আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ

তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো... ♫ ♫♫ ♫ ♫

অনুচ্ছেদ ১ শিশু বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী যেকোন মানুষকে বোঝাবে। তবে সংশ্লিষ্ট শিশুর প্রতি প্রযোজ্য আইনে আরো কম বয়সেই শিশুকে সাবালক ধরা না হলে এই বিধান কার্যকর হবে। অনুচ্ছেদ ২ প্রতিটি শিশুর সমান অধিকার আছে। ছেলে/ মেয়ে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মানসিক-শারীরিক সামর্থ, ধনী, দরিদ্র কোনো বৈষম্য থাকবে না। অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ নিজের দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য এই সনদে উল্লেখিত অধিকারসমূহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে ও তাদের অধিকারসমূহের নিশ্চয়তা বিধান করবে।

অনুচ্ছেদ ৩ শিশুদের ব্যাপারে যে কোন প্রকার পদক্ষেপ বা কর্মসুচী গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সর্বোত্তম স্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিতে হবে যাতে তার সব চাইতে ভাল হয়। শিশুর পিতা-মাতা বা এমন কেউ যার উপর শিশুর যথাযথ যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে। যদি সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে রাষ্ট্র সেই সেবা ও যত্ন প্রদান করবে। অনুচ্ছেদ ৪ রাষ্ট্র শিশু অধিকার সনদের অন্তর্ভূক্ত সকল অধিকার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা বিধানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। অনুচ্ছেদ ৫ শিশুকে সঠিক পথে চালানোর দায়িত্ব পিতামাতা ও অভিভাবকের।

শিশুদের লালন-পালনে নিয়োজিত পিতামাতা এবং পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং শিশুর বিকাশ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অনুচ্ছেদ ৬ প্রতিটি শিশুর জীবনধারণ, জীবন রক্ষা এবং বেড়ে ওঠার অধিকার আছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব এ অধিকার নিশ্চিত করা। অনুচ্ছেদ ৭ জন্মের পর শিশুর নামের অধিকার আছে। শিশুর জন্মগ্রহণের পর জন্ম-নিবন্ধীকরণ করতে হবে।

জাতীয়তা অর্জন, নামকরণ এবং পিতামাতার পরিচয় জানবার এবং তাদের হাতে পালিত হবার অধিকার আছে। অনুচ্ছেদ ৮ শিশুর পরিচিতি রক্ষা করা এবং প্রয়োজনবোধে মৌলিক দিক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শিশুর পরিচিতিতে তার নাম, জাতীয়তা এবং পারিবারিক বন্ধনও অন্তর্ভূক্ত। অনুচ্ছেদ ৯ সব শিশুর পিতামাতার সাথে বাস করার অধিকার আছে। যদি না বিবেচনা করা হয় যে, এই একত্রে বাস শিশুর মঙ্গলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

পিতামাতার যে কোনও একজন বা উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও শিশুরা তাদের পিতা এবং মাতা উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখার অধিকার ভোগ করবে। অনুচ্ছেদ ১০ শিশু তার পিতামাতার সাথে পুনর্মিলনের জন্য যে কোন দেশে প্রবেশ বা দেশত্যাগের অধিকার ভোগ করবে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার ব্যাপারে শিশুরা সকল অধিকার ভোগ করবে। অনুচ্ছেদ ১১ পিতামাতা বা তৃতীয় ব্যক্তি কর্তৃক শিশুকে বিদেশে পাচার/ অপহরণ ও দেশে ফিরতে না দেয়াকে রাষ্ট্র প্রতিরোধ করবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.