আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা শান্ত, আমাদের সাথে শান্ত আচরণ করো হে প্রকৃতি!



বছরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া পাবো ভাবাই যায় না। আচ্ছা হচ্ছেটা কি, বলুনতো? কয়েকদিন যেতে না যেতেই আমাদের উপর প্রকৃতির এমন খড়গ কেন নেমে আসছে? কি অন্যায় আমাদের? আমাদের দেশের দক্ষিণে একটা সাগর আছে তাই? প্রকৃতির যে চোখ নাই, বিবেক নাই সেটাই প্রমাণ দিচ্ছে বার বার হত দরিদ্র এমন একটি দেশে তার রুদ্র মূর্তি প্রকাশ করে। প্রকৃতির কি জানা নাই, এই দেশের শতকরা ৮০ জন লোক দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। দিন আনে দিন খায়। পরের দিনের জন্য সঞ্চয় বলতে কিছুই থাকে না।

যদিও তাদের চাহিদা তেমন একটা না। তারপরও জন্মের সাথে সাথেই প্রকৃতি কর্তৃক অর্পিত চাহিদার কারনেই পেটের জ্বালা নিবারণ করার জন্য নূন্যতম এক মুঠো নূন ভাত যোগার করার জন্য তাকে নিত্যদিন কাজ করতে হয়। সেই কাজ করার সুযোগটি যদি প্রকৃতি এমন করে তছনছ করে দেয় তাহলে এই মানুষগুলো কোথায় যাবে, এটি ভাববার মতো মনটিও প্রকৃতির একদম-ই নাই। আর কত অভুক্ত থাকা যায়? আর কত চরম অপমানের হাত পাতা যায়? আমরা যে শেষ হয়ে যাচ্ছি। এত দাপট আমাদের মতো দুর্বলের উপর আর না দেখালে কি হ্চ্ছে না প্রকৃতির? প্রকৃতি কি বুঝে না, এমনিতেই আমরা উন্নত(?) বিশ্বের উন্নত(?) মানুষের জঘন্য(!) উন্নত রক্তচোষানীতির কারনে অনুন্নত হতে হতে অস্তিত্বহীন হওয়ার উপক্রম।

বিশ্ব বাজারে সব কিছুর চড়া মূল্যের কারনে সবচেয়ে মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদেরকেই। আর সব দেশগুলোতে বিশেষ করে যাদের কাড়ি কাড়ি টাকা আছে তাদের মূল্যস্ফীতি শতকরা ১ ভাগ হলেও আমাদের এই মরার দেশে তা এবার শতকরা ১৫ ভাগ ছাড়িয়ে গেছে। এই হিসেব ঐ উন্নত দেশ আর প্রকৃতির দালাল (প্রকৃতির দালাল কারন, যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা আমাদের সরকার বিশেষ কেরেশমতিতে কমিয়ে ফেলে) আমাদের সরকার দিয়েছে। সত্য অবস্থা আরো অনেক ভয়াবহ। বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতি তাই এখন পাগলা ঘোড়ার দৌড়কেও হার মানিয়েছে।

তার উপর আমাদের দেশের বেকার সংখ্যা দিনে দিনে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থান। ভরসা করার মতো কৃষিকাজ থেকেও মানুষ এখন মুখ গুটিয়ে নিচ্ছে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারনে। তাই বুঝতেও পারছি না সুজল সুফলা বাংলার মাঠগুলো আগের মতোই এখন শস্য ফলানোর জন্য যথেষ্ট উর্বর আছে কিনা। তবে প্রকৃতির সন্তান উতপাদন করার জন্য এই ভূমির আবহাওয়া যে বেশ উর্বর তা টের পাচ্ছি বেশামাল জনবিস্ফোরণে।

এসব মিলিয়ে কোথায় যে যাচ্ছি আমরা তা ভেবে কূল কিনারা পাওয়া যাবে না। সত্যি আজ আমাদের অস্তিত্ত্ব বিপন্ন। তাই বলছি, নানা ধরণের সমস্যার মাঝে তুমি প্রকৃতি আমাদেরকে আর উত্যক্ত করো না। আমাদেরকে অন্তত তোমার রোষানল থেকে মুক্তি দাও। তোমার যদি এতই ক্ষুধা থেকে থাকে তো যাও না ওদের গিয়ে নাশ করে আসো যারা তোমাকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করছে।

আমরা শান্ত, আমাদের সাথে শান্ত আচরণ করো হে প্রকৃতি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।