আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহাম্মদী মানবাধীকারঃ মার্কিনিদের শান্তি মিশন ও এক উলঙ্গ নারীর গল্প।দ্বিতীয় পর্ব

কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।

প্রথম পর্ব দেখুন এখানে রাসূলুল্লাহ (সঃ) যুদ্বের মত কঠীন সময়ে ও লুটতরাজ করতে নিষেধ করেছেন। একবার এক যুদ্বে মুসলিম সৈন্যগন শত্রুপক্ষের ছাগল -ভেড়া ছিনিয়ে এনে রান্না করতে শুরু করেছেন। সংবাদ শুনে আল্লাহর রাসূল খুবই মর্মাহত ও ক্ষুব্দ হলেন। ছুটে গিয়ে গোশত ভর্তি ডেগ আগুনের উপর উপুড় করে ফেলে দেন।

অধিকন্তু কোন সম্প্রদায়ের উপর হামলা করার সময় তদের ফসল ক্ষেত খামার ইত্যাদি নষ্ট করতে পাক কুরানে ও নিষেধ করা হয়েছে। যুদ্বে রওয়ানা করার প্রাক্কালে তিনি সৈন্যদেরকে পথ চলার নীতি পর্যন্ত বলে দিতেন। পথে হৈ চৈ করতে নিষেধ করতেন। বলতেন কোথাও তাবু ফেললে এমনভাবে ফেলবে যাতে পথিকদের চলতে কষ্ট না হয়। মানুষ যাটে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

বলতেন পথে কাউকে ভয় দেখাবেনা,ধমক দেবেনা। এসব করলে জিহাদ হবেনা। আজ পৃথিবীবাসী মনে করে,১৮৯৯ ঈসায়ী সালের "হ্যাগ কন্ফারেন্স"ই যুদ্ব নীতির প্রথম স্থাপক। অথচ পকৃত সত্য হলো,রাসূলুল্লাহ (সঃ) পৃথিবীবাসীকে সর্বপ্রথম যুদ্বের মানবতাবাদীর শিক্ষা দিয়েছেন। অধিকন্তু তার সমাজ বিপ্লবের প্রধান টার্গেট ছিলো 'মানুষ' গঠন।

তার ফলে এই গৃহিত যুদ্বনীতি কতটা সফল হয়েছিল,তার প্রমান হলো । রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর হাতে পরিচালিত যুদ্ব-জিহাদের সংখ্যা ছিল ৮২ টি। এই ৮২টি যুদ্বে মুসলমান শহীদের সংখ্যা মাত্র ২৫৯ জন। আর অমুসলিম নিহতের সংখ্যা ১০১৮ জন। অর্থাত্ত গড়ে প্রতিটি যুদ্বে উভয় পক্ষের নিহতের সংখ্যা ১১ জনের চেয়ে সামান্য বেশী।

একবার যদি আমরা হতাহতের এই পরিসংখ্যানকে অন্যান্য ধর্মের হত্যা,ধংস ও যুদ্বের সাথে তুলনা করি তাহলে বিষয়টি আরোও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এই ভারতবর্ষের কথায় ধরা যাক। এখানকার ঐতিহাসিক মহাভারত এ নিহতের সংখ্যাই ছিল কয়েক লাখ। খৃষ্টান জগতে গীর্জা কেন্দ্রিক শাসনের উন্নতকালে শুধু ধর্মীয় আদালতের নির্দেশে বাস্তবায়িত হত্যার সংখ্যা ছিল ১ কোঠী ২০ লাখ। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার শুধু স্পেনের।

তাছাড়া এদের মধ্যে ৩২ হাজার এমন হতভাগাও আছে,যাদেরকে জিবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ঐতিহাসিক সূত্রমতে,খ্রীষ্টান আদালতগুলোই সচরাচরই জীবন্ত পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিতো। সম্ভবত খৃষ্টান ধর্মগুরুরা এর মধ্যে কোন বিকৃত স্বাদ অনুভব করতো। স্মরন করিয়ে দেওয়ার জন্য বলি,সাধু শান্তিকামি(?) খ্রীষ্টানরা যখন বায়তুল মোকাদ্দাস দখল করে,তখন নারী-পুরুষ,শিশু-যুবক-বৃদ্ব,দূর্বল-সবল নির্বিশেষ ৭০ হাজার মুসলমানকে শহীদ করেছিল। স্বয়ং খ্রীষ্টান ঐতিহাসিরাই বলেছেন,মুসলমানদের রক্ত জেরুজালেমের রাস্তায় বন্যার পানির মত প্রবাহিত হয়েছিল।

এই হলো সাধু শান্তিকামী খ্রীষ্টানদের চিত্র। অথচ পরে যখন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস পুনরায় দখল করেন,তখন মুসলিম বাদশা সালাহউদ্দিন খ্রীষ্টানদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে দেন। ১৪৯২ সালের সালের সময় গির্জা এবং রাজার সহয়তায় "ইনকুইজেসনের" মাধ্যমে লাখ লাখ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল। লাখ লাখ মুসলমানকে বাড়ি ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল। মরক্কোয় এখনো বহু পরিবার এমণ আছে,যাদের ঘরের দেওয়ালে চাবি টাঙ্গিয়ে রাখা আছে।

যা ১৫ শ শতাব্দীতে তাদের পুর্ব পুরুষরা স্পেন থেকে বিতাড়িত হয়ে এসেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্বের ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বও। প্রথম বিশ্বযুদ্বে ৭৪ লাখ মানুষ প্রান হারিয়েছে। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বে {Between forty to sixty million (60,000,000) }৪ থেকে ৬ কোঠি লোক প্রান হারিয়েছে।

এই হলো মানবতাবাদী,শান্তির দূতদের রঙ্গিলা ইতিহাস। কৌতুকের বিষয় হলো,এরাই আজ নিজেদের রক্তপাপ ঢাকার জন্য মুসলমানদের দিকে নাসিকা বাকা করে চেঁচায়,রক্ত রক্ত রক্ত! চালনি বলে সুঁইরে তো...... যে ছেদা। (অসমাপ্ত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.