আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ও বন্ধু, তোদের মিস করছি ভীষন , তোদের ছাড়া কিছু ভাল লাগেনা এখন - ১

আমি আমার নিজেকেই খুঁজে বেড়াই, আমার মাঝে, তোমার মাঝে, আমাদের মাঝে :) অনেকদিন সামু থেকে দূরে ছিলাম। আসলে দূরে ছিলাম বললে ভুল হবে, দূরে থাকতে হয়েছিল। আবার ফিরে এসেছি সবার মাঝে। সবাইকে বিরক্ত করতে। এসে বুঝলাম সবার মাঝে আমি আজ বড় একা।

মাঝে মাঝে একাকিত্ব কাটানোর চেষ্টা করি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটের সাহায্য নেই। মিগ৩৩, ফেসবুক এক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। (কাওকে কষ্ট দেয়ার জন্য বলছিনা) কিন্তু ভার্চুয়াল জীবন এর বন্ধুর সাথে আসল জীবনের বন্ধুদের কোনো তুলনা হয়না। সেটা মনেহয় আমার ভার্চুয়াল বন্ধুরাও মানবে। আজকে আমি কিছুক্ষনের জন্য গরু হয়ে যাব।

গরু যেমন জাবর কাটে আমিও তেমনি আমার স্মৃতি রোমন্থন করব। আমার বন্ধুদের স্মৃতি। যাদের অনুপস্থিতি আমি সবসময় অনুভব করি। যারা আমার দুরন্ত জীবনের দৌড়ের সময় আমার সাথে কদম মিলিয়েছিল। বাংলা ছায়াছবিতে নায়ক রুবেল কে যখন গুন্ডারা ঘিরে ধরে তখন তিনি এমন একটা ধাক্কা মারেন যে সবাই ছিটকে দূরে চলে যায়।

ঠিক সেই গুন্ডাদের মত এখন সবাই আমরা ছিটকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছলে গেছি। বাকিদের অন্তরের খবর জানিনা কিন্তু আমার খবর বলতে পারি। আমি আজো তাদের খুব মিস করি। সেই সময় আমার ডায়রি লেখার অভ্যেস ছিল। মাঝে মাঝে সেই ডায়রি খুলে পড়ি, আর ডুবে যাই স্মৃতির অতলে।

মনে হয় তারা আমার কাঁধের কাছে নিঃশ্বাস ফেলে বলছে " দোস্ত, আমরা এখানে আছি, তোর মন খারাপ কেন ? " ডায়রিটা বন্ধ করলেই সব উবে যায় কর্পুরের মত। আমরা ছিলাম একটা দল। সেই দলের সদস্য ছিল মামুন, নয়ন, সালমা, রাজ, সুমন, খুকু, মিতু, ইমতিয়াজ, মিনাত, বিদ্যুত, রাসেল আর আমি। একে একে সবার কথা আজকে বলবো। সালমাঃ কুস্টিয়ার মেয়ে।

আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমরা একে অপরকে খুব ভাল বুঝতাম। একে অপরের চোখ দেখলেই বুঝে যেতাম কিসু ঘটেছে কিনা। আমাদের সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মত। অনেককে অনেক মন্তব্য করতে শুনেছি আমাদের সম্পর্কে।

আমরা শুধু বলতাম " আমাদের মাঝে কি সম্পর্ক সেটা জানতে হলে আমাদের দুজনের মাঝে ঢুকতে হবে। " মন খারাপ থাকলে দুজনে পদ্মার পাড়ে গিয়ে বসে থাকতাম। মন ভাল করার উপায় খুঁজতাম। মাঝে মাঝে দুইজনে গান গাইতাম কন্ঠ মিলিয়ে। সন্ধ্যায় হাসিমুখে যার যার রুমে ফিরে যেতাম।

তার স্বপ্ন ছিল অনেক বড় হবার। হয়েছেও। আমরা দুষ্ট ছিলাম তাই পড়ালেখা ছাড়া সবকিছুই ভালোমত করতাম। ইন্টার এর রেজাল্ট এর পর আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পেলাম। আর সালমা ভর্তি হল রাজশাহী কলেজে।

কিন্তু সে দমে যায়নি। সেখানে ভালমত পড়ালেখা করে বিএ পাশ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম,বি,এ করার জন্য আবেদন করল, পরিক্ষা দিল, পরিক্ষায় পাশ করল, খুবি তে ভর্তি হল। আমাকে কল করে সংবাদ জানাল, খুব খুশি হয়েছিলাম, খুব খুশি। এর মাঝে বিসিএস এ পরিক্ষা দিল, টিকেও গেল। সেটাও জানাল, আমার চোখে পানি এসে গেছিল সেদিন, আনন্দের অশ্রু, আমার বন্ধু আজকে সফল।

আমার খুশি দেখে কে ? শুধু কষ্ট একটাই ওর সাথে কবে দেখা হবে বা আদৌ দেখা হবে কিনা জানিনা। রাজশাহীর পাট চুকিয়ে সে এখন খুলনার বাসিন্দা। " সালমা, দোস্ত, যেখানে আছিস ভাল আছিস জানি। ভাল থাক আজীবন এই দোয়া করি। তোর কি মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা ? যে সময়টাকে আমি আমার জীবনের সোনালী সময় মনে করি।

সবচেয়ে দামি সময়। তোর কি মনে আছে আমরা ঝগড়া করতাম আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে, আমি বলতাম আমার ছেলে অথবা মেয়ে যাই হোক তোর মেয়ে/ছেলের পেছনে লেলিয়ে দেব যাতে তোকে বেয়াইন বানাইতে পারি। ভবিষ্যতেও যাতে সম্পর্ক থাকে। আর তুই বলতে সেটা কক্ষনো হতে দিবিনা। হা হা হা হয়তো তোর কথাটাই সত্যি হবে।

কারন তুই এখন অন্য জগতের মানুষ হয়ে গেছিস। কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস দোস্ত, আমি আছি তোর পাশে, থাকবো আজীবন। যেকোন সময় মনে পড়লে একটু স্মরন করিস, দেখবি আমি তোর পাশে এসে গেছি " cont... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.