আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃষ্টিতে



২৫) বৃষ্টিতে তুমি বলেছিলে একদিন এক বিকালে নদীর কাছে দেখা করতে আসবে। আমি সেই সারাটা বিকাল তোমার জন্য আকাশ নীল শাড়ীটা আর লাল শালটা পড়ে বসে থাকলাম। ঠান্ডা লাগছিলো ভীষন। বৃষ্টি নামবার আগে যে ঠান্ডা বাতাস বয়, সেই বাতাসে উড়ছিলো চুল, আর শাড়ীর আচঁল। নদীর পাশে বসে মানুষের কোলাহল দেখছিলাম।

একপাশে একটা পরিবারের কয়েকটা মানুষ পানিতে পা ডুবিয়ে কলকল করে কথা বলছিলো। অন্যদিকে এক বয়সী যুগল একটা বড় পাথরের উপর বসেছিলো হাত ধরাধরি করে। পানির মধ্যে কয়েকটা হাঁস মনের আনন্দে সাঁতার কাটছিলো। হঠাৎ ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। নদীর পানির উপর বৃষ্টির পানির ফোঁটা দেখে আমার দু'চোখে ও পানি ভরে আসছিলো।

তোমার কথা খুব ভাবছিলাম আমি মনে মনে হাজার বার তোমার নাম ধরে ডাকছিলাম। যদি টেলিপ্যাথি হয়। তুমি আমার ডাক শুনতে পাও। (তখন যদি আমাদের মুঠো ফোন থাকতো!) তাহলে এক নিমেষেই পাঠিয়ে দিতাম কথার পায়রাদের। তুমি তোমার রাজ্যপাট ফেলে ছুটে আসতে নদীর দিকে।

অহংকারী হাঁসের মত ঘাড়টা বাঁকিয়ে আমি তোমার হেঁটে আসা দেখতাম। কিন্তু তোমার দিকে তাকিয়ে খুব উদাসীনতার ভাব দেখাতাম। তুমি হাতদু'টো ধরে আমার মৌনতা ভাঙাতে। টুপটাপ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমরা নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া পথটা ধরে হাঁটতাম। তুমি রবার্ট ফ্রস্ট এর "The Road not taken" কবিতা থেকে পড়তে.. TWO roads diverged in a yellow wood, And sorry I could not travel both And be one traveler, long I stood And looked down one as far as I could To where it bent in the undergrowth নদীর ঢেউ এর শব্দের সাথে মিশে যেতো তোমার কবিতার কন্ঠস্বর।

মহাকালের আবর্তে জমা হয়ে থাকতো আমাদের কথারা। এক'শো বছর পরের মানুষেরা কেউ হয়তো নতুন কোন উদ্ভাবিত যন্ত্রে শুনতো আমাদের কথাদের । আর ভাবতো মানষগুলো আমরা কেমন অন্যরকম ছিলাম। আকাশ টা জোড়ে শব্দ করে উঠলো। চমকে গেলাম।

কই তুমি আজ এলেনাতো! পুনঃশ্চ: (ব্লগে আমার প্রথম কবিতা দিয়েছিলাম নাম "বৃষ্টিতে"..... সেটার নতুন ধারাবাহিকতা এই লেখাটা..যা চলতে থাকবে ততদিন যতদিন বৃষ্টি আসবে কোথাও কোনখানে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।