তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি
আশির দশকে আমাদের ধর্মীয় পন্ডিতদের মাঝে টিভি চ্যানেলে ধর্মীয অনুষ্ঠান করা যাবে কী যাবে না এমন একটা বিতর্ক প্রায়ই শুনতাম। আজও ওনাদের মাঝে এ নিয়ে যে কমবেশী বিতর্ক নাই তা বলা যাবে না। তবে অনুষ্ঠান করার পক্ষের শক্তিটি ইতোমধ্যেই এতোটা শক্তিশালী হয়েছে যে, যারা এর বিরোধীতা করেন তাদের শব্দের মাত্রা সাধারণ শ্রবনসীমার নিম্নেই চলে গেছে বলতে হবে। আমাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা এখন মিডিয়া দখল করতে খুবই উদগ্রীব। এর পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ধর্মীয় প্রচার কিংবা অনারিয়ামের বিষয়টি জড়িত বলে সমালোচকেরা বলে থাকেন।
আমি অবশ্য এ ধরণের অনুষ্ঠানের বিরোধী নই। কারণ নিজের মত প্রচারের অধিকার সবারই আছে। তবে যে বিষয়টা আমাকে ভাবায় তা হচ্ছে ধর্মের অথবা আমাদের পন্ডিতদের স্ববিরোধীতা।
এ বিষয়ে উল্লেখ করা যায় আজকাল এই ধর্মীয় আলোচনা একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মহিলাদেরকেও ধর্মীয় আলোচনা বা তফসীরে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
ধর্মে মহিলাদের মাথার চুল থেকে পা অবধি পুরুষের মাঝে কামভাব জাগায় বিধায় তা সঠিকভাবে আচ্ছাদিত করার বিধান আছে। তাছাড়া তাদের-কে নিচুস্বরে কথা বলার জন্য বলা আছে। কিন্তু যারা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পর্দায় তাদের সুন্দর অবয়বটি খুব ভালোভাবেই ধরা পড়ে। তাছাড়া নীচুস্বরে কথা বলার প্রসঙ্গটি আসলে বলা যায় এটিএন বাংলার এক বিশেষ মহিলা তফসীরকারকের কথা বলার যে ভঙ্গি এবং স্বর তা সাধারণ কোনো মহিলারও আচরণকেও হার মানাবে। তাদের এইভাবে টিভি চ্যানেলে আগমন ও বিচরণ কতোটা ইসলাম সম্মত।
এখানে কী ধর্মীয় বিধানের লংঘন হচ্ছে না।
বিঃদ্রঃ একজন নারী পুরুষের মতই সব সুবিধা পাবে এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে--- ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাই বিশ্বাস করি। আমি শুধু ধর্মীয় বিধির আলোকে ধর্মীয় পন্ডিতদের স্ববিরোধী আচরণকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।