আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমনই হবার কথা ছিল

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

তুমি কি জানো তুমি আনব্যান হওয়ার পর তোমারে কি পরিমাণ আক্রমণ করা হবে ব্লগে? প্রশ্নটা ছিল আরিলের। উত্তর ছিল , জানি। তাহলে বলো তোমার রিয়েকশন কি হবে তখন? আমি বললাম চুপচাপ সহ্য করব। আরিল হেসেছে, বিশ্বাস হয়নি মনে হয়। জানা আমার আনব্যান কনফার্ম করার পর ফোনে বলেছিলেন আপনার কাছ থেকে শুরুর দিককার মতো ব্লগিং চাই।

সামহোয়ারের কুতুব টাইপের ব্লগার আমি ছিলাম না কোনো কালেই, তারপর ও অপছন্দের চেয়ে আমাকে পছন্দ করে এমন মানুষ বেশি। সেটা টের পেয়েছি নানা ইন্টার একশানে। সামহোয়ারে এখন কি হচ্ছে? যা হচ্ছে তার আগাম সংকেত কিন্তু আমি আগেই দিয়েছি। কিভাবে? এদের আমার রগে রগে চেনা। এরা কি করতে পারে, কদ্দূর করতে পারে তার কথা আমি লিখেছি আমার সাম্প্রতিক পোস্ট গুলোতেই।

সামহোয়ারের সাধারণ পাঠকরা দেখেছেন আমার ধারণা ভুল ছিল না ঠিক ছিল। কিন্তু এই অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে কি লাভ হচ্ছে এদের? এরা কারা? বেশিরভাগ দেখছি ব্যক্তি আক্রমণসূলভ পোস্ট। আমাকে নিয়ে একাধিক পোস্ট পড়েছে। এমন সব মানুষের পোস্ট ও দেখলাম যারা অফিসিয়ালি আমার সাথে এক চেয়ারে বসার যোগ্যতা রাখে না। এখানে ব্লগার সাইমুমের সাম্প্রতিক ব্যানের সঙ্গে আমাকে মেলাতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র।

সাইমুম ভাই আমার পুরনো সহকর্মী। যায়যায়দিনে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। সামহোয়ারে ব্লগিং ও শুরু করেছি এক সঙ্গে। তার সঙ্গে আমার কখনোই কোনো ব্যাপারে রেষারেষি হয়নি। না ব্যক্তিগত পর্যায়ে, না পেশাগত ক্ষেত্রে।

আমার ব্যান হওয়ার সময় কিংবা ব্যান আন্দোলনের সময় সাইমুম ভাই চুপ ছিলেন। এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। ফেরার পর স্বাগত জানিয়েছেন। তার সঙ্গে তার ক্রিকেট নিয়ে একটি পোস্টে অমনিবাস নিকে মজা করেছিলাম মনে আছে। দ্যাট ওয়াজ পিওর ফান।

উনি কিছু মনে করেননি। এরপর অশ্রুর এক পোস্টে দেখলাম উনি তাকে আমি ঠাউরে কমেন্ট করেছেন। সাইমুম ভাইর সঙ্গে এরপর আমার ফোনে কথা হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছি কেন ওনার মনে হলো আমি অশ্রু। পরে আমি একটা পোস্ট দিয়েছি যাতে সাইমুম ভাই এই বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়েছেন।

এখন বলা হচ্ছে ত্রিলোরা নামের একটি নিকে আমি সাইমুম ভাইকে ব্যান খাইয়েছি। আমি নিশ্চিত এই ভাবনা তার নয়। হলে আমার নাম্বার ওনার কাছে আছে, উনি ঠিকই ফোন করে জানতে চাইতেন এতে আমি কোনো ভাবে জড়িত কিনা। উনি তা করেননি। তাই আমি বিশ্বাস করিনা যে উনার ব্যানের সঙ্গে আমি কোনোভাবে জড়িত এটা সাইমুম ভাই মনে করেন।

কিন্তু খলের ছলের অভাব হয় না। তারা এটি বলছে। সেই সঙ্গে টেক বিডি নিউজে আমার লেখা একটি আর্টিকেল নিয়ে কিসব যাতা বলে যাচ্ছে। অবশ্যই বিডি নিউজ ব্লগ আসছে। সেটার দায়িত্বে আমি থাকব কিনা এখনো নিশ্চিত নয়।

থাকতেও পারি। তবে তাতে সামহোয়ারের কি ক্ষতি হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়। ইভেন আমার আর্টিকেলে আমি রিফাত হোসেনের প্যাচালি এবং ত্রিভুজ ডট কমের উল্লেখও করেছি। যাহোক, এই পোস্ট আমার না লিখলেও চলত। কিন্তু আমাকে উস্কানো হচ্ছে।

আরিল আমাকে এই ভয়ই দেখিয়েছিল, এই জন্যই সতর্ক করেছিল। আমি তখন বলেছিলাম সহ্য করব। এখনো বলছি সহ্য করব। আমার মতো পোস্ট আমি দিয়ে যাব। ব্যক্তি আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করা কোনো সমস্যা নয়।

তাদের প্রতিটি বাণীতেই পরিষ্কার তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এবং এতে অমি পিয়ালের কিছুই এসে যায় না। বরং টিপস দিই, যা করছেন তাতে তাদের উপকারের বদলে অপকারই হচ্ছে। সবাই বিশ্বাস করবে এগুলো আসলেই ব্যাড এলিমেন্টস অব দ্য ব্লগ। যাক সে কথা ।

আমি এখন সোশাল ব্লগিংয়ের পাঠ নিচ্ছি। সেটাতেই আন্তরিক থাকতে চাই। আমার প্রোফাইল বদলেছি। শুধু একাত্তর প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়- এই একটা মনোভাব ধরে রেখে লিখে যাব। ধরে নিতে পারেন ’শিঙ ভাইঙা বাছুর হইছি’।

কি আর করা। আমার প্রতি যাদের চরম বিদ্বেষ, তাদের বলি- ক্ষমা দিলাম, ক্ষ্যামাও দিলাম। তোমাদের পিছনে সময় নষ্ট করার মতো সময় আমার নাই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।