আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতের শিশুরা বাংলাদেশীদের ভয় পায়



১৬ ফেব্রুয়ারী ভারতের পক্ষ থেকে ত্রান হস্তান্তর করতে মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সাথে একটি টিম বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ টিমটি যাবে বেনাপোলের কাস্টমস হাউজে। দ্রুত এসে আমি আমার গাড়িতে উঠলাম। ভারত থেকে আসা অতিথিদের মধ্যে ৭/৮ জনের একটি দল কোন গাড়িতে জায়গা না পেয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। তাদের মধ্য থেকে মধ্যবয়সি এক মহিলা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল , দাদা গাড়িতে কি জায়গা হবে।

আমি তাদের গাড়িতে উঠার জন্য হাঁ সুচক সম্মিত দিলাম। অমনি হুড় হুড় করে তারা গাড়িতে উঠে পড়ল। এরপর শুরু হলো তাদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস। এদের মধ্যে একজন বলে ফেলেলা এই আমরা সত্যি সত্যি বাংলাদেশে এসে গেছি। তাদের উচ্ছাস দেখে আমার ভালোই লাগিছল।

কারন মাত্র ৪০ ফিটের নো-ম্যান্স ল্যান্ড পার হলে কেউ এত খুশি হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। কিন্তু এ ভালোলাগাটা বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। গাড়িতে থাকা ৫ বছরের একটি মেয়ে যখন বলল মা কখন বাড়ি যাবো। দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে নইলে গুলি মারে যদি। ভারতের ছোট্র একটা শিশুর কাছে আমরা কতটা বিভিষিকাময় তা ঐ মুহুর্তে বুঝতে পারলাম।

এ ব্যর্থতা শুধুই আমাদের । কেননা আমরা আমাদের সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.