আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আঘাত কেন গন্ডদেশে ?

Disclaimer: All writtings contain severe spelling errors. নিজ গুনে ক্ষমা করে পড়বেন।

চর , থাপ্পর - এসবের কি কোন বয়স সীমা আছে? বয়স সীমা বাদ দিলেও একটা ভ্যালিড রিসন তো অবশ্যই থাকা চাই কারো গন্ডদেশে আঘাত করার জন্যে নাকি? হুদাই মাইর ধইর করার জন্যে হাত ইসপিস করতে থাকা আর ভিম্রতি রোগে আক্রান্ত হউয়া একি কথা। এবং আমার ধারনা আমার আম্মা এই রোগে আক্রান্ত হইসেন। লম্বা সময় মারধর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় হঠাত উনার রাত তিনটার সময় আমাকে মাইর দেয়ার খায়েশ জাগসে। কি অদ্ভুত ! তাও আবার বিনা কোন অপরাধ মুলক কারন ছারাই! ঘটনা হচ্ছে-গত রাতে সারে তিনটার সময়ে তাহাজ্জদের নামাযের পরে আর ঘুম আসছিলনা।

ভাবলাম ফরয কাজ তো করলাম এবার সুন্নাত কাম গুলাও সারা দরকার। আ্যনথ্রপলজি বইটা নিয়ে বসলাম। Neandertal নিয়ে আলচোনা চলছিল ক্লাশে। হঠাৎ চোখ পরলো Neandertal স্কেলেটনের উপর। মধ্যরাতে আমার মন টা উৎফুল্ল হইয়া উঠলো।

(মানব কঙ্কালের প্রতি আমার একটু বিশেষ দুরবলতা আছে। আমার ধারনা আল্লাহ পাক মানুষ নামক প্রাণি টিকে পাষান বানাইলেও তার ভেতরের কাঠবডিটাকে হাস্যমুখি বানাইসেন। তাই মানব কঙ্কাল কে সবসময়ে তার দাতের দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়। এবং এটি মাইন্ড থ্যারাপিতে যথেষ্ টকাজে আসতে পারে। মন খারাপের সময় লম্বা সময় ধরে নরকঙ্কালের দিকে তাকায়ে থাকতে হবে।

বিভিন্ন আ্যংগ্যালে তার হাসি পরযবেক্ষন করতে হবে। একসময় তার ভিতরে থাকা কাঠবডির হাসি তার রক্ত মাংসে গরা মুখমন্ডলে ফিরে আসবে বলে আমার ধারনা। ) জাই হোক, আমি ডিসাইড করলাম, ঘুম যখন আসছেনা একটু কৃয়েটিভিটি প্র্যাকটিস করা যায়। কাঠ রুং, জল রঙ, মোম রঙ সব নিয়ে ঝাপিয়ে পরলাম কঙ্কালের উপর। দশ আঙ্গুলে দশ কালারের নেল্পলিস পরলাম।

আমার শিল্পকলা সমপন্ন হতে না হতেই পেছন থেকে মা র গলার আওয়ায পেলাম। " এত রাতে কি করিস? ঘুম আসস না ?" আমি একটু পরাশোনা করছি। " এসব কি? রঙ পেন্সিল দিয়ে কি করিস? " মা নরকঙ্কাল কালার করছি। (মার মেজাজ টা সন্ধা থেকেই খারাপ ছিল। উনি আমাদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে গত সন্ধায় সুইসাইড করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন।

এবং এটাই নাকি তার ফাইনাল ডিসিসান। ) মা কিছুখন আমার দিকে কটমটে তাকায়ে থেকে বললেন" তুই এই রাত বিরাতে আমার সাথে ফাযলামি করিস? তুই তোর পাগলামি বন্ধ করবি নাকি থাপ্পর দিয়ে তোর ভুত ছুটাতে হবে?তোরা কি পেয়েছিস শুনি? তোরা কি চাস তদের সংশারে আমার কোন জায়গা নাই?" আম্মার এই বক্তব্যে আমি একটু অবাক হয়ে বেশ দ্রুত কিছু চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম। আমি এমন কি বললাম যে আম্মা এত খেপলো? ! (এম্নিতেও আমার কথা বারতা আম্মার পছন্দ না। আম্মার ক্লিয়ার ইন্সট্রাকসন আছে আমি যেন তার সাথে কথা বুঝে শুনে বলি। আমি তাই করি।

তারপরে বোমা ফুটতে দুই সেকেন্ড টাইম লাগল না। ) ১. আমার কালারিং প্রজেক্টের সাথে ফাযলামির কি কানেকসন হল বুঝলাম না ! ২. থাপ্পর দিয়ে ভুত ছুটানোন গেলেতো পির ফকির দের না খেয়ে মরতে হবে ! আর এটাতো ওদের কাজ। ৩. আম্মার শেষ বানি- যার কোন মাথা মুন্ডুই নাই! অকারনেই মা একথা টা বলতে পছন্দ করেন। আমরা সবাই ভাল করেই জানি আমাদের শংসারে যদি কারো সবচেয়ে বেশি প্রয়জন তা হচ্ছে আম্মার। আমার বাবা ইদানিং বিদ্রহি হয়ে যাচ্ছেন।

সবকিছুতেই বেকে বসেন। বিদ্রহি পিতার সন্তান আমি সিদ্ধান্ত নিসি যে আমি সন্নাসি হয়ে যাব। এম্নিতেও ঘর সংশারের প্রতি আমার তেমন মনোযোগ নাই তাই সন্নাসি জীবন যাপন করব। আর আমার ছোট বোন- উই লাতিকা থেকে বাতিল। এই ক্ষেত্রে আম্মাকেই সবচেয়ে বেশি প্রয়জন আর উনি কিনা বলেন তার কোন প্রয়োজন নাই।

! সবশেষে কল্পনা করলাম আম্মা যদি এই মুহুরতে আমাকে একটা থাপ্পর লাগায়ে দেন আমি তো মনে হয় হেসেই দিব। আমার হাশি দেখে আম্মার আরো খেপে গেল এবং আমার ছোট্ট কামরা টা কাপিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। এখন আম্মার এই অদ্ভুত আচরন টাকে সজ্জ করা যায় কারন অহেতুক ছিল্লাফাল্লা করা তার স্বভাব। কিন্তু বিনা কারনে আমাকে থাপ্পর দেয়ার ঘোষনা জারি করার বেপার টা আমি মানতে পারছিনা। আরে এটা কোন কথা হল নাকি? কথায় কথায় মাইর দিতে চায়? আমাদের পিতামাতাদের এটাই তো বরো সমশ্যা, গান্ধি পাঠ এরা বুঝতে চায়না।

এরা শুধু বুঝে জামাতি স্টাইল- মাইরের নাম বাবাজি। ঊত্তম মধ্যম দিতে পারলে এরা শান্তি পায়। আর সবচেয়ে বিরক্তিকর বেপার হচ্ছে বিনা কারনে মাইর ধর করা। তারা বুঝেনা যে কথায় কথায় মাইর দিয়ে পোলাপানদের পিঠের হাড্ডি শক্ত বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। পরে গিয়ে কোন ফরমুলা আর কাজ করেনা।

বাবা-মার মনে রাখা উঠিত যে ওস্তাদের মাইর শেষ রাইত। তাই তাদের কে ওস্তাদ হতে হবে এবং জিবনের শেষ চিকিৎশা হিসেবে উত্তম্মদ্ধম প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে দেশের পোলাপানরা লাইনে আসবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আরো একটি বেপার মনে রাখতে হবে প্রেমের মতন বরিং জিনিস যদি বয়স না মানতে পারে তাহলে মাইরের মতন কারাক জিনিসের ও বয়স মানার কোনই প্রয়োজন নাই কিন্তু, সেটি অবশ্যই ন্যয় বিবেচ্চ্য হতে হবে। হুজুকের মাথায় মাইর ধইর সজ্জ করা জাই না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.