আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি ইশ্বরের ছবি আঁকতে চাই

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

পৃথিবীর প্রতি ছজনের পাঁচজনের কাছে ইশ্বরের ছবি আছে। এমনকি ইশ্বরের বাচ্চাকাচ্চা আন্ডাবাচ্চার ছবিও। বিশ্বের প্রতি ছ'জনের একজন তাদের ইশ্বরকে কখনও দেখেনি। কিন্তু মনছবিতে সে অনেক মহান, অসীম, যা আঁকার অসাধ্য। যত ইশ্বর আছে বলে মানুষ মনে করে তার বেশীর ভাগই বিভিন্ন রঙ, ঢঙ আর ছবিতে অলংকৃত।

প্রার্থনার কক্ষে, বুকপকেটে, ধর্মীয় পুস্তকে তেমন ইশ্বর নিয়ে ঘোরে বিশ্বের প্রতি ছ'জনের পাঁচজন। বাকী একজন্ ইশ্বরের পয়গম্বরের ছবি নিজের মানস পটে আঁকে, তুলিতে নয়। যদি তার অন্তরে আঁকা ছবি কোনভাবে বেরিয়ে আসে তবে তা হয়তো হবে তার সবটুকু ভালোলাগার মিশ্রনে প্রতিভাষিত। সে সাহস করে না, কারণ তার শৈল্পিক সক্ষমতার চেয়েও সে আরো সুন্দর উপস্থাপন চায়। কিন্তু তাকে নিয়ে কার্টুন, মানে ব্যাঙ্গাত্বক নির্মাণ নিঃসন্দেহে তার জন্য আঘাতসরূপ।

যে যত ভালবাসে তার ভালবাসার মানুষের কুৎসিত উপস্থাপন তাকে তত কষ্ট দেবে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের পিয়ালকে তেমন ব্যাঙ্গাতক নির্মাণ বা প্রকাশের জন্য উদগ্রীব বলে ভাবা যায় না। দীর্ঘ দেড় বছরের ইন্টারএ্যাকশনে আমরা দেখেছি, পিয়াল কেবল স্বাধীণতা প্রশ্নে রাজাকার এবং তাদের সুবিধাবাদী ধর্মীয় নীতির বিরোধিতা করেছে। আমাদের কয়েকজন যখন চরম নাস্তিক্যবাদী পোস্ট ও মতামত প্রকাশ করেছি সেখানে পিয়াল তা এড়িয়ে গেছে সযতনে।

তার ভেতরে একজন ইশ্বর বাস করেছেন সবসময়ই। পরিপূর্ণ আস্তিক। এটা যারা তাকে চেনে সবাই স্বীকার করবে একবাক্যে। কমবেশী মৌলবাদী যত ব্লগার এখানে আছেন সবই বোঝেন, পিয়াল রাজাকারদের বিরুদ্ধে গালির তুফান ছুটালেও কখনও আল্লাহ, খোদা নিয়ে মশকরা করেনি। পিয়াল যদি জানতো এটা মোহাম্মদ সাঃ এর কার্টুন তবে কখনই ব্যবহার করতো না, এ বিষয়ে সন্দেহ থাকা পরিচিত ব্লগারদের উচিত নয়।

আর বিষয়টা পিয়াল ক্লিয়ার করে দিয়েছেন, এখন এত নাচানাচি না করে আসুন এবার আমরা ইশ্বরের ছবি আঁকায় মনযোগ দেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.