আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাজোটের মন্ত্রীরা হামলা আতঙ্কে

নিজের জাতি আর মানুষের কল্যাণেই শান্তি পাই।

গণরোষের আতঙ্কে আছেন বর্তমান মহাজোট সরকারের মন্ত্রীরা। এমনকি সংসদ সদস্যরাও এই আতঙ্কে ভুগছে। ১০ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ওপর লন্ডনে হামলার পর এ আতঙ্ক আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে দেখা গেছে, গত এক বছরে গণরোষের শিকার হয়ে লাঞ্চনা ও হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান মহাজোট সরকারের ছয় মন্ত্রী।

এছাড়া বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরের বিভিন্ন সময়ে সাধারণ জনগণ ও নিজ দলীয় কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন আট মন্ত্রী ও দশ সংসদ সদস্য। তথ্যমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ ও পচা ডিম: গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাজ্য সফররত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ওপর আক্রমণ করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই যুবক। তারা ইনুকে কিল-ঘুষি মারে এবং এক পর্যায়ে পচা ডিম ছুড়ে মেরে অপেক্ষমাণ গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। পূর্ব লন্ডনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার অফিসে এ ঘটনা ঘটে। নৌমন্ত্রীর ওপর জুতাবৃষ্টি: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বায়তুল মোকাররম মসজিদের আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনে জুতাবৃষ্টির শিকার হন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।

ইসলামী রাজনীতি ও রাসুল (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ওপর ক্ষিপ্ত মুসল্লিরা এ হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে কোনোরকম পালিয়ে যান মন্ত্রী শাজাহান খান। তোপের মুখে পাটমন্ত্রী: গত ৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইলের ভাসানী হল মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। অর্থমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা: এ বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জামায়াত-শিবির কর্মীদের হামলার মুখে পড়ে অর্থমন্ত্রীর গাড়িবহর।

এসময় অর্থমন্ত্রী নিরাপদে চলে যেতে পারলেও গাড়িবহরের এক পুলিশ আহত হয়। আইনমন্ত্রীর গাড়িতে হামলা: গত বছরের ১৪ নভেম্বর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়। এ হামলায় আইনমন্ত্রীর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা: গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঠাকুরগাঁওয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় জনতা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নকে বিভক্ত করে নতুন করে গেজেট সংশোধন করার প্রতিবাদে এ হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও গত বছরে শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনও বিক্ষুব্ধ নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। এদিকে সরকারের মন্ত্রীরা ছাড়াও অনেক সংসদ সদস্য বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে লাঞ্চনা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, ২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের এমপি আফাজউদ্দিন আহম্মেদ, ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের এমপি কবরী সরোয়ার, জাতীয় পার্টির রংপুরের গঙ্গাচরার এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ননী গোপাল ম-ল, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের এমপি নজর“ল ইসলাম বাবু, ঢাকার এমপি সানজিদা খানম, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের এমপি গিয়াস উদ্দিন, যশোরে সংসদের হুইপ আবদুল ওহাব, নড়াইলের এমপি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী নিজ আসনের স্থানীয় জনতা ও নিজ দলের বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের হাতে হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হন। সুত্র : এম এ আহাদ শাহীন ,আমাদের সময় ,১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.