আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'''সন্ত্রাস ও তার ভক্তরা'''

জ্ঞান শূন্য একজন মানুষ|সাধারনের চেয়েও সাধারন|প্রতিভার মধ্যে হাটা,খাওয়া,ঘুমানো,কথা বলা ছাড়া তেমন কিছু নাই|মুক্তমনাদের প্রতি আকর্ষন বেশি|যাহাই খাদ্য তাহাই প্রিয়|কষ্ট পেতে খারাপ লাগে না,সুখ পেলে সহ্য হয় না|নতুন বন্ধু পেতে আগ্রহী… চারিদিকে জয়গান,সন্ত্রাস সুমহান। বাংলাদেশ বর্তমানে সন্ত্রাসের জয়গানে মূখরিত । এখনো সন্ত্রাসরা বাংলাদেশে তাদের শক্ত ঘাটি স্থাপন করতে পারেনি। কারণটা বোধ হয় অভ্যন্তরীন কোন্দল। হয়তবা তারা খুব শিগ্রই ঐক্য গড়ে তুলবে।

কিছু দিনের মধ্যেই সন্ত্রাস বাংলাদেশে তাদের শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করবে। তারা হবে অমর । তখন আমাদের সমকন্ঠে বলতে হবে "সন্ত্রাস এ যুগের অণ্য, সন্ত্রাস এ যুগের বস্ত্র, সন্ত্রাস এ যুগের পানীয়, সন্ত্রাস এ যুগের প্রান" শুধু শপথ করলেই পার পাওয়া যাবে না , আমাদের গাইতে হবে সন্ত্রাশ সঙ্গীত । হয়তবা তারা আমাদের প্রেরণা যুগিয়ে বাধ্য করবে এমন সঙ্গীত পরিবেশন করতে............... " আমরা করবো খুন আমরা করবো খুন , আমরা করবো খুন একদিন...... ও হো ... বুকের গভিরে আছে প্রত্যয় আমরা করবো খুন একদিন" তখন আর আমাদের কিছুই করার থাকবে না । ধর্মের পরিবর্তে অনুকরণ ও অনুশীলন করতে হবে সন্ত্রাসের ধর্ম।

অর্থাৎ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন ধর্মের। আনন্দে বুকটা ভরে যাচ্ছে, আমরা কিছুদিনের মধ্যেই নতুন একটা ধর্ম পাচ্ছি। যেখানে রয়েছে মানুষের মুক্তি !!! নতুন ধর্মটির নাম সন্ত্রাস, যার পবিত্র গ্রন্থের নাম হবে "সন্ত্রাসবেদ"। এই ধর্মের উৎসব হবে রক্ত দিয়ে হলি খেলা । এ গ্রন্থ থাকবে বড় বড় সব সন্ত্রাসদের নাম ও জয়গান, আর ও থাকবে নানান সব অযৌক্তিক মতবাদ ।

এই গ্রন্থ হবে বিশ্বাস ও আবেগের, মানবিক ও স্বাভাবিক। এই গ্রন্থে অবিশ্বাস হবে বিশ্বাস, আবেগ হবে অনাবেগ, অমানবিক হবে মানবিক, স্বাভাবিক হবে অস্বাভাবিক। এই পবিত্রি " সন্ত্রাস" ধর্মে " মানুষ খুন হবে মানবিক কার্য, রুপসীর বস্ত্র হরণ হবে স্বাভাবিক কার্য, আবেগ প্রকাশিত হবে চুরি কিংবা ডাকাতি করার মাধ্যমে, বিশ্বাসের পরিণতি হবে মৌলিক অধিকারহীন জীবন ব্যবস্থা"। সন্ত্রাস সমাজ ব্যবস্থায় প্রেম- ভালোবাসা হবে প'চে যাওয়া ভাবালুতা বলে গন্য। আর খুন, চুরি-ডাকাতি, হিংসা অপমৃত্যু শ্রদ্ধেয় ও সভ্যতাসম্মত ।

সেই সম্ভাব্য সন্ত্রাস সমাজ ব্যবস্থায় যদি আপনি কোন তরুনীর সাথে রাস্তায় নিষ্পাপ মন নিয়ে গল্প গুজব করেন তাহলে আপনাকে আবর্জনাস্তুপ থেকে শুরু করে রাস্তাপতি মাস্তান, বিকলাঙ্গ ভিক্ষুক, লোক দেখানো ধর্ম চর্চায় মগ্ন ধার্মিক,কালোবাজারি, শৃংখলারক্ষী বাহিনী প্রত্যেকেই ধিক্কার জানাবে। তাদের রক্ত হয়ে উঠবে বিপ্লবীদের রক্ত। তারা হয়ে উঠবে সাধু । তাদের রুগ্ন চেতনা হয়ে উঠবে উচ্ছলিত ও সতেজ। তারা সব ছুটবে আপনার দিকে, প্রতিহত করার জন্য।

কারণ আপনি যা করছেন তা সভ্যতাসস্মত নয়। আপনি যদি ঐ তরুণীর সাথে গল্প গুজব না করে তাকে আক্রমন করেন , তার বস্ত্র হরন করেন, তার সৌন্দয্য নরক করে তুলেন কেউই আপনাকে বাধা দিবে না। সবাই গাইবে আপনার জয়গান " হে সন্ত্রাস তুমি মহান ,তোমার চরণে সপে দিলাম আমার এ প্রান"। আপনারা অবাক হচ্ছেন, হয়তবা প্রশ্ন জাগছে কেন আমি এসব লিখছি? লেখার পেছনে যৌক্তিকতা কি? আমি জানি না কি যৌক্তিকতা!!! তবে আমি এটা বলতে পারি যে আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষই এমন একটি সমাজ ব্যাবস্থা চায়। তারা চায় নতুন একটি ধর্মের যার নাম হবে "সন্ত্রাস"।

যার ধর্ম গ্রন্থের নাম হবে "সন্ত্রাসবেদ"। তারা প্রকাশ্যে ঘোর বিরোধী এই সন্ত্রাসের, কিন্তু অন্তরে মহাভক্ত। যদি তারা ভক্ত নাই থাকত তাহলে তারা প্রকাশ্যে এত সব অমানবিক কার্য কলাপের পরেও চুপ থাকছে কেন? তারা যদি ভক্ত নাই হত তাহলে তারা বার বার জোট মহাজোটের পক্ষপাতিত্ব করছে কেন? তারা তাদের এই পক্ষপাতিত্ব করার মাধ্যমেই প্রকাশ করে যে, তারা সন্ত্রাসের ভক্ত। যদি সত্যি আমরা সন্ত্রাস সমাজ ব্যাবস্থা, সন্ত্রাস ধর্ম, সন্ত্রাসবেদ ধর্ম গ্রন্থ না চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই এই জোট মহাজোটের বিপক্ষে দাড়াতে হবে। কারন এখন আর নিরপেক্ষ সন্ত্রাস নেই।

এখন সন্ত্রাসরাও জোট বাধে। আর এই জোট বাধার সন্ত্রাসরা জোট মহাজোটের আওতাভুক্ত রাজনীতিক দলের চামার। আর যদি আমরা চাই সন্ত্রাস সমাজ ব্যাবস্থা, সন্ত্রাস ধর্ম, সন্ত্রাসবেদ ধর্ম গ্রন্থ তাহলে বার বার নির্বাচিত করি এই জোট মহাজোটকে তারা নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত করে দেবে আমাদের আকাংখিত নতুন সন্ত্রাস সমাজ ব্যাবস্থা, নতুন ধর্ম "সন্ত্রাস", নতুন ধর্ম গ্রন্থ " সন্ত্রাসবেদ" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.