আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিচেন টিপস

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

১. কাবার্ডে আলু বেশ কয়েকদিন রাখলে একটা ঝামেলায় পড়তে হয়, হ্যাঁ, আলুর চোখের জায়গাগুলোতে চারাগাছের মতো গজিয়ে যায়। তখন সেই আলু খেতে ইচ্ছে করেনা, এতটুকু না হলেও, আলুকাটাটা যে কষ্টের হয়ে দাঁড়ায় তাতে নিশ্চয়ই সবাই একমত হবেন? টিপস ১: আলুর প্যাকেটে একটা/দুটা আপেল রেখে দিন, ঝামেলা শেষ! ২. ডিমসেদ্ধ হলো ব্যাচেলরদের জন্য 'বিশেষ ত্রাতা' ধরনের খাবার। আমাদের এখানে এক বড়ভাই আছেন, মির্জা ভাই, ব্যাচেলার একা থাকেন। উনার বাসায় গেলে ফ্রিজ থেকে একগাদা সেদ্ধডিমের একটা বাটি বের করে এগিয়ে দিয়ে বলেন, 'নাও ডিম খাও, খুব মজা!' তো সবাই এভাবে সেদ্ধডিম দিয়ে আপ্যায়ন না করলেও এর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু ঝামেলা হলো ডিমসেদ্ধ নিয়ে।

ডিমসেদ্ধ করার সময় প্রায়ই দেখা যায় বেশী সেদ্ধ করার কারণে খোসা ফেটে গিয়ে ভেতরের সাদা নরম এ্যালবুমেনটা বেরিয়ে গেছে; মসৃন, গোলগাল সেদ্ধডিম আর খাওয়া হয়না। যদিও খিদা মেটে, পুষ্টিও হয়, তবুও আহারেও তো নন্দনতত্ব বলে একটা বিষয় আছে, নাকি? টিপস ২: সেদ্ধ করার সময় পানিতে একচিমটি লবন দিয়ে নিন, আর ফাটবেনা। ৩. আবারও সেদ্ধডিমের বিষয়ে আসা যাক। এবার বলি ডিমের খোসা ছাড়ানো নিয়ে। বিরক্তিকর আর সময়সাপেক্ষ কাজ, তাইনা? তার ওপর প্রায়ই দেখা যায় খোসার সাথে ডিমেরও বেশ খানিকটা উঠে এসেছে, তাহলে আর খাবার জন্য বাকী রইল কি? ভাবতেই পারেন।

টিপস ৩: সেদ্ধডিমগুলোকে একটা প্লাস্টিকের বক্সে নিয়ে, বক্সের মুখ বন্ধ করে দিয়ে ঝাঁকান কিছুক্ষণ। সবগুলো ডিমেরই খোসা ফেটে ফেটে গায়ে লেগে থাকবে। ফাটাখোসার উপরের অংশটুকু তুলে নিয়ে, ডিমের নিচের অংশটাকে হাতের মুঠোতে নিয়ে চাপ দিন, ডিমটা খোসা থেকে লাফ দিয়ে পড়বে। ৪. ফ্রাইপ্যানে মাঝেমাঝে ভাজা-ভুজি পুড়ে গেলে, পোড়াটা ঘষে ঘষে ওঠানো খুব কষ্টের কাজ হয়ে যায়। অনেকে তখন ফ্রাইপ্যানটাই ফেলে দিয়ে নতুন একটা কিনে আনে, কিন্তু এত নবাবী করার জো কি আমাদের আছে? টিপস ৪: ফ্রাইপ্যানে পরিমানমতো ডিটারজেন্ট ঢেলে, তাতে এক-দুই গ্লাস পানি (প্যানের সাইজ অনুযায়ী) মিশিয়ে নিন।

তারপর পানিটাকে ফোটান। ব্যস্, আর কিচ্ছু করতে হবেনা। ৫. যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, কিন্তু রাঁধতে গিয়ে চুল যেখানে থাকে সেই মাথাটাও মাঝেমাঝে ধরে যায়। বিশেষ করে গরম যারা সহ্য করতে পারেননা। নাকি মাথা ধরেনা? ও.কে., রাঁধতে গিয়ে মাথা না ধরলেও চলবে।

এমনিতে তো মাথা ধরে? সেটার সমাধানও কিচেনে আছে। টিপস ৫: বড় বাতাবীলেবুকে অর্ধেক করে, ভেতরের অংশটা সারা মুখে ঘষে নিন কিছুক্ষণ। ব্যাস্, নো ডিস্প্রিন। ৬. রান্না করতে গিয়ে একটা বড় ঝামেলা হয়, বিশেষ করে উপমহাদেশের আমাদের যারা কারি এবং কারিই খায়, আর সেই কারিতে পেঁয়াজ মাস্ট। তো, ঝামেলাটা হয় পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে; এরবেশী বলার দরকার নেই, কারণ তেতুলের নাম শুনলে যেমন জিভে জল আসে, এরবেশী বললে আপনার চোখে জল আসতে পারে।

কিন্তু কাঁদতে কাঁদতে রাঁধতে চায় কে বলুন? টিপস ৬: পেঁয়াজ কাটার সময় একটা চুইংগাম চিবুতে থাকুন। টিপস ৭: চুইংগাম চিবিয়ে মোটা হয়ে যেতে যাদের আপত্তি তাদের জন্য হলো, পেয়াঁজকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তারপর কাটুন, ঝাঁজ কমে যাবে। (কৃতজ্ঞতা: ব্লগার রাগীব) টিপস ৮: জিহবার নীচে একটুকরো পাউরুটি রেখে পেয়াঁজ কাটলে চোখে পানি আসেনা (কৃতজ্ঞতা: ব্লগার ফরিদ) [আজই ট্রাই করে দেখুন, বিফলে মূল্য ফেরত]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।