্বত্রই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিকের ব্যবহার দিনকে দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। এলাকার চায়ের দোকান আর ওয়েল্ডিং দোকানগুলোতে দেদারছে চলছে শিশু শ্রমিকের ব্যবহার।

সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নয়নমুখি কিছু কর্মসূচির কথা বলা হলেও শিশুশ্রম বন্ধে কোনো প্রতিষ্ঠানেরই যেন নেই কোনো মাথা ব্যথা। নেই কোনো আইনি পদক্ষেপ। শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে অল্প বয়সী এসব শিশুরা অমানবিক পরিশ্রম করছে। শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর আইন থাকলেও তার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না থাকায় শিশুশশ্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, শিশুশ্রম বন্ধে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে জোরালোভাবে তা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

যারা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে তাদের সচেতন করতে সরকারিভাবে নোটিশ জারি করতে হবে। আর এনজিও সংস্থাগুলোকেও ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব শিশুদের নিয়েও কাজ করতে হবে। উপজেলায় কি পরিমাণ শিশুশ্রমিক কাজ করছে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তার সঠিক হিসেব না থাকলেও প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু শ্রমিক রয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা। এসব শিশুকে শ্রমে নিয়োগের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিতে শিশুদের শ্রমে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সেক্ষেত্রে শিশুদের কাজ করার জন্য অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে সেসব শর্তের সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ওয়েল্ডিঙের দোকানগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে। কর্মঘণ্টা এবং দৈনিক কর্মতালিকার কোনো বালাই নেই সেখানে। সপ্তায় একদিন ছুটির ব্যবস্থা থাকলেও চাকরিচ্যুত করার আগে কোনো নোটিশ দেয়া হয় না। এছাড়া কর্মস্থলে তারা প্রতিনিয়তই বড়দের দ্বারা নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

তারা জানে না শিশুশ্রম নীতি কী। জাতীয় শিশুশ্রম নীতি-২০১১ অনুসারে ৫ থেকে ১৮ বছরের শিশু কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুশ্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন শুধু কাগজে-কলমেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শ্রমে নিয়োজিত অধিকাংশ শিশু মানসিক ও শারীরিকসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিশুশ্রম বন্ধ করা অনেক কঠিন কাজ। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে এসব শিশুকে আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। শ্রম বন্ধ করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারলে আমরা একটি সুস্থ জাতি হারাবো।

কারণ শিশুদের দিয়ে ওয়েল্ডিঙের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করালে তাদের চোখের সমস্যা দেখা দেবে এবং অল্প বয়সেই বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.