আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয় যাইগাঃ বাংলার উন্মাদ



এখনো উন্মাদের মত ভালমানের কার্টুন পত্রিকা খুব কমই চোখে পড়েছে বিদেশে এসেও। আর বাংলাদেশে তো কথাই নাই। তবে সাপ্তাহিক আলপিন সেই গ্যাপ কিছুটা কমিয়েছিল, কিন্তু সেটা নিয়েও তো কদিন আগে ম্যালা ফ্যাকড়া গেল। এবার যখন দেশে গেছিলাম এক বদ্দার সাথে উন্মাদের অফিসে গেছিলাম প্রথমবারের মত। গিয়ে দেখি যথারীতি হিউমারের ছড়াছড়ি।

ছুটির দিনে গেছিলাম বলেই মনে হয়, ধানমন্ডীর শেষ মাথার দিকে একটা এপার্টমেন্টে নতুন অফিস হচ্ছে উন্মাদের। তাই মালিক/সম্পাদক/কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব ছাড়া আর তেমন কেউ ছিলেন না অফিসে। সম্প্রতি ট্র্যাভেল এন্ড ফ্যাশন নামে নতুন একটি পত্রিকা নিয়ে কাজ করেছেন, সেটাও দেখলাম। চলবে কিন কেজানে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশীরভাগ সময়েই আমরা সাংস্কৃতিক ভাবে ভোক্তা হয়েই চলেছি।

আমার ব্যাক্তিগত ধারণা হল, স্বাধীনতার আগে কোন এক জলপাই দাঁড়িয়ে উর্দুতে ভাষণ দিলে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির শতকরা যতজন বুঝতো এখন তার চেয়ে ঢের বেশী মানুষ বুঝবে। এই ভাষাজ্ঞানের বিপুল উন্নয়নের পেছনে দেশপ্রেমের চেয়ে বলিউড প্রেম অনেক বেশী এফেক্টিভ। প্রতিবেশী আর পশ্চিমা দুয়ের কোনটির বিপক্ষেই যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে আমাদের সংস্কৃতিক মিডিয়াম গড়ে উঠেনি। ফলে সংস্কৃতি এক্সপোর্টের চেয়ে ইম্পোর্টই বেশী হয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশী কিছু উপাদান সব সময়েই ছিল যেগুলোর প্যারালাল আমার মনে হয় পাওয়া খুবই মুশকিল।

যেমন কাকাবাবু আর সন্তু মিলে দুনিয়া জয় করে ফেললেও আমাদের দেশী হিরু মাসুদ রানার পাশে এক্কারে কিছুই না। এরকমই আরেকটি অসাধারণ উপহার উন্মাদ। উন্মাদ অফিসের দেয়াল থেকে বেশ কিছু ছবি হাতিয়ে নিলাম। ছবিগুলো সবার সাথে শেয়ার করলাম। ভালই লাগবে আশা করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।