আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশভাগ ঃ পটুয়াখালীর বুকে নিঃশব্দ রক্তক্ষরণ (প্রথম পর্ব)



প্রারম্ভিকা ঃ কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠেই হাতে ব্রাশ নিয়ে কলেজ রোড ধরে ছুটতাম বাঁধের দিকে। শহরের স্বাস্থ্য সচেতন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের সাথে আমার মত কৌতুহলি শিশুরাও মর্নিং ওয়াকে বেড় হতো। বড়দের সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁটতাম। যদিও আমার নজর থাকতো গাছের দিকে। ফলের সাথে ফুলগাছগুলোও বাদ পড়তো না।

আমার পিছনে প্রায়শই থাকতো ভীত-সন্ত্রস্ত অচেনা দু-একজন ছেলে মেয়ে, হাতে তাদের ফুলের ডালা। রক্ত জবা, গাঁদা, বকুলসহ নাম না জানা ফুল থাকতো তাতে। আমি ফুল কুড়াতাম মনের আনন্দেই; ওরা কুড়ায় পুজার জন্য। আমাকে দেখে ওরাও সাহসী হয়। প্রায়শই আমার ফুলগুলোও ওদের দিয়ে দিতাম।

দুই ভাইবোন আসতো পুরান বাজার থেকে। কয়েকদিন পর আর ওদের দেখলাম না। শুনলাম ওরা ইন্ডিয়া চলে গেছে। আমার খুব মন খারাপ হলো। আজ ওদের নামও ভুলে গেছি।

এভাবে প্রায়ই ঘুমভেঙ্গে শুনি মনভাঙ্গা একটা দুঃসংবাদ। গতরাতে অমুকেরা ইন্ডিয়া চলে গেছে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একরাতের মধ্যেই ওরা নিরবে পারি জমায় ভিনদেশে। শতবছরের বন্ধন ছেড়ে নিজ বাস্তুভূমি থেকে নিঃশব্দে চলে যেতে দেখেছি অনেক পরিবারকে। যতই দুঃখ-কষ্ট-বেদনা কিংবা নিরাপত্তাহীনতা থাকুক না কেন এই নিঃশব্দ প্রস্থান আমার বোধাতীত ছিল বহুদিন।

বড় হওয়ার সাথে সাথে নির্মম সত্যের মুখোমুখি হতে থাকলাম প্রতিদিন। ১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের পর এদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে যাওয়ার স্রোত আজও বন্ধ হয় নি, যদিও ইদানীং কালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষদের ভারত সরকার উদ্বাস্তু বলে স্বীকার করে না। ধরা পড়লে তাদের কপালে হয় পুশব্যাক নয় কারাবাস। দেশভাগের পর সাবেক ভারত বর্ষে যত মানুষের অভিপ্রয়ান ঘটেছে অর্থাৎ পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ, পূর্ববাংলা ও ভারতে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে সবই হয়েছে প্রায় একই সময়ে। ভারতের সকল সীমান্তের অভিপ্রয়ান ৫০ পরবর্তি সময়ে প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে।

একমাত্র ব্যতিক্রম পূর্ববাংলার সংখ্যালঘুরা। আজ ৬০ বছর পরও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে। এর কারন মূলতঃ রাজনৈতিক। ৪৭ পরবর্তি কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলা, ৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরী শত্র“ সম্পত্তি আইন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি হিন্দুদের জাতিগতভাবে নির্মুল করার প্রয়াস এই বাস্তুচ্যুত মানুষের স্রোতকে আরও তীব্র করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তা অচিরেই বাঁধাগ্রস্থ হয়।

মহান সংবিধানের বুকে ছুড়ি চালিয়ে ‘বিসমিল্লাহ’ ও পরবর্তিতে ‘রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম’ সন্নিবেশিত করে অবশিষ্ট সংখ্যালঘুদের আরো বেশী আতংকিত করে তোলে। ৯০ এর পর গণতন্ত্রের নবযাত্রায়ও সুদিন আসেনি সংখ্যালঘুদের। প্রতি ৫ বছরপর অভিপ্রয়ানের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্টপোষকতায় মৌলবাদের সশস্ত্র উত্থান। স্থানীয় সুবিধাবাদী ক্ষমতাশালীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে হামলা আজো অব্যাহত রেখেছে।

হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন, ঘর-বাড়ি-মন্দিরসহ সম্পত্তি দখল কমবেশী আজও চলছে। ফলাফল হিসেবে আজো প্রতিদিন শত শত হিন্দু রাতের আধার নিঃশব্দে বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমায় ভারতে। সুন্দরবনের বন্যতা ও সাগরের হিংস্রতাকে মোকাবেলা করে একদা এখানে বসতি গড়েছিল আমাদের সংগ্রামী পূর্বপুরুষরা। ভারতবর্ষে সভ্যতার বীজ বপন করেছিল বৌদ্ধ সভ্যতা। বৌদ্ধ সভ্যতার আলো দক্ষিণ বাংলায় আসেনি কেননা এখানে মানব বসতি শুরু হয়েছে অনেক পরে।

মধ্যযুগের বাংলায় পটুয়াখালীর সভ্যতা ও পরবর্তিকালে নাগরিক জীবনের গোড়াপত্তন ঘটেছে সম্ভ্রান্ত কিছু হিন্দুদের হাত ধরে। আমাদের শৈশবেও একথাটা সত্য ছিল। পটুয়াখালীর অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি সব কিছুই বিকশিত হয়েছে হিন্দুদের দ্বারা। ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ এতদ্বাঞ্চলের দেওয়ানি চৌকির মুন্সেফ ব্রজমোহন দত্তের প্রস্তাবনায় কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহাকুমা সৃষ্টির ঘোষনা হয়। ১৮৭১ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার একটি মহাকুমা হিসেবে পটুয়াখালী যাত্রা শুরু করে।

মহাকুমা সদর অফিস স্থাপিত হয় কালিবাড়ি পুকুরের পূর্ব পাড়ে। বিএম দত্ত প্রথম ডেপুটি মেজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান। সম্ভ্রান্ত কিছু হিন্দু সমাজসেবীর উদ্যোগে ১৮৮৭ সালে জুবিলী স্কুল প্রতিষ্ঠা পটুয়াখালীর মধ্যবিত্ত সমাজ গঠনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। পটুয়াখালী পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৯২ সালের ১ এপ্রিল। ১৯৪৭ এর প্রেক্ষাপটে পটুয়াখালীর মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজ তখনও গড়ে ওঠেনি।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পটুয়াখালীর সমাজ গঠনে মুসলমানদের অংশগ্রহণ তখন শুরু হয়েছে মাত্র। তিন দিক নদী দিয়ে ঘেরা আজকের পটুয়াখালী শহরের ভৌগলিক চেহারা ৪৭ এ কেমন ছিল, এটা জানার একটা আগ্রহ আমার অনেক দিনের। যতটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি সেই খন্ড চিত্রগুলো একত্রিত করলে সামগ্রিক যে চিত্রটি দাড়ায় তা হলো ঃ শহর ছিল মূলত পুরান বাজার। হিন্দুরাই শহরের প্রাণ। বর্তমান সিএমবির খাল পার থেকে হোটেল বনানী পর্যন্ত ছিল একটানা ধানক্ষেত।

এক ফসলি জমি হিসেবে শুধু আমনই জন্মে এখানে। বর্ষার হাটু জলে এলাকা পরিনত হয় বিশাল বিলে। শীতকালে এটি শুকনো মাঠ। বৈশাখে নিয়মিত ঘোড়দৌড় হত এই জায়গায় অনেকদিন আগে থেকেই। পাকিস্তান রিপাবলিক ডে হিসেবে ২৩ মার্চ সবচেয়ে বড় ঘোড়দৌড়ের আয়োজন হতো।

৫৮ সালে আইয়ুব খান ক্ষমতায় আসলে তা বন্ধ হয়। তখন ঐ এলাকায় শুধুই সাহারা থাকে। কার্তিক সাহা, সনাতন সাহাদের পূর্বপুরুষ। এ টাইপ সংলগ্ন সিএমবির খাল থেকে বোয়ালিয়ার খাল পর্যন্ত তাদের জমি ছিল। আজকে যেটি আরামবাগ আমরা তা সাহা পাড়া নামেই চিনতাম।

ঐতিহাসিকভাবে সাহাদের পেশা ব্যবসা। সাহাদের পর শুরু হয় দাম এলাকা। নিখিল দাম, কানাই দামদের পূর্বপুরুষ। বর্তমান সবুজবাগের অধিকাংশ, সৈকত সিনেমা হল থেকে গোটা কাজী পাড়া এই দাম বাড়ীর অন্তর্ভূক্ত ছিল। দামরা কায়স্থ এরাও পেশায় ব্যবসায়ী।

দাম বাড়ীর পর শুরু হয় যুগী বাড়ি। এই যুগীরা অধিকাংশই দেবনাথ পদবীধারী। পরবর্তি সময়ে সবুজ বাগের রাস্তাটি হলে যুগী বাড়িকে দুইভাগে বিভক্ত হয়। বংশীয় পেশা অনুযায়ী যুগীরা কাপড় বোনার কথা। তাঁতের অস্তিত্ব বর্তমানে না থাকলেও তার অধিকাংশ যুগীরা এখনও কাপড়ের ব্যবসা করে।

মধ্যবিত্তের পাশাপাশি অতি দরিদ্র যুগীরাও এখানে আছে। আজকের শহরের খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয় কার্তিক পাগলাও একজন যুগী। যুগীবাড়ির পর শুরু হয় দত্তদের সাম্রাজ্য। গোটা মুসলিম পাড়াটা ছিল দত্তদের। এ্যাডভোকেট কমল দত্ত কিংবা মুসলিম পাড়ার পংকজদারা এই এলাকার আদিবাসী।

বর্তমান মুসলিম পাড়াটা অতীতে মুসলিম পাড়া ছিল না। তখন মুসলিম পাড়াকে বলতো মোসলমান পাড়া যেটা পুল থেকে শুরু হয়ে জলের কল সড়ক অবধি বিস্তৃত ছিল। দত্তদের কাছ থেকে অধিকাংশ সম্পত্তি মুসলমানদের দখলে চলে আসলে মুসলিম পাড়াটি বর্তমান রূপ পায়। এরপর শুরু হয় সম্ভ্রান্ত হিন্দুদের বাসস্থান ও কর্মস্থান। কলস কাঠিতে ১৩ ঘর জমিদার ছিল।

এদের অনেকেরই জমিদারী ছিল পটুয়াখালী অঞ্চলে। রাজেস্বর রায় চৌধুরী ছিলেন খুবই বিখ্যাত জমিদার। লাইট হাউস সিনেমার সামনের এ্যাকোয়েষ্টেট বিল্ডিংয়ে ছিল তার জমিদারীর হাউলি (কার্যালয়)। বর্তমান এসপি সার্কেলের কার্য্যালয়টি ছিল তার নায়েবের বাসভবন। জমিদার হৃদয় শংকরের পুত্র জমিদার কালিকা প্রসাদ রায়ের নামে নামকরন হয় কালিকাপুরের।

দাম বাড়ী থেকে বর্তমান চৌরাস্তা পর্যন্ত তাদের জমিদারী ছিল। মূল শহর মূলতঃ হিন্দু অধ্যুষিত। ব্রিটিশ যুগের উল্লেখযোগ্য মুসলিম পরিবার ঃ শহরাঞ্চলে হাতে গোনা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম পরিবারের বাস ছিল ১৯৪৭ সালে। বড় মসজিদ এলাকায় ছিল বেশ কয়েকজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার ছিল। মোঃ ফজলুল করিম ছিলেন বুড়া উকিল নামে পরিচিত।

বিক্রমপুর থেকে পিতার হাত ধরে পটুয়াখালী আসেন। তিনি পটুয়াখালীর প্রথম মুসলিম আইনজীবি ও পটুয়াখালী টাউন কমিটির প্রথম মুসলিম চেয়ারম্যান। তিনি মসজিদ, স্কুল, ঈদগাহ, রাস্তা ও দিঘী নির্মাণ করেন। অনেক গরীব ও মেধাবী মুসলিম ছাত্রদের নিজের বাসায় রেখে লেখাপড়া করাতেন। পরবর্তি জীবনে মির্জাগঞ্জে বসবাস করেন।

খান বাহাদুর আকরাম খা বাস করতেন এ এলাকায়। প্রথম জীবনে অকরাম খাঁ শিক্ষক ছিলেন ও পরবর্তিতে আইনজীবি। পটুয়াখালীর দ্বিতীয় মুসলিম আইনজীবি। খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে এতদ্বাঞ্চলের মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন। তিনি পটুয়াখালী মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম মুসলিম চেয়ারম্যান ছিলেন।

শামসুদ্দিন শিকদার সানু মিয়াও থাকতেন এ এলাকায়। দেশভাগের যুগসন্ধিক্ষণে তিনি ছিলেন নির্বাচিত এমএলএ (১৯৪৬ সালের নির্বাচনে)। আরো ছিলেন এমদাদ উকিল। প্রথমে মোক্তার পরবর্তিতে উকিল। তিনি কৃষক প্রজা পার্টির বড় নেতা ছিলেন।

পরবর্তিতে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নির্বাচিত এমএলএ। আসাদ উকিল ছিলেন পটুয়াখালী মিউনিসিপ্যালিটির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান। অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিচারপতি বদরুল হকের বাবা। কলেজ রোডে তার নিবাস। গফুর উকিল ছিলেন বর্তমান আদালত পাড়ায়।

নামী উকিল ছিলেন। সংশপ্তক লেন ও হোটেল বনানী এলাকার অধিকাংশ জমি ছিল তার। এ এলাকায় তখন কাজীদের ও নিবাস ছিল। আদালত পাড়ায় গফুর উকিলের চেম্বারের পাশে ছিল হাশেম ডাক্তারের বাসা। এমএলএফ ডাক্তার ছিলেন তিনি।

চক বাজারের হোসেন আলী সর্দার ছিলেন খুব বড় ব্যবসায়ী। আকড়া বাড়িতে ঢোকার মুখে বা পাশে ছিল তার দোকান ও বাসস্থান। তিনি বিহারী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও মূলতঃ ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে আগত। বিডি হাবিবুল্লাহ ছিলেন কাঠপট্টি এলাকায়। তিনি ছিলেন জাদরেল উকিল, লেখক ও রাজনীতিবিদ।

শেরে বাংলার ঘনিষ্ঠ সহচর। মুন্সেফ পাড়ার প্রথম মুসলিম বাড়ী ‘শান্তি নিকেতন’। মীর মোয়াজ্জেম আলী (মধু মিয়া) ও মীর ওয়াজেদ আলী এই দুই সহোদর থাকতেন । দুজনেই পেশকার। মধু মিয়া খুব ভালো বাঁশি বাজাতেন।

এটিএম ওবায়দুল্লাহ (নান্নু মিয়া) ওয়াজেদ আলীর পুত্র। নান্নু মিয়া ছিলেন তৎকালীন আমলে শহরের প্রধান মুসলিম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকা মিউজিক কলেজ থেকে সংগীতে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। এছাড়া কালিকাপুর এলাকার উল্লেখযোগ্য মুসলিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন আলাউদ্দিন মৃধা। তিনি ধর্ম মন্ত্রী শাহজাহান মিয়ার পিতা।

তৎকালীন আদালতে আলাউদ্দিন মৃধা খুব নামী মোক্তার ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে এর বাইরে খুব বেশী উল্লেখযোগ্য মুসলিম পরিবার পটুয়াখালীতে ছিল না। এর বাইরে শহরের সবকিছুই আবর্তিত হয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হিন্দু সমাজকে কেন্দ্র করে। (এরপরের অধ্যায় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। তারপর থাকবে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেশ ছাড়ার অজানা কাহিনী।

যাদের হাতধরে গড়ে ওঠেছে প্রাচীন জনপদ- পটুয়াখালী, কতটা নিষ্পেষিত হলে নিজহাতে গড়া ভুমিতে আজ তারা নিষ্পেষিত, নির্যাতিত, অপাংতেয়। কতটা লাঞ্চনার পর মানুষ বাস্তুুচ্যত হয়! উত্তরপ্রজন্ম হিসেবে এর দায় আমরাও এড়াতে পারবো না। কোন প্রকার তথ্য বিভ্রাট, তথ্য সংযোজন, বিয়োজনে সকলের অংশগ্রহন এ লেখাকে ঋদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন। )



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.