আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়ানক ব্যাপার বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভেইল্যানস এখন সময়ের ব্যাপার

মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সেই বাংলাদেশকে খুঁজছি..............

মন চাইছে এই ঘটনা সত্যি না হোক দেখুন অডিও শুনুন Click This Link আরো লিন্ক ১ Click This Link ২ Click This Link ৩ Click This Link ৪ http://forum.projanmo.com/p24914.html#p24914 ই-বাংলাদেশে যখন খবরটি আসে অনেকে এটিকে গুজব বলে হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। Click This Link বিটিআরসি বাংলাদেশের সব আইএসপির কাছে একটি চিঠি (BTRC/E&O/ISP-Gen.(302)/2007-1697) পাঠিয়েছে যেখানে তারা চেয়েছে: * তারা কার কাছ থেকে কত ব্যান্ডউইদথ ব্যবহার করছে, চুক্তির কপি সহ সেসব তথ্য। * কর্পোরেট/ডেডিকেটেড/শেয়ার্ড ক্লায়েন্টদের নাম, ঠিকানা ও আইপি * পুরো ব্যন্ডউইদথ এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের অনলাইন এমআরটিজি ইউসেজ গ্রাফ (যার মাধ্যমে কে কোন সাইটে ব্রাউজ করেছে সব তথ্য জানা যাবে), ইউআরএল এড্রেস এবং প্রতিটি ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড * সব ইউজারের জন্যে পরিপূর্ণ সাবস্ক্রিপশন ফর্ম * আইএসপিকে মানা করা হয়েছে এমন ইউজারদের কানেকশন না দিতে যারা ওই ব্যন্ডউইদ্থ অন্যান্য লোকেশনের ইউজারের কাছে অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করে। * আইএসপিকে বলা হয়েছে প্রতিটি ইউজারদের নাম ঠিকানা সংরক্ষন করতে (স্ক্রাচ কার্ডের ক্ষেত্র কি হবে বলেনি)। উপরোক্ত বিষয়গুলো ১৫ দিনের মধ্যে না মানলে আইএসপির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কি ঘটতে যাচ্ছে। তারা আইএসপির মাধ্যমে প্রতিটি উইজারদের তথ্য সংগ্রহ করবে, এমআরটিজি গ্রাফের ইআরএল, আইডি/পাসওয়ার্ড থাকলে যে কোন স্থান থেকে এইসব ইউজারদের ইন্টারনেট কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। আপনার ঠিকানা থাকায় আপনি থাকবেন তাদের মনিটরিং এর মধ্যেই। আপনার ইমেইল পড়ে ব্যবসার গোপন তথ্য অন্যরা জেনে যাবে। ই-বাংলাদেশে এক আইএসপি প্রভাইডার বলেছে এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হলে এবং বাসায় সার্চ হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেবে।

আইএসপিদের ব্যবসা গুটাতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করাটাই যেন একটি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে। এটি একটি বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিটিআরসি আ্যাক্ট ২০০১ এর একটি সংশোধনী (৯৭ ধারা) অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহীনিকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয় আড়িপাতার জন্যে। এই সংশোধনীটি অবশ্য বিটিআরসির মুল উদ্দেশ্য টেলিযোগাযোগের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার নিশ্চয়তা প্রদানকে লঙ্ঘন করে (বিটিআরসি অ্যাক্ট ২০০১ প্যারা ৩০(১)(f) ।

গতকাল বিবিসির পরিক্রমা অনুষ্ঠানে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়। আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে সরকার দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডাটাবেজ এবং আইএসপির মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার মনিটরের উদ্যোগ নিয়েছে। শুনুন পরিক্রমার রিপোর্টটি। বাংলাদেশের সাধারন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে এ ব্যাপারে আপনি কি অবস্থান নেবেন জানালে ভাল হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।