আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজি ছবির নামে ব্লু ফিল্ম

সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...

ইংরেজি ছবির নামে ব্লু ফিল্ম। চলছে এক টিকেটে দুই শো! ফলে বিপদগামী হচ্ছে যুবসমাজ। যা দেখার কেউ নেই! ইংরেজী ছায়াছবির নামে প্রেক্ষাগৃহে অবাধে চলছে নীল ছবির রমরমা প্রদর্শনী। এক টিকিটে দুই ছবির প্রচারণা আবডালে একটি হংকং অথবা হলিউডের রদ্দিমার্কা মারম্নকুটে মুভি এবং অপরটি অনিবার্য ইংলিশ ‘নীল ছবি’ দেখানো হচ্ছে। খোদ ঢাকার ৩টি সিনেমা হলে হরদম চলছে এই বল্লুফিল্ম।

এসব ছায়াছবির প্রদর্শনীতে আক্রান্তô হচ্ছে কিশোর ও যুব সমাজ। উন্নতমানের বিশ্বখ্যাত সুস্থ ধারার ইংরেজী ছায়াছবি প্রদর্শনের জন্য কোন প্রেক্ষাগৃহ বছরের ২০-৬০ ভাগ সময়ের অনুমতি পেয়ে থাকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে। এই সুযোগে কিছু প্রেক্ষাগৃহের অসৎ কর্ণধারগণ ‘দুই নম্বরী’ ব্যবসা করছে। কোন বাংলা ছায়াছবিতে নায়িকার অর্ধ উন্মুক্ত বক্ষ প্রদর্শনীর অভিযোগ পাওয়া মাত্র তা হলসমেত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও ইংরেজী সফট পর্ণগ্রাফী মুভি রীতিমত ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সেন্সর বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে ইংরেজী নগ্ন ছবি চলছে।

এ ছবিগুলো আনা হয় মূলতঃ ভারত থেকে চোরাইপথে। আগে আনা হতো সরাসরি হংকং ও হলিউডের এজেন্টদের থেকে। খরচ বেশী পড়ে বিধায় এখন ভারত থেকে আনা হয়। ভারতের প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত প্রেক্ষাগৃহে যে নীল ছবিগুলো প্রদর্শিত হয়, তা একটি সংঘবদ্ধ চক্র বেনাপোল, হিলি এবং ভোমরা বর্ডার দিয়ে চোরাই রাস্তায় এ দেশে নিয়ে আসে। অতঃপর তা পেঁৗছে যায় গুলিস্তান ও বিজয়নগরের কয়েকজন ইংরেজী ছবি ব্যবসায়ীর হাতে।

বৈধভাবে আমদানীকৃত ছবির প্রিন্টের সঙ্গে পেঁচিয়েও আনা হয় বল্লুফিল্ম। চেন্নাই, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্তবয়স্ক ছবির ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কেনা বহু প্রদর্শিত একটি প্রিন্টের দাম পড়ে ৫০-৮০ হাজার টাকা। ঘাটে ঘাটে পয়সা দিয়ে এক ঘন্টার একটি নীল ছবির প্রিন্ট ঢাকায় ব্যবসায়ীর হাতে আসা পর্যন্তô খরচ হয় ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। এই ছবি থেকে ‘অবসিন’ দৃশ্যগুলো কেটে রাখা হয় আগেই। সেন্সর বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর আবার ঐ কেটে ফেলা খোলামেলা দৃশ্যগুলো জোড়া লাগিয়ে নেয় আমদানিকারকরা।

মজার ব্যাপার হলো-একটি ছবির জন্য সেন্সর সনদপত্র নিয়ে তা অন্তôতঃ ১০-১৫টি ছবিতে লাগিয়ে হলে প্রদর্শন করা হয়। ফলে বল্লুফিল্ম শো দেখলেও দর্শকের হঠাৎ মনে হতে পারে সেটা সেন্সরে পাশকৃত। সংশিস্নষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৈধপথে আনা ইংরেজী ভাষার ছবির রিলের সঙ্গে বল্লু ফিল্মের রিল পেচিয়ে এনে সেন্সর বোর্ডের ইন্সপেক্টর ও কাস্টমসকে ‘ম্যানেজ’ করে ছাড়িয়ে আনে কেউ কেউ। এতে ধরা পড়ার ভয় থাকে কম। এই নীল ছবির ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক হলেও দ্রুত ছাড়া পেয়ে যায়।

পোস্টার ফটোসেট এনে মূলছবি না দেখেই বাংলা ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘মচ্ছব’ চলছে অথচ ‘এক টিকিটে দুই ছবি’র নামে বল্লুফিল্মের উৎসব চললেও তাদেরকে যেন উস্কে দিচ্ছে সেন্সর বোর্ড।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.