আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি গুরুত্বপূর্ন রোগ

এইখানে ফেরো

‘অবসেশন’ বা ‘অবসেসিভ ক¤ক্সালসিভ ডিসঅর্ডার’ একটি নীরব ঘাতক মানসিক রোগ। পৃথিবীর আদিকাল থেকেই এ রোগের সৃ®িদ্ব। বিভিল্পু ধর্ম, গোত্র, জাতি নির্বিশেষে রয়েছে রোগটির উপস্টি’তি। পৃথিবীব্যাপী বিভিল্পু গবেষণায়, বিভিল্পু সার্ভেতে বলা হয়েছে, অবসেশন অসুখটি মানসিক রোগের মধ্যে চতুর্থ। শতকরা ২.৫ ভাগ লোক সারাজীবনে এ রোগে আত্রক্রাšø হন।

অনেকেই এটি যে একটি রোগ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটি সেরে যায় এ কথাটি জানেন না। এ রোগে আত্রক্রাšø রোগী ভেতরে ভেতরে অনেক ক®দ্ব পেতে থাকেন এবং নিজের ইচ্ছার বিরু™েব্দ একই কাজ বারবার করেন। রোগী নিজেও বুঝতে পারেন তিনি যা করছেন তা নিতাšøই অমহৃলক বা ভিত্তিহীন, তবু তিনি করতে বাধ্য হন। তাই এটিকে বাধ্যগত রোগও বলা যায়। এই রোগটি কম বয়সী ছেলেমেয়েদের বেশি হয় এবং যার মন যার প্রতি বেশি দুর্বল তাকে কেন্দ্র করে বিভিল্পু চিšøা-ভাবনা বা কাজকর্মের উপসর্গ প্রকাশ পায়।

যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তি সৃ®িদ্বকর্তাকে বিশ^াস করেন এবং নিয়মিত নামাজ-কালাম পড়েন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি সৃ®িদ্বকর্তাকে নিয়ে বিভিল্পু ধরনের নোংরা চিšøায় নিজের ইচ্ছার বিরু™েব্দ ম¹ু থাকতে পারেন। এমনকি নামাজে দাঁড়িয়েও এমন চিšøা তার মাথায় আসতে পারে। অপরদিকে নিজের মাকে কে না ভালোবাসেন। এই রোগে আত্রক্রাšø রোগী নিজের মাকে নিয়ে ইচ্ছার বিরু™েব্দ তার মন-মস্টিøষ্ফে‹ যৌন চিšøা পর্যšø চলে আসতে পারে।

রোগী এগুলোকে নিজের মনের সমস্টø শক্তি দিয়ে বাধা দিতে চায় এবং শেষ পর্যšø পরাজিত হয় আর অবসেশন রোগ বিজয়ী হয়। ফলে রোগী নিজেকে পাপী, অপদার্থ এবং ছোট মনে করে। এমনিভাবে ভুগতে ভুগতে সে একসময় বিষণুতা নামক আর একটি মানসিক রোগের শিকার হয়। তাহলে সহজেই অনুভব করা যায়, রোগীর ক®দ্ব তখন কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। অনেকে যšúণা সহ্য করতে না পেরে আͧহত্যা করে বসেন।

অবসেশন বা অবসেসিভ ক¤ক্সালসিভ ডিসঅর্ডার এমনি এক আͧঘাতী রোগ। অথচ মানসিক রোগগুলো স¤ক্সর্কে আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে অতি সহজেই এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সল্ফ¢ব। কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন মানসিক রোগের নিত্যনতুন ওষুধ আবিষ্ফ‹ার হচ্ছে, তাই মানসিক রোগীর চিকিৎসা এখন অনেক সহজতর হয়েছে। তাই আমাদের একটু সচেতনতাই পারে অবসেশনসহ অন্যান্য মানসিক রোগে আত্রক্রাšø রোগীকে বাঁচাতে। রোগের কারণ : পহৃর্বেই বলা হয়েছে, অবসেশন রোগটি কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের বেশি পছন্দ করে এবং ছেলেবেলাতেই এই রোগটি শুরু হয়।

মোট জীবনকালে কখনো বাড়ে, কখনো কমে। দুই-তৃতীয়াংশ অবসেশনের রোগী পরবর্তী সময়ে ডিপ্রেশন বা বিষণুতা রোগে আত্রক্রাšø হয়। কারণ বাল্যকালের শুভ কিংবা অশুভ অভিজ্ঞতা, বংশগত, মস্টিøষ্ফ‹ সংত্রক্রাšø বিভিল্পু জটিলতা, মস্টিøষ্ফে‹র কার্যত্রক্রমের জটিলতা, বিভিল্পু ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার সংত্রক্রাšø জটিলতা, অবচেতন মনের বিভিল্পু রকম কার্যত্রক্রমের ব্যাঘাত ও কিছু চিšøাগত সমস্যা। রোগের উপসর্গ : অবসেশন রোগের প্রধান বৈশি®দ্ব্য হচ্ছেÑ একই কাজ বারবার করা বা একই চিšøা বারবার করা। এই রোগটিতে রোগীর চিšøাধারার ব্যাঘাত ঘটে।

নানা রকম কাল্কপ্পনিক, অভূতপহৃর্ব চিšøা তাদের মনে আসে। তারা নিজেরা এটিকে বল্পব্দ করতে চায়, কিন্তু পারে না। বারবার হাত ধোয়া, গোসল করা, ঘরের তালা লাগানো ঠিকমতো হলো কি-না তা বারবার চেক করা, অনেক সময় দেখা যায় তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই ধরনের কাজ করে চলেছে। আবার কতক ক্ষেত্রে তাদের মাথায় একটা চিšøা ঢুকলে সে চিšøাই বারবার করতে থাকে এবং প্রায় সারাদিনই সে চিšøা করে, রোগী নিজে জানে এ চিšøা অনর্থক, অর্থহীন তবুও কতকটা যেন বাধ্য হয়ে এ চিšøা তাকে করতে হয়। অবসেশনে আত্রক্রাšø রোগীরা সাধারণত সি™ব্দাšø নিতে দেরি করেন, কাজকর্ম ধীরগতিতে করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.