আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের কোণঠাসা অবস্থা!

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

লেখাটি লিখেছিলাম "ইনফরমেশন গ্রুপ"এর জন্য, কিন্তু নিজস্ব ব্লগে তো থাকছেই, তাই প্রথম পাতায়ও দিলাম। "ফজলে এলাহি" ব্লগে লেখার জন্য ইদানিং সুযোগই করে উঠতে পারছি না। বিভিন্ন ব্যস্ততা সামনে এসে দাঁড়ায়, ভাবি এটা করবো, ওটা করবো, অবশেষে দেখি খুব সামান্য ছাড়া তেমন কিছুই হয়ে উঠেনি যাইহোক, এই গ্রুপে যোগদেয়ার পর থেকে আসা হয়ে উঠেনি। তাই ভাবলাম খুব নিকটের কিছু তথ্য দেই। সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে দূর্নীতি ও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর দায়ে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার জরীপ অনুযায়ী বাংলাদেশীরা পেয়েছে শীর্ষস্থান , তারপর মিসরীরা এবং তারপর পাকিস্তানীরা।

তাই এখন বাংলাদেশীরা ঢালাওভাবে উপহাস-তিরস্কারের শিকার হচ্ছে। ছোট ভাই ছুটিতে যাওয়ার আয়োজন করছিল, কিন্তু চারদিক থেকে লোকমুখে শোনা খবর আসছিল যে, বাংলাদেশীদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে 'এক্সিট রিএন্ট্রি'-এর পরিবর্তে 'ফাইনাল এক্সিট' দিয়ে দিচ্ছে। শংকিত হয়ে অবশেষে সে ইয়ানবো এয়ারপোর্টে গিয়ে কাস্টম অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করে। তাতে জানা যায় যে, রিয়াদে সংঘটিত বাংলাদেশীদের সন্ত্রাসী ও হাইজাকের পর ধর্ষণ কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদশাহ্ আব্দুল্লাহ্ সেদিনের জন্য আদেশ করে যে, সেদিন যত বাংলাদেশী ছুটিতে যাচ্ছে তাদের সবাইকে যেন 'ফাইনাল এক্সিট' দিয়ে দেয়া হয়। এরপরদিন থেকে আর সে আদেশ কার্যকর ছিল না।

দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপার হলো, সেদিন মদীনা ইউনিভার্সিটির ছাত্র বন্ধুটি বাসায় এসে দুঃখ করে সদ্য দেখে আসা একটি ঘটনা উল্লেখ করল। সৌদি আরবে গাড়ী ধোয়ার কাজটি সাধারণত বাংলাদেশীরাই করে থাকে। ভার্সিটির কোন শিক্ষক, কিংবা কর্মকর্তা অথবা ছাত্রদের কেউ তার গাড়িটি ধোয়ার জন্য দিল এক বাংলাদেশী কর্মচারীকে। সে ধোয়া শেষ করে গাড়ির চাবি চাইতে গেল, কেননা, গাড়ির ভেতরেও অনেক সময় পরিস্কার করে দেয় লোকেরা, আর গাড়িওয়ালারাও বিশ্বাস করে চাবি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশী গাড়িধোয়া লোকটি চাবি পেয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটলো, জানা যায়নি কেন? সে গাড়ি চালাতেও তেমন পারে না, কেননা, ভার্সিটির গেইটের কাছাকাছি এসে রীতিমত এক্সেডেন্ট করে বসলো।

তারপর আর কি ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ যারাই আশপাশে ছিল, সবাই এল এবং দেখতে পেল যে, একজন বাংলাদেশী গাড়িধোয়া কর্মচারী গাড়িটি নিয়ে পালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করলো। এখন কথা হলো যতই আমরা বলতে চাইবো যে, সে গাড়ি চালাতে পারে কিনা চালিয়ে সেটা দেখতে চাইছিল, বর্তমানের এ নাজুক পরিস্থিতিতে কেউ তা বিশ্বাস করবে না। সবার মুখে মুখে এটাই রটে যাবে যে, বাংলাদেশী গাড়িধোয়া লোকেরাও গাড়ি চুরি করছে! ভার্সিটির ছাত্রদেরকে অনান্যদেশীরা ও শিক্ষকরা সবাই ভদ্র বলেই জানতো, এখন মুখে কিছু না বললেও দৃষ্টিতে কিছুটা হলেও বক্রতা আনতে বাধ্য হবেন তারা! দেশের মাটিতে আমাদের দূর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, হাইজাক, ধর্ষণ তো আকাশছোঁয়া, এবার কি বিদেশের মাটি থেকেও আমরা লাঞ্ছিত হয়ে বিতাড়িত হবো?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.