জীবন কবিতার মত। আর কবিতাগুলো দুর্বোধ্য।
শিশির ঝরিল
সৈয়দপুরের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
চিত্রনাট্যঃ মোঃ আবদুল আউয়াল জয়।
দৃশ্য ১
দিন, দুপুর/ জীর্নশির্ন বাড়ি
ক)আউটডোর।
ডিজলভ ইন।
একই ফ্রেমেঃ দুটো জমজ বাচ্চা (বয়স ৯/১০মাস ) গগন বিদারি চিৎকার করছে। পাশে খোলা উনুন জ্বলছে।
(ডিজলভ টু)
খ)ইনডোর।
একজন অসুস্থ মানুষ (বাচ্চার বাবা) বিছানায় শুয়ে আছে।
নেপথ্যে বাচ্চা দুটোর গগন বিদারি চিৎকার।
(ডিজলভ টু)
দৃশ্য ২
দিন/ পুকুর ঘাট
(পুকুরে নেমে ক্যামেরা ধরা হবে)একই ফ্রেমেঃ এক মহিলা পুকুর ঘাটে বাসন ধুচ্ছে। বাচ্চার মা পিছনে পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে।
বাচ্চার মা(কাঁদো কাঁদো)ঃ আমারে একমুঠ চাউল দিবা বুবু.. ?
মহিলাঃ (না তাকিয়ে) আর কত?
(ডিজলভ টু)
দৃশ্য ৩
দিন/ কাঁচা সরু রাস্তা
ক্যামেরা স্থীরঃ বাচ্চার মা হেঁটে আসছে। কাপড়ে পেঁচানো চাউল পুটুলির মত ধরে আসছে।
বিপরীত দিক থেকে এসে একজন রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। আমরা লেকটিকে পিছন থেকে দেখব।
বাচ্চার মা ঘাবড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
লোকটি এগিয়ে গিয়ে বাচ্চার মাকে কিছু বলে শোনা যাবে না।
বাচ্চার মাঃ(চিৎকার)না..
লোকটিকে পাশ কাটিয়ে বাচ্চার মা দ্রুত ফ্রেম আউট হয়।
লোকটি ঘুরে পিছনে তাকায়।
লোকটিঃ (জোর গলায়) এক হাজার..
বাচ্চার মাঃ (নেপথ্যে) না.. (চিৎকার)
(ডিজলভ টু)
দৃশ ৪
দিন, দুপুর/ জীর্নশির্ন বাড়ি
বাচ্চার মা রান্নাা করছে। বাচ্চা দুটো পাশে কাঁদছে।
লোকটি এসে দাঁড়ায়।
মহিলা চুলা থেকে জ্বলন্ত খড়ি নিয়ে হিংস্রচোখে উঠে দাঁড়ায়।
লোকটি দু আঙুল তুলে দেখায়।
মহিলার হাত থেকে খড়ি খসে পড়ে।
(ডিজলভ টু)
দৃশ্য ৫
দিন/ কাঁচা সরু রাস্তা
লোকটি দুইকোলে দুটো বাচ্চা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা লেকটিকে পিছন থেকে দেখব।
বাচ্চা দুটো চিৎকার করছে।
(ডিজলভ টু)
দৃশ ৬
দিন/ ডিসপেনসারি
বাচ্চার মা ওষুধের দোকানদারকে প্রেসক্রিপশন দেয়।
বাচার মা শূন্যের দিকে তাকায়। চেহারা অভিব্যাক্তিহীন।
(ডিজলভ টু)
দৃশ্য ৭
দিন/ বাজার
বাচ্চার মা চাউল কিনছে। দোকানদার চাল মাপছে।
বাচ্চার মা হঠাৎ শব্দ করে ডুকরে ওঠে। করুন মিউজিক শুরু । নিঃশব্দ কান্না। চোখ দিয়ে পানি গড়াবে।
(ডিজলভ টু)
দৃশ্য ৮
দিন/ বারান্দা
বাচ্চার মা উপুর হয়ে কাঁদতে থাকে।
পিঠ থেকে কাপড় খসে গেছে।
বাচ্চারঃ ..আমার বুকের ধন..আমার দুই নয়ন.. ..
(ডিজলভ টু)
শেষ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।