আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরি ।



হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরি বাংলাদেশে আসেন ১৯৬৩ সালের ১লা এপ্রিল। ময়মনসিংহ হয়ে তিনি ঢাকা পৌছান। এখানে তাঁর আত্নীয় স্বজন কেউ ছিল না। পকেটে সম্বল ছিল অল্পকিছু টাকা। অনেক ঘোরা ঘুরি করে, পরে ১৯৬৪ সালে বরকত নেভিগেশন কোম্পনীতে চাকরি করেন।

তার পর ঢাকা ক্লাবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে হাওড়া জেলার ঘোষপুরে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন। এবং তিনি মিরপুরে বসবাস শুরু করেন। তাঁর এই স্ত্রীর ঘরে কোনো সন্তান হয়নি। এ সময়ে তিনি মিরপুরের ১২নং সেকশনে কিছুকাল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করেন ।

একজন ভাল ডাক্তার হিসেবে তিনি ঐ এলাকার মানুষের কাছে পরিছিত হয়ে ওঠেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার মুহুর্তে তিনি মিরপুরে কয়েকটি বাঙালী পরিবারের জীবন রক্ষা করেন । এরা তাঁর উপকারের কথা ভুলেন নি। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হবার পর কিছু বাঙালি তাঁর ছয় বছরের পালিতা কন্যাকে তাঁর চোখের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এতিম এ মেয়েটিকে ১৯৬৫সালে তিনি দত্তক হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।

এ সময় তাঁর পক্ষে মিরপুরে থাকা আর সম্ভব হয়নি। তিনি স্বপরিবারে এলিফ্যান্ট রোডে এসে তাঁর ঐ সমস্ত বাঙালি পরিবারে আশ্রয় নেন যাদের প্রান তিনি একদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করছিলেন। এরা তাঁকে পেয়ে খুব খুশী হন এবং সাদরে আশ্রয় দেন। ১৯৭১ সালের পর থেকে তাঁকে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়। তিনি ইমামগঞ্জে গাউসিয়া ট্রেডার্স নামে একটা স্টেশনারী সামগ্রীর দোকান খোলেন।

এ ব্যবসা তিনি চালি্য়ে যান ১৯৭৪ পর্যন্ত। ১৯৭৫ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল বুক এজেন্সিজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক নিযুক্ত হন। এ পদে তিনি আজও বহাল রয়েছেন। হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরি কখনও এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেননি। ১৯৭১-৭৩ পর্যন্ত তিনি গুলশানে জনাব চৌধুরি কামাল হায়দার সাহেবের বাড়িতে থাকতেন।

এরপর তিনি চলে যান পরীবাগে জনাব এস.এম. এ দোজা সাহেবের বাড়ী। এখানে তিনি প্রায় ১১বছর বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি ডি.ও.এইচ.এস এর একটি বড়িতে থাকেন। হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরি মিরপরের পূর্ব মনিপুরে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এটি তাঁর জীবনে বাংলাদেশে নির্মিত ১১তম এবং উপমহাদেশে নির্মিত ৯৭তম মসজিদ।

বায়তুর রহীম নামে এই মসজিদে তিনি মাসের প্রথম শুক্রবার বাদে নিয়মিত জুমার নামজ পড়ান এবং নামজের আগে ও পরে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তক্বরির করেন। তার একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, তিনি সহজে কাউকে মুরীদ করেন না এবং কোনো মুরীদের কাছ থেকে কোনরূপ অর্থ গ্রহন করেন না। রাসুল (সাঃ) এর বাণী প্রচার করাই তাঁর কাজ এবং এ কাজে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। হযরত সৈয়দ আহমদ জৌনপুরির বয়স এখন ১১১বছর। এ বয়সে তিনি নিয়মিত অফিস করেন এবং প্রায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

http://www.vbpl.us/jaunpurisra/


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.