আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাগলের পাগলী (প্রথম পর্ব)

আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।
কোন এক অজানা কারণে রিয়াজ আর পরীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর ঠেকলেও এখন দুজনেরই সইয়ে গেছে। ঠিক আমরা যেমন ভেজাল খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

গতকাল রাতেও তাদের 'ঝগড়া' রিয়ালিটি শো টির আরেকটি পর্ব হয়ে গেল। কারণ তেমন সিরিয়াস কিছু না। লাভগুরু বরাবরই রিয়াজের ভাল লাগার একটা অন ইয়ার শো। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে কম ভলিয়মে শুনতে বেশ লাগে। কিছু কিছু মানুষের ভালবাসার গল্প যেন নিষ্ঠুর কংক্রিটের নগরীর রাতের রহস্যজনক নিরবতাকেও ছাপিয়ে যায় আর কিছু কিছু মোড়ের ডাস্টবিনের ধারে ছোটাছুটি করতে থাকা কুকুরগুলোর ঘেউ ঘেউ শব্দের সাথে বাতাসে মিলায়।

গত রাতেও এর কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। রিয়াজ বেশ ফুরফুরে মেজাজে লাভগুরু শুনছে। তার মনে একটা বাড়তি ভাললাগাও কাজ করছে। কারণ সেদিন সে অনেকদিন পর তার পরীকে নিয়ে মজা করে ঘুরে বেড়িয়েছে কোন রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই! যদিও প্রথমে অনেকটা জোর করেই রিয়াজকে সম্মত করতে হয়েছে পরীর। সে মূলত বের হয়েছিল এলিফ্যান্ট রোড যাবে বলে।

প্রথমে ফার্মগেট তারপর সেখান থেকে বন্ধু শান কে নিয়ে সোজা বাটা সিগন্যাল। অনেকদিন হল প্যান্টটা দর্জির দোকানে পড়ে আছে। যাই যাই করে তার আর যাওয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে এটাও আগেরটার মত খুঁয়া যাবে। তাছাড়া আসছে রবিবার একটা ইম্পরট্যান্ট প্রেসেন্টেশান আছে।

তার আগে অবশ্যই ফরমাল প্যান্টটা হাতের কাছে থাকা চাই। কিন্তু বাসা থেকে বের হতে না হতেই পরীর ফোন- - হ্যালো কই তুমি? - এইতো একটু বাইরে। কেন বলতো? - এত শব্দ কিসের? তুমি কি গাড়িতে?? - হুম। এলিফ্যান্ট রোড যাচ্ছি। ঐযে বলেছিলাম না প্যান্টটা আনতে হবে।

- ওহ আচ্ছা ভাল কথা। আমার সাথে দেখা করে যাবা কিন্তু। - আজকে পারব না। শান কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছে। - আমি কিচ্ছু জানি না।

তুমি আমার সাথে দেখা করবা করবা করবা ব্যাস। আমি রেডি হচ্ছি। বাই। -আরে আরে আজব তো!!! - টুট..টুট...লাইন কেটে দিল। এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা গেল না।

সব কিছুতেই একটা ঝামেলা বাঁধাবেই। আর কিছু বললে তো কথাই নেই। ফ্যাচ ফ্যাচ করে কান্না শুরু করে দিবে। এই হয়েছে এক বিপদ। এত কান্না যে ওরা কোথায় রাখে! মাঝে মাঝে তো রিয়াজ বলেই ফেলে "হয়েছে হয়েছে আর কাঁদতে হবে না।

আমার কুলখানির জন্য তো কিছু পানি জমিয়ে রাখ। " ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়! কান্নার ভলিয়ম আরও বেড়ে যায় সাথে যোগ হয় আরও কিছু কিল, চিমটি। কপাল বেশি খারাপ হলে তো একদম কামড়
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।