আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধের বিচার : মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ভাবনা

জেগেও যে ঘুমের ভান করে তাকে জাগানো যায় না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আজ গোটা দেশ উত্তপ্ত। পক্ষে-বিপক্ষে মিডিয়ায় প্রতিদিনই প্রচুর খবর-মন্তব্য প্রকাশ হচ্ছে। ব্লগেও এর প্রতিফলন পড়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমি নিজেও ব্লগে মতামত তুলে ধরেছি।

বিচারের বিরুদ্ধের পক্ষ নানা প্রশ্ন বারবার নানাভাবে তুলে ধরছে, বলছে- এখন কেন, এতোদিন কি করেছেন, কেন মুজিব এর বিচার করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা জানতে চায় এর পিছনে রাজনীতিটা কি? 'জাতীয়তাবাদী শক্তি'কে (আসলে পড়ুন : মুসলিম বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ) দুর্বল করার ষড়যন্ত্র এটা কিনা? এসব প্রশ্নের চমত্কার উত্তর দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। গত শুক্রবার (০৯ নভেম্বর, ২০০৭) দৈনিক সমকালে প্রকাশিত একটি বিশাল আকারের লেখায় তিনি যুদ্ধপরাধ, এর বিচার প্রক্রিয়া, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি, আইন-কানুন নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন ও নিজের মন্তব্য দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটার এমনই রাজনীতিকরণ হয়েছে যে আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আমাদের এই জানাশোনার দেশে জ্ঞাতিগোষ্ঠীদের প্রতি দুর্বলতার এই বিচারের ক্ষেত্রেই প্রথম থেকেই দোলাচলতা দেখা গিয়েছে।

যখন সবচেয়ে সুযোগ ছিল তখনও সম্ভব হয়নি। ৩ জুলাই ১৯৯৯ 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার- এ প্রজন্মের ভাবনা' শীর্ষক এক আলোচনায় প্রবীণ সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত সাত-পাঁচ ভেবে বলেন, 'মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা অসম্ভব'। " কেন এখনই বিচার সম্ভব এ নিয়ে তার মত হচ্ছে, "র্বতমান সরকার ভোটের জোরে আসনি। তাদের ভোট হারাবার ভয় নেই। তাঁরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভালো কাজ করছেন যা এতাবত্কালের সব নির্বাচিত সরকার নানা রকম পাঁয়তারা করে ব্যাহত করে রাখেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ সরকার না করলে আর হবে না। জন্মসূত্রে বাংলাদেশিদের কেবল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচার করা যায় না। এ ব্যাপারে সরকারকে বাদী হতে হবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করে এসপার-ওসপার করতে হবে। বিচার শুরু হোক, রায় যা-ই হোক আমরা মেনে নেব। একটি অনির্বাচিত সরকারের বড় জবাবদিহিতা হচ্ছে তার গ্রহণযোগ্যতায়- তার সফলতায়।

" মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের লেখা এখানে পড়ুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.