আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এপ্রিলে জন্ম যাদের। কাসুন্দি ঘাটাঘাটি

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

মানুষের নিবিড় চরিত্র ঘাটাঘাটির আগ্রহ থেইকাই নিউমারোলজী, এ্যাস্ট্রোলজি, পামিস্ট্রি আর ফেইস রিডিংয়ের উপরে হালকা আগ্রহ। চেষ্টা করি পরিচিত মানুষজনের সাথে, পড়া জিনিসপত্রের মিলান্তি খেলাইয়া যাচাই করতে। এপ্রিল মাসে যাইতাছে আমাগো অনেক প্রিয় ব্লগারের জন্মদিন। অরূপ আর রাসেলের কথা বিশেষ কইরা বলতে হয়। মীরা বেগমও আছে লিস্টিতে।

অরূপ আর রাসেলরে দেখার সৌভাগ্য হইছে তাই আগ্রহ নিয়া এপ্রিলের কাসুন্দি ঘাটতে মন চাইতাছে আইজ সকাল বেলা। এপ্রিলে যারা জন্মায় তাদের চরিত্রে যুদ্ধ যুদ্ধ একটা স্টাবর্ননেস থাকে, থাকে এগ্রেসিভ এটিচুড। কারনটা গ্রিক মিথোলজীর যুদ্ধের সিম্বল যে গ্রহ সেই মার্স বা মঙ্গলের প্রভাব বইলা অনেকে বলেন। মঙ্গল স্টাইলের এই মানুষগুলার নেতৃত্ত্বের ক্ষমতা ভালো এবং তাদের বিপজ্জনক খেলাধুলা, স্পিড আর সামরিক জিনিসপত্রের প্রতি আকর্ষন থাকে। এদের চরিত্ররে অনেকটা টাবের্াচার্জড পার্সোনালিটিও কয়।

এরা এক্সিকিউটিভ হিসাবে ভালা করে। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ম্যাগনেটিক, উইটি, সেনস অফ হিউমার ভালা, ভালো স্কলার হওনের ক্ষমতা। ইচ্ছাশক্তি প্রচন্ড। রেস্টলেস এনাজর্ী থাকে। রিস্ক টেকার।

একলা চলোরে। এরা নিজেদের পজিটিভ / নেগেটিভ ইমেজ সম্পর্কে বেশ সচেতন। পরাজয় স্বীকার করা এদের ধাতে নাই। ডাইরেক্ট এবং ফোর্সফুল দুইটা কীওয়ার্ড এদের জন্য। এরা যেহেতু ডাইরেক্টলি তাদের লক্ষ্যের দিকে যাইতে চায়, তাই তরা না চাইলে অনেক সময়ে অন্যরা অফেন্ডেড হইতে পারে।

ইট জাস্ট হ্যাপেনস। এগো মাথার রগ চটা হওনের সম্ভাবনা বেশি। রগ চটার জন্য ছেলেমানুষী গোয়াতর্ুমি এদের জন্য ডাইলভাত। এরা নিজেদের বাড়ি পছন্দ করলেও যেইখানে এ্যাকশন তার আশে পাশে ঘুরঘুর করতে ভালা পায়। এরা যুদ্ধ পরিস্থিতি থেইকা কখনো পিছাইনা।

(বিখ্যাত এ্যারিজের মধ্যে আছে হিটলার এবং সাদ্দাম। এইবার বুঝেন এদের যুদ্ধং মনোভাব। ) এরা কনট্রাডিকশন পছন্দ করে না। এগো দোষ কেউ কইতে গেলে খবর আছে। নিজের মতো কাজ করার স্বাধীনতা না পাইলে এরা প্রথমে কনফিউজড হয়, তারপরে পুরা ইন্টারেস্ট হারায়ে ফেলে কাজে।

যেকোন চ্যালেঞ্জ এরা এনজয় করে। অন্যরা এদের স্পিডের সাথে তাল মিলাইতে না পারলে বিরক্ত হয়। এপ্রিল আলারা খুব দ্রুত সফলতা চায় এবং ধৈর্য্য কম থাকে। ফলে তাগো তাড়াহুড়ায় ডিসিশন নেওয়া যতটা সম্ভব এভয়েড করাই ভালো। (মনে রাখা যাইতে পারে: Aries folks are among the fools who rush in where angels fear to tread, but they can take care of themselves in a scrape. )এরা খুব একটা ফিক্সড স্কিম বা প্ল্যান ফলো করে না।

নিজের স্টাইলে চলতে আগ্রহী। এরা ছল চাতুরীর মধ্যে নাই। এদের অসুস্থতার মধ্যে মাথা ব্যাথা খুুুউব কমন। চোখ একটা দুর্বল জায়গা। পাকস্থলী সংক্রান্ত গন্ডোগোল আরেকটা।

এদের ন্যাচারাল ভালো লাগা রঙ হইলো সাদা আর লাল। [গাঢ়]এইবার যাগো জন্ম 10 তারিখ, যেমন রাসেল....[/গাঢ়] এই পাবলিকের মন আর শরীর দুইটাই শক্ত। দেখনের শক্তির মধ্যে স্বচ্ছতা হ্যাজ। মাথায় আইডিয়া প্রচুর। ম্যাটেরিয়ালিস্টিক ন্যাচারের এবং জীবনের লাক্সারী, ভোগ করার জিনিসপত্র এনজয় করে।

সাধারনত হাইস্পিরিটেড, হাশিখুশি। তীব্র সমালোচনা করার ক্ষমতা হ্যাজ (রাসেলের জন্য কইতাছি না, যারা 10 তারিখে জন্মায় তাগো সবার মইধ্যে এইটা থাকে)। তয় রাসেল এ্যারিজ আর 10 তারিখ হওনে যুদ্ধংভাব নিয়া সে ক্রিটিসিজমের যুদ্ধে যায়। পাসের্ানালিটির মধ্যে একটা চুম্বকীয় আকর্ষন থাকে। ইন্টেলিজেনস আর জ্ঞানের জন্য অন্যরা শ্রদ্ধা করে এদের।

খুব সম্ভব এরা জীবনে আত্নীয়দের কাছ থেইকা ফাইন্যানশিয়াল বেনিফিট পায়। দু:খের বিষয় হইলো এরা সাধারত 46 বছর বয়সের পরে অপটিমাম সাফল্য পায়। চরিত্র আর উইল পাওয়ারের উপরে নির্ভর করে এরা বিখ্যাত হইবো না কুখ্যাত হইবো। [গাঢ়]যাগো জন্ম 9 তারিখ, যেমন অরূপ[/গাঢ়] কনস্টান্টলি এ্যাক্টিভ। লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত শান্তি নাই।

ছোট সমস্যার চাইতে বড় সমস্যা নিয়া মাথা ঘামাইতে ভালো পায়। রেসপনসিবিলিটি ভালো বুঝে, কর্মক্ষেত্রে পরিশ্রমি মানুষ। বউ, বন্ধু বা পার্টনাররা ভুল বুঝতে পারে প্রায়শই। প্রায়শই হ্যা বলার চাইতে না বলতে চাওয়ার প্রবণতাটা হয়তো কিছুটা দায়ী। এরা খুব ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সাহসী, এগ্রেসিভ এবং প্রতিরোধক। যেকোন গ্যাঞ্জামের বিরুদ্ধে লড়ার স্ট্যামিনা আছে। পশুপাখি আর বাচ্চার প্রতি আকর্ষন আছে। ধুম কইরা মেজাজ খারাপ হইয়া যাওয়াটা মোটামুটি পার্ট অফ লাইফ। [ইটালিক]ডিসক্লেইমার: [/ইটালিক] মানুষের চরিত্র প্রেডিকশন খুব সম্ভবত মহাবিশ্বের সবচাইতে জটিলতম বিষয়।

তারপরেও মানুষের চরিত্র নিয়া প্রেডিকশনের সিস্টেমেটিক প্রচেষ্টা বহু প্রাচীন। মিশরীয় সভ্যতা, ক্যালডিয়ান, ব্যাবিলনিয়ান, ভারতীয়, চৈনিক, গ্রীক সবাই ফ্যাসিনেটেড ছিলো মানুষের জন্ম দিন তারিখের সাথে চরিত্রের সম্পর্ক খুঁজতে। তবুও এইটা অনস্বীকার্য যে প্রত্যেক মানুষ চুড়ান্তরকমের স্বতন্ত্র। তাই এই জেনারেলাইজেশন কেবলমাত্র একটা চরিত্রের বিগপিকচার দেয়, কোনমতেই নিখুত আর পরিপূর্ণ না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.