আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিতীয় পর্বে মিসডকল কর্মসূচিসন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবাদ।

ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমানোর দাবিতে মিসড কল দিয়ে নেটওয়ার্ক বিজি রাখার মাধ্যমে শেষ হলো অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবাদ কর্মসূচি। রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও প্রতিবাদ চলাকালেই এই সিদ্ধান্ত নেয় অভূতপূর্ব প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজকরা। বাংলাদেশের অনলাইন কমিউনিটিগুলো’র আয়োজনে অভূতপূর্ব এ প্রতিবাদে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজের দাম কমানোর দাবিতে তৈরি করা হয়েছে ভিন্নধর্মী একটি ফেসবুকভিত্তিক ইভেন্ট ‘মিসড কল-আমার প্রতিবাদের হাতিয়ার। ’ এই পেজের অনুসরণেই ফেসবুক এ খোলা হয় একাধিক ফেসবুক ফ্যানপেজ।

এসব ফ্যানপেজের মধ্যে অফিসিয়াল ফ্যানপেজটির অ্যাডমিন দুর্যোধন এবং সিডাকটিভ হিপনোটিক্স (তানজির ইসলাম বৃত্ত) নামের দুজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। প্রতিবাদ কর্মসূচি সম্পর্কে দুর্যধন নতুনবার্তা ডটকম প্রতিবেদককে জানান, প্রথমে মোবাইল অপারেটরদের এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিটি অপারেটরকেই অবহিত করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের পক্ষ থেকে ইনবক্স-এ যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এর পরের ফেজে আইএসপিগুলোর বিরুদ্ধে আরো অভিনব কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সরকারের থেকে কমানো হলেও ভোক্তা পর্যায়ে দাম না কমানো পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। রাত নয়টায় নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হবে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ১ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। বর্তমান দাম আট হাজার টাকা। গত আট বছরে মেগাবাইটপ্রতি ব্যান্ডউইথের দাম ৬৪ হাজার টাকা কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমেনি।

মাঝখানে এর ফল খেয়েছে ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিজস্ব অবকাঠামো থাকায় ইন্টারনেট সক্ষমতার দাম কমিয়েছে। অন্যদিকে ২০০৪ সালে মোবাইলফোন অপারেটররা গ্রাহকের কাছ থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে প্রতি কিলোবাইটের মূল্য নিত ০ দশমিক ০২ পয়সা। অপারেটররা এখনো এ মূল্যই নিচ্ছে। জানা গেছে, রাজধানীর চেয়ে ঢাকার বাইরে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বেশি।

ব্যান্ডউইথ পরিবহণে খরচ বেশি হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বেড়ে যায়। দু-একটি বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলা শহরগুলোতে ব্যান্ডউইথ পরিবহণের ব্যবস্থা খুবই খারাপ। যেটুকু সম্ভব, তা পরিবহণ করতে অনেক খরচ পড়ে যায়; ফলে ইন্টারনেট সেবার দামও বেড়ে যায়। এদিকে যৌক্তিকভাবে কম খরচে ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির দাবিতে যে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে তার সঙ্গে এখন স্প্যাম ম্যাসেজের অবসান ও ভালো নেটওয়ার্কের দাবিও যুক্ত হয়েছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.