আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

=পরবাসী মননে শান্তি-স্বপ্ন-বাস্তবতা (১)

কাব্য-দিনের কথাঃ স্পর্শের আগুনে! অন্যদিগন্ত: www.fazleelahi.com

পূর্ব পর্বগুলো পড়ুন- !@@!461209 !@@!461210 !@@!461211 !@@!461212 !@@!461213 !@@!461214 !@@!461215 !@@!461216 !@@!461217 স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে (ধারাবাহিক সত্য ঘটনাবলী) ============================= 'প্রবাস মানেই পরবাস' আর 'পরবাস মানেই পরাধীন'; এ উক্তিদ্বয়ের মাঝে প্রথমোক্তটিতে কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে একমত হতে পারছি না দ্বিতীয়োক্তির সাথে। সেই তো এসেছিলাম ঢাকায় থাকব বলে, এর আগে আসা হত প্রতিটি গ্রীষ্মের ছুটিতে, এসএসসি হয়ে গেল তাই ইচ্ছে ঢাকাই কলেজে পড়ব, বাবা ঢাকায়, ছোট ভাইটিও ঢাকায়, আমিও যদি ঢাকাই হয়ে যাই তো পিচ্ছি ভাইটি আর তার চেয়েও পিস্কি আদরিণীটারে নিয়ে মা একলা থাকবেন কি করে? তাই ভাবনাচিন্তাদের গুটিয়ে, গুটিয়ে নিলাম বাক্সপেটরা, উঠা হলো ভাড়া বাসায়, প্রথম দিনেই পেয়ে গেলাম এক 'মামাবন্ধু', ঐ এলাকার শেষ দিন পর্যন্ত সে-ই ছিল বন্ধু। রোমান্সকর প্রতিটি সেদিনের কথা আর কি বলবো, ব্লগছবিতেই কি অনেকটা পরিস্কার নয় কি? বরাবরই হৈ চৈ আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছিল স্বভাব বিরুদ্ধ, তাই এলাকার দঙ্গলগুলোর সাথে খুব একটা মিশতে পারতাম না; যদিও মাঝে মাঝে চাইতাম মিশি, আড্ডা দেই, বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই থাকি, হয়ে উঠতে না অপছন্দনীয় ওদের কথাবার্তা আর কর্মাদির কারণে, তবুও ওদের প্রিয়ভাজন হয়ে থাকতে পারলাম না। ওরা অন্ততঃ দু'বার দশ/বার জনের বিশাল দল নিয়ে পথ আটকালো আর সদুপদেশ (?) দিল, যেন ওদের সাথে মিলে মিশে থাকি, বন্ধুত্ব করি। পন্থার প্রতিবাদ কি করে করি বলুন, একজন অস্থায়ীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য থেকে এলো দশ/বারজন।

মনে মনে হাসলামও খুব। পরবর্তীতে কারণ খুঁজে যা পেলাম, তা হলো ওদের 'ইয়ে'জনেরা আমার প্রশংসার ষষ্টমুখ, তাই এত ঈর্ষা আর বীরত্ব প্রদর্শন। শুরুতেই এই অপ্রাসঙ্গিক কিচ্ছার কারণ হিসেবে বলব- ভাবুন, স্বদেশের পরিবেশে কতটা স্বাধীন ছিলাম। তাই মাঝে মাঝে প্রবাসী বন্ধুদের আড্ডায় সকলেই একমত হই- 'কত শান্তিতেই না কাটালাম বারটি বছর'। তারপরও যে অশান্তি ও যুলুম নেই বা ছিল না, তা নয়; তবুও তুলনা করতে গেলে মহাশান্তি; সন্দেহ নেই।

বারটি বছরে কোনদিন পকেটমার ধরেনি, চলতে পথে মাথার চুলে হাত দিয়েছি বলে গুন্ডাদের আত্মসম্মানে (?) বাধেনি, দিনরাতের যেকোন সময়ে যেখানে সেখানে চলতে মনে এতটুকু ভয় আসেনি; যদিও বছরে দু'একটি ব্যতিক্রম ঘটনা প্রায় বিভিন্ন এলাকা থেকেই আসে, তবুও যেখানে স্বদেশের স্বাধীন মাটিতে প্রতিটি দিন ঘর থেকে বেরুতে ভাবতে হতো- 'ফিরবো তো?'; সে তুলনায় সত্যভাষণে নিতান্তই নগন্য ঠেকে অযাচিত ঘটনাগুলো। বলছিলাম এত এত শান্তিময়তার পরেও যেসব অন্যায়-যুলুমের শিকার হয়ে থাকি আমরা প্রবাসীরা, তার একটা হলো 'কফিল' বা তত্ত্বাবধায়কের পক্ষ হতে বেতন না দেয়া, জোর খাটিয়ে কাজ আদায় করানো, পছন্দ না হলে অন্যত্র না যেতে দেয়া ইত্যাদি। শেষটির শিকার হয়েছিলাম প্রায় কয়েকবার; অন্যায় সহজেই হজম হয় না বিধায় বর্তমানে স্পন্সর নং-৫ অতিবাহিত করছি; তাও যাই যাই পর্যায়ে। তো দ্বিতীয় জনার বেলায় হজ্জে যেতে দেবে না, ইচ্ছানুযায়ী কাজ দেবে না, পরিবর্তনেরও সুযোগ দেবে না; এসব কারণে আচ্ছা বাঁকা বেঁকে বসলাম। অবশেষে হয়ে গেল রাগারাগির এক দফা, কাজ করবো না তো করবোই না; সময় বেঁধে দিল কিছুদিন, 'এর মাঝে পরিবর্তন করে নাও'।

দেরী হওয়াতে না জানিয়েই 'Exit' সিল মারিয়ে নিল পাসপোর্টে আর জানিয়ে দিল- 'দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও'। কিছুটা বিব্রত হলাম, কারণ তখন আমি মোটেও প্রস্তুত নই। {{{ (২) -এর জন্য অপেক্ষা করুন }}} ছবির জন্য !@@!461675 যেখানে। ছবিটি সৌদি আরবের ইয়ানবো এলাকার; উল্লেখিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট যেখানে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।