আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন বছরের প্রথম হার্ডকোর এ্যকশন মুভি গ্যাংষ্টার স্কোয়াড - রিভিউ

প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লস এ্যান্জেলস ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আবির্ভাব হয়। যাদের শুরুটা ছোট খাটো অপরাধের মাধ্যমে। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় এরা মহাপরাত্রমশালী হয়ে উঠে দলটির প্রধান মিকে কোহেনের নেতৃত্বে। গ্যাংষ্টার কোহেন এবারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে কিছু দূর্ণীতিবাজ পুলিশ অফিসার এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিকদের সহায়তায়। সবকিছু করেই পার পেয়ে যায় শুধুমাত্র স্বাক্ষীরাও এসব লোকদের ম্যানেজ করার মাধ্যমে।

পুরো ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য জুড়েই এদের কালো থাবা ছড়িয়ে। অথচ ভিকটিম কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীরাও মুখ খুলতে নারাজ এদের ভয়ে। সাধারন মানুষ, ব্যবসায়ী, পুলিশ কিংবা প্রশাষন কেউ তাদের থামানোর পদক্ষেপ তো দূরে থাক ভয়ে এ চিন্তাও করতে পারছে না। ঠিক এসময় লস-এ্যন্জেলসের মানুষের কাছে দেবদূতের মতো এগিয়ে আসে লস এ্যান্জেলস পুলিশ বিভাগের প্রধান বিল পার্কার। কোহেনের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করার জন্য গঠন করা হয় আলাদা একটি ইউনিট।

যে স্পেশাল ইউনিটটির কাজই হবে গ্যাংষ্টার কোহেনের সব অপারেশন ধ্বংস করা। এ ইউনিটের দায়িত্ব দেয়া হয় চৈাকশ পুলিশ কর্মকর্তা জন মারে কে। জন মারের উপর আরেকটি দায়িত্ব বর্তায় একই ইউনিটের জন্য বাকি সদস্যদের নিয়োগ দেয়া। সে তার এই বিশেষ ইউনিটে তার সঙ্গে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয় আরো পাচজন ইনটেলিজেন্ট অফিসার ও গোয়েন্দাদের। জেরি, হ্যারিস, কেলার, রামিরেজ এবং কেনার্ডের স্বমন্বয়ে জন মারে শুরু করে গ্যাংষ্টার স্কোয়াডের।

গ্যাংষ্টার স্কোয়াড প্রথম অভিযান চালায় কোহেনের জুয়ার আসরে। ধ্বংস করে তার দীর্ঘদিনের লাভজনক এসব অপকর্ম আর টাকা খনিগুলোকে। এরপর একে একে ধ্বংস করতে থাকে তাদের অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম। শেষতক এ স্কোয়াড গিয়ে পৈাছায় কোহেনের বাড়ি গিয়ে। তবে এ অভিযানে গ্যাংষ্টার হারায় তাদের অন্যতম সদস্য কেলারকে।

কেলারকে হারানোর পর বাকি সদস্যরা সর্বশক্তি দিয়ে নামে কোহেনকে ধ্বংস করার কাজে। ক্যশৈলে আটক করা হয় কোহেনের বান্ধবী গ্রেস ফ্যারাডেকে। তাকে বাধ্য করা হয় কোহেনের বিরুদ্ধে জবানবন্দী দিতে। আর কেলার খুনের প্রধান আসামী হিসেবে কোহেনের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেফতারী পরোয়ানার। জন মারে কেশৈলে আদালতের বিচারককে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে এ হুকুম জারি করায়।

গ্রেফতারী পরোয়ানা নিয়ে গ্যাংষ্টার স্কোয়াড শুরু করে তাদের কোহেন ধর অভিযান। এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই হলো কোহেনের রাজত্ব ধ্বংস করা এবং কোহেনকে জীবিত কিংবা মৃত গ্রেফতার করা। এ পর্যায়ে মনে হতে থাকে সত্যিই কি পারবে কোহেনের এত বছরকার প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করতে? নাকি কোহেন শেষ পর্যন্ত থেকে যাবে ধরাছোয়ার বাইরে ? আর অভিযান যদি ব্যর্থই হয় তবে বিল পার্কারই বা কি জবাব দেবেন তার উর্ধ্বতনদের। জন মারে এবারে অভিযান চালায় কোহেনের শেষ আস্তানা পার্ক প্লাজায়। তবে কোহেনও যে সহজে ধরা পরবার পাত্র নন।

শুরু হয় উভয়পক্ষের বন্দুকযুদ্ধ। কোহেন ও তার সঙ্গীরা এবারে মুখোমুখি গ্যাংষ্টার স্কোয়াডের। দুর্ধর্ষ এ যুদ্ধে মারা যায় কোহেনের প্রধান সহয়োগী কার্ল লেনক্স। এবং মারে'র সাথে শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পর্যদুস্ত হয় কোহেন। অগনিত মানুষের সামনে কোহেনের পরাভূত হওয়ার দৃশ্য ধারন করে একঝাক সাংবাদিক।

গ্রেফতারের মাধ্যমেই ইতি ঘটে মাফিয়া সম্রাট কোহেনের। শেষ পর্যন্ত জেলে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যবরন করে একসময়ের প্রতাপশালী মাফিয়া বস কোহেন। অবলুপ্ত হয় বিশেষ এ স্কোয়াডটিরও। ছবিতে কোহেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শন পেন এবং তার বান্ধবীর চরিত্রে ছিলেন এমা ষ্টোন। এছাড়া আরো আছেন জোশ ব্রলিন, রাইয়ান গোসলিং, নিক নোল্টে, এ্যন্হনি ম্যাকি।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন রুবেন ফ্লেচার। ওয়ার্নার ব্রোস পিকচার্সের এ ছবিটি পল লিবারম্যানের গ্যাংষ্টার স্কোয়াড গল্প অবলম্বনে নির্মিত। ছবিটি গত বছর মুক্তির কথা থাকলেও এ বছরের শুরুর দিকটা বেছে নেয়া হয়েছে যা দর্শকদের আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি আরো জানান, আমরা দর্শকদের প্রচুর আগ্রহের কথা জানতে পেরেছি ছবি মুক্তির দিনক্ষন নিয়ে। সে হিসেবে তিনি বেশ আশাবাদী ছবির সাফল্য নিয়ে।

৬০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এ ছবিটি বক্স অফিসে এখন পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.