আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভাগা

"এসো নীপবনে, ছায়াবীথী তলে"

এবারের লেখাটি শুধুমাত্র এক্সপেরিয়েন্স্ড পুরুষদের জন্য। প্রতিটি পুরুষকেই শৈশব পেরিয়ে কৈশোর, যৌবন এমনকি বার্ধক্যে এসেও কোন না কোন সময় ছলনাময়ী কিংবা লাস্যময়ীর প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হয়। ভুল বললাম, সাড়া দেয়া বা না দেয়া এটা যার যার ব্যপার। অন্ততঃ পক্ষে সবাই কম বেশী প্রেমের ডাক পান, এটা সত্য। একটা সময় ছিল, যখন কোন মেয়ের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পাওয়াটা ছিল অসম্ভব, সর্বপরি অবাস্তব।

কিন্তু এখন সময় বদলেছে। কোন ছেলেকে পছন্দ হলে মেয়েরাও ফট করে সেই ছেলেটিকে অফার করে বসে। আপনারা যারা বিয়ের পর নিজ নিজ বউয়ের সাথে প্রেমের কথা ভাবছেন সেসব কথা ভুলে যান কিংবা ভুলে যান আপনার স্বউদ্যোগে অর্জিত কোন প্রেমকাহিনীর কথা। আমি ইনডিকেট করছি শুধুমাত্র সেসব পরিস্থিতির কথা যে ক্ষেত্রে কোন মেয়ে নিজে সর্বপ্রথম অফার করে বসে। আমি জানি না এরকম অফারের পর ছেলেদের মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, শুধুমাত্র বন্ধুমহলে বিভিন্ন কেচ্ছাকাহিনী শুনে অনুমান করতে পারি।

কারো কারো ক্ষেত্রে সেটি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়, কারোর বা সেই মেয়েটির ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়। আমি মনে হয় ভূমিকাটা খুব বেশী বড় করে ফেলেছি। এবার আসল প্রসঙ্গে আসি। জীবনের তিরিশটি বছর পার করে এলাম, এখনও পর্যন্ত কোন নারী আমার দিকে নিজ থেকে এগিয়ে আসেনি। এমনকি কেউ ‘তোমাকে আমার ভাল লাগে কিংবা একটু কি সময় দেবেন’- এই টাইপের কোন কথা আমাকে বলেনি।

আপনার হয়তো ভাবছেন মেয়েদের দৃষ্টি কাড়ার মত কোন যোগ্যতাই আমার নেই। তবে শুনুন- দেশের শীর্ষস্থানীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীপ্রাপ্ত, অমায়িক ব্যবহার, ফর্সা ও মাঝারী গড়নের, গড়পড়তা ছেলেদের চেয়ে স্মার্ট হওয়া সত্বেও কোন মেয়ের আহ্বান আমি পাই নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমার মত দুরবস্থা দেশের কত পার্সেন্ট ছেলের? আপনাদের কাছে আমার একটি বিষয় শেয়ার করার আছে। আমার অবস্থা পর্যবেক্ষন করে আমি একটা সিদ্ধান্তে এসেছি। সেটি হল- হয় আমি দেখতে মোটেও আকর্ষনীয় নই অথবা কোন মেয়েই আমাকে অফার করতে সাহস পায়নি।

আপনাদের মতামত কাম্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।