আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি - কুরআনের হাফিয হতে চায় হিন্দু মেয়ে হেমলতা

কল্যাণের কথা বলি, কল্যাণের পথে চলি।

=============== রিপোর্টটি গতকাল হাতে পেয়েছিলাম। যদি আগে কেউ পোস্ট দিয়ে থাকেন তাহলে দ্বীতিয়বার পোস্ট করার জন্য দুঃখিত। =============== ৯ বছরের হিন্দু মেয়ে হেমলতা হতে চায় কুরআনের হাফিয। হেমলতার বাবা দিলীপ কুমার চৌধুরী এবং মা উর্মিলা দেবীর আকাঙ্ক্ষা তাদের মেয়ে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থটি মুখস্ত করবে।

বিহারের পাটনার অধিবাসী হেমলতার বাবা-মা তাকে পাটনার বড় খগৌল জামে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা মদিনাতুল উলূমে পাঠাচ্ছেন যাতে করে সে কুরআনের হাফিয হতে পারে। হেমলতার সাথে তার ৭ বছর বয়স্ক ছোট ভাই আশিষ বিদ্যার্থীও ঐ মাদ্রাসার উর্দু এবং আরবী ভাষার ছাত্র। গত ১৬ জুন ২০০৭ মাদ্রাসার এক অনুষ্ঠানে হেমলতা স্টেজে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে উঠলে উপস্থিত লোকজন খুবই আশ্চর্যান্বিত হন। তারা মন্তব্য করেন ব্যাপারটা অদ্ভূত ও অনন্য। হেমলতার বাবা মিঃ চৌধুরী বলেন, “আমি সবসময় আকাঙ্ক্ষা করেছি আমার ছেলেমেয়েরা উর্দু এবং আরবী শিখবে।

আর সে (হেমলতা) যখন উর্দু পড়তে শুরু করল তখন আমি ভাবলাম যে তার কুরআনও পড়া উচিত। ” খাগৌলের প্রগ্রেসিভ পাবলিক হাইস্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী হেমলতা বলেছে, “আমি কুরআন পড়তে ভালবাসি এবং তা মুখস্ত করতে চাই। ” তার ভাই আশিষ উক্ত স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র। এর আগে আর কোন অমুসলিম কুরআন মুখস্ত করেছে বলে জানা নেই কারো। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিয মুহাম্মদ আলম কাসেমীর মতে “কুরআন পড়তে কারো জন্য কোন বাধা নেই; তবে এর আগে আর কোন অমুসলিম কুরআন মুখস্ত করতে চেয়েছেন কিনা তা আমাদের জানা নেই।

” তিনি কুরআনের সূরা আল-কামারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমরা এ কুরআনকে বুঝা এবং স্মরণ রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি। ” এটা নিঃসন্দেহে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবু বাশার বলেন, “হেমলতার বাবা-মা যখন তাদের মেয়েকে কুরআন শিখানোর জন্য এখানে ভর্তি করাতে চাইলেন তখন আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু এটা একটা সুস্পষ্ট কিতাব এবং আল্লাহ্‌র চিরস্থায়ী মুজিযা, তাই উলামারা মনে করছেন এই কিতাব পড়তে ও মুখস্ত করার জন্য অমুসলমানদের আগ্রহ সে মুজিযারই প্রকাশ। ” [টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.