আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিস্বাস এবং বিস্বস্থতা

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

নিশ্চিত না হয়ে কোন ব্যক্তি গোষ্টিকে আক্রমনে আমি বিস্বাসী নই। এছাড়া কাউকে সরাসরি আক্রমনে করতেও আমার বাধে, এটাকেও বিনয়ও বলা যেতে পারে আবার ভীতি। জাপানে একবার একবার এক খুনীকে পুলিশ গ্রেফতার করে বেশ কয়টি শিশুকে খুন করার দায়ে। জাপানে যে কোন ব্যক্তির নামের শেষে ছান যোগ করা হয় জনাব অর্থে। কোন এক নিউজপেপারে ঐ খুনিটির নামের শেষে ছান ব্যবহার না করায় শুরু হয় বিতর্ক।

বিরোধিতাকারিদের বক্তব্য ছিল, আদালত কর্তৃক যেহেতু সে এখনো দোষী সাব্যস্ত্ হ্য়নি তাই ছান ব্যবহার না করাটা অন্যায়। আমাদের দেশে প্রায়ই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়,মধ্যযুগীয় কায়দায়। অনেকে এর পেছনে যুক্তিও দেখান। এর কারন এই যে আমাদের দেশের জনগনের পুলিশের উপর আর বিচার ব্যবস্থার উপর কোন আস্থা নেই, তারপরও কাজটি শুধু অমানবিক, নৃশংষ নয়, দন্ডনীয় অপরাধও বটে। লঘু পাপে গুরু দন্ড।

অথচ আমাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে অনেক পুকুর চুরির কাজ হচ্ছে, সমাজে প্রতিষ্ঠিতরা অমার্জনীয় সব অপরাধ করে যাচ্ছেন, কারো কোন বিকার নেই। আশাকরা যায় পুলিশি আর আইনী ব্যবস্থা উন্নত হলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি মেলবে। আমাকে অনেকে বিশেষ শ্রেনীভুক্ত করেছেন, শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্ততে অথবা আমার পোষ্ট পছন্দ হয়নি বলে, অথচ আমি আমার পোষ্টে এমন কিছু লিখিনি যাতে করে মনে হতে পারে আমি সেই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। আবার আমি শুধুমাত্র একটি মাত্র নিকে লিখি অথচ এপর্যন্ত চারপাচটা নিকের ছদ্ধনাম হিসাবে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসলে আমাদের জাতীয় এবং সমাজ জীবনের সবকিছুতেই মিথ্যা আর অসাধুতার ছড়াছড়ি, তাই পরষ্পরকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।

এসব অস্বাভাবিকতা কাটিয়ে উঠে আমাদের দেশ সমাজ সুস্থ্য হয়ে উঠবে, পরষ্পরের প্রতি আমরা বিস্বস্থ হব, এই আমাদের কামনা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।