আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘু - ১



কেমন আছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা? এই আলোচনায় তা দেখার চেষ্টা করব। এইখানে যা আলোচনা হবে তা অবশ্যই সুপ্রতিষ্ঠিত রেফারেন্সের আলোকেই। কাজেই কারও কোন ব্যাপারে মতভেদ থাকলে অবশ্যই তা উপযুক্ত রেফারেন্সসহ আলোচনার অনুরোধ রইল। ভুমিকা: মানব জাতির ইতিহাস থেকে দেখা গেছে যে, মানুষ এক ভূখন্ড থেকে আরেক ভূখন্ডে, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে চলে গেছে এবং পরস্পরের সংষ্পর্শে এসেছে। মানুষের এই প্রবাহমান গতিশীলতা ও আন্তঃসাংস্কৃতিক প্রভাব একটি বিশ্বজনীন প্রক্রিয়া।

সমাজ বিকাশের প্রতিটি স্তরে দেখা গেছে যে- অধিকতর আগ্রাসী জনগোষ্ঠীগুলি আথির্কভাবে ও সামরিকভাবে দুর্বল গোষ্ঠীগুলির ভূখন্ডে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং দুর্বল গোষ্ঠীগুলিকে ভৌগলিকভাবে ও পরিবেশগতভাবে অধিকতর ভঙ্গুর ভূখন্ডের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অধিকতর ভঙ্গুর ভূখন্ডের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের হাতে সামান্য পরিমানে স্বশাসনের অধিকার দিয়ে তাদেরকে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য করেছিল। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিশ্বময় অগ্রগতির ফলে এই ঔপনিবেশিক আগ্রাসী নীতি আরো চরম আকার ধারণ করে । এভাবে সবল জনগোষ্ঠীগুলির বারংবার আগ্রাসনের ফলে কোনো কোনো আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলি একাধারে বৈদেশিক ঔপনিবেশিকতা ও আভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিকতার শিকার হয়। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩৫০০ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ রয়েছে।

প্রত্যেকেই তাদের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলাদা জাতিসত্তার দাবীদার। কিন্তু তার ভিতরে মাত্র ১৯২টি দেশ নেশন স্টেট হিসাবে স্বীকৃত। সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা: সংখ্যালঘু হচ্ছে কোনো একটি দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় জাতিগত,ধর্মীয় অথবা ভাষাগত বৈশিষ্ট্যে সংখ্যালঘু দল বা গোত্র, যারা সুনিদির্ষ্টভাবে তাদের সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ধর্ম বা ভাষাগত বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণে তত্‍পর। সূত্রঃ (Study on the Rights of Persons belonging to Ethnic, Religious and Linguistic Minorities UN Document E/CN.4/Sub.2/1985/31(1985) ইউরোপীয় পরিষদ ১৯৯৩ অনুসারে- সংখ্যালঘু হচ্ছে- রাষ্ট্রের একটি জনগোষ্ঠী যারা; (ক) রাষ্ট্রের নাগরিক এবং রাষ্ট্রীয় সীমানায় বসবাস করে (খ) রাষ্ট্রের সাথে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ (গ) সুনিদির্ষ্ট জাতিগত বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি, ধর্ম বা ভাষাগত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান (ঘ) পযার্প্ত প্রতিনিধিত্বশীল, যদিও সংখ্যায় রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার অথবা রাষ্ট্রের কোনো অঞ্চলের জনসংখ্যার তুলনায় সংখ্যালঘু (ঙ) তাদের সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ধর্ম বা ভাষা রাষ্ট্রের সংস্কৃতি, রীতি-নীতি,ভাষা বা ধর্মের সাথে সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্রঃ (Council of Europe Parliamentary Recommendation 1201(1993) on an additional protocol to be adopted by the Assembly on February 1 1993) সংখ্যালঘু কারাঃ সংখ্যালঘুরা প্রধানত: তিন ধরনের- ১. জাতিগত ২. ধর্মীয় ৩. লিঙ্গগত (চলবে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.