আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ত্রিভূজের "ছাগু" হয়ে উঠা - পর্ব ২

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

ছাগু মশাই আরেকটা লেখা ছেড়েছেন। পড়ে বিষয়টা অনেকটা পরিষ্কার হলো একজন মানুষ কিভাবে "ছাগু" হয়ে উঠে ধীরে ধীরে - কিন্তু নিশ্চিত ভাবে। এখানে একটা কথা বলা জরুরী - আমি ব্যক্তিগত জীবনে গালাগালি তেমন একটা পছন্দ করি না। কারন গালাগালি হলো দূর্বলের অস্ত্র। ছোটকালে যখন মারামারিতে কোন ছেলে হেরে যেত তখন গালাগালি দিয়ে ভো দৌড়।

কিন্তু "ছাগু" শব্দটাকে গালাগালি মনে হয়নি - মনে হয়েছে শব্দ ভান্ডারে একটা নব সংযোজন - যেমনটা হয়েছে রাজাকার শব্দটা। যাই হোক। একজন মানুষ ছাগু হয় কিভাবে তার বিষয়ে একটা রিসার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি গতকাল। গতকালের প্রথম পর্বটা ছিল কিছুটা এলোমেলো - কথা দিচ্ছি এর পর থেকে গুছানো লেখা থাকবে পাঠকদের সুবিধার্থ। এবার কাজের কথায় আসি।

দেখলাম ছাগু উপাধীধারি ত্রিভূজ সর্বশেষ লেখায় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এটাকে ব্যবসায়িক বা হালকা ব্যবহারে কথা বলেছে। এটা ছিল একটা ডেসপারেট এটেম্ব - যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিন্তা ভাবনাকে কিছুটা বিপথে ঠেলে দেওয়া যায়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, ত্রিভুজের "ছাগু" হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারনে কাজ করেছে - যা পরবর্তীতে বলা হবে। এখানে একটা কারনের বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। কারন - সংগদোষে লোহা জলে ভাসে।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ত্রিভূজের লেখা পোষ্ট হওয়ার পর পরই একদল তোষামোদকী দ্রুত লগইন হয়ে পিঠচাপড়ানো ধরনের কমেন্ট দিয়ে তাকে উৎসাহিত (ত যুক্ত করা যাচ্ছে না) করে। ত্রিভূজ ধীরে ধীরে সেই স্তবকদের তোষামুদে ভেসে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করেছে একটা "খোয়ারে" যেখানে চারপেয়ে ছাড়া কোন প্রানী নেই। এই রকমের এক তোষামুদকারী হলেন - আসরাফ রহমান। দেখুন তার কমেন্ট - "আমাদের দেশের কিছু রাজাকার বাদে সকল মানুষ যখন খেয়ে না খেয়ে যুদ্ধ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে.." খুবই সত্য কথা। তারপর ইতিহাস রাজাকার কুকীর্তি এবং মুক্তিযুদ্ধাদের মহত্ব নিয়ে সদর রাস্তা ধরে ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।

কিন্তু আসরাফ রহমানদের রাস্তা সেটা না - তারা ইতিহাসের কানাগলিতে সবাইকে নিয়ে যাবার চেষ্টায় রত - সেখানে সে ভারতে অবস্থানকারী ছাত্রলীগ আর আওয়ামীলীগের নেতারা কি করেছে সেই বিষয়ে একটা বর্ণনা দেবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটা তো ইতিহাসের মূল রাস্তা নয়। যুদ্ধে হয়েছে বাংলাদেশে। পক্ষে ছিল মুক্তিযুদ্ধারা আর বিপক্ষে পাকি সেনাবাহিনী তাদের সহযোগী ছিল রাজাকার আল বদর আর আল শাসম বাহিনী। ইতিহাসটা এগোবে ১৬ই ডিসেম্বরে দিকে এবং ১৪ই ডিসেম্বর পাঠকরা হোচট খাবে এটা জেনে যে পরাজয় নিশ্চিত জেনে রাজাকারা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য রায়েরবাজারে একটা গনহত্যা করেছে - যা ছিল ৯ মাস চলা গনহত্যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং অপূরনীয়।

কলকাতার হোটেলে কে মদ খেয়েছে সেটা ইতিহাস নয় বা সেটা বাংলাদশের ৯ মাস ব্যাপী সংঘটিত গনহত্যার সাথে সম্পৃক্ত নয় বিধায় সেটা রাজাকারদের জন্যে কোন স্বস্থির কারন হবে না। কিংবা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ৯ মাস ব্যাপী সংগঠিত গনহত্যার দায়ও ওদের উপর পড়বে না। আমাদের কথাটা সুষ্পষ্ঠ এবং পরিষ্কার - আশরাফ রহমানের লেখা উপরের লাইনের উল্লেখিত "রাজাকার" দেরই বিচার চাই আমরা - যারা পাকিস্থানী বাহিনীকে গনহত্যার সহায়তা করেছে - আমাদের মা-বোনদের পাকিদের ভোগের সামগ্রী হতে সহায়তা করেছে - যারা বুদ্ধিজীবিদের হত্যায় জড়িত ছিল। পিরিয়ড। আর ত্রিভূজ ইতিহাসের সদর রাস্তা ছেড়ে আশরাফ রহমানের হাত ধরে অন্ধগলিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কিছু মানুষের মদ্যপানের দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ভয়াবহ গনহত্যাকে দেখতে ব্যর্থ হন।

এখানেই একজন ত্রিভূজের "ছাগু" হয়ে যাওয়া দুঃখের সাথে দেখতে হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।