আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামা “বিপিএল” জ্বরে ভুগছি ,ডাক্তার বলছে “সুস্থ হতে বেশী বেশী ৪/৬ খেতে হবে“

.............। ১৯৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের জ্বর বাধিয়ে ফেললাম শেষ পর্যন্ত................................... “ঔষধ একটাই ,ওয়ান পিস মেড কারিগর ডেড” কি বলব সত্যিই খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম “বিপিএল” শুরু হওয়ার আগে। কি যেন কি হয়। মান এবার বাঁচবে তো? যদি শুধুমাত্র পাকিরা না খেলার কারনে বিপিএল টুর্নামেন্ট অসফল হয, শেষ পর্যন্ত তা কতবড় সমালোচনার কারন হত আমাদের ক্রিকেটের জন্য তা কল্পনা করতেই বুক কেঁপে উঠতো। আর এই চিন্তা থেকেই মনের দুর্বলতার সু্যোগ নিয়ে আশ্চর্য ও বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গা এই জ্বরটি আমাকে পেয়ে বসে।

কিন্তু মনে কিঞ্চিত আশাও পুষে রেখেছিলাম এই ভেবে যে ,যখনই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় ঠিক সেই সময়ই আমাদের ক্রিকেটাররা জ্বলে উঠে এবং আমাদের হতাশা দূর করে,পথ দেখায় নতুর স্বপ্নের পানে। যেমনটা হয়েছিলো ভারতের শেষ বাংলাদেশ সফরে। বাচাল বিরেন্দ্র শেবাগ হুট করে মন্তব্য করে বসলো, উইকেটই নিতে জানে না বাংলাদেশের বোলাররা টেষ্ট জিতবে কি তারা বা তাদের নিয়ে চিন্তারই কি আছে (?) কিন্তু দেখা গেলো প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ভারতকে ২৪২ রানে অলআউট করে দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলো ভারতীয় খেলোয়াড়দের অতিকথন। ওইদিন শাহাদাত তার ৫ উইকেটে নেয়ার পথে যখন টপাটপ আউট করা শুরু করলো একের পর এক বিখ্যাত বিখ্যাত ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তখনই মনে বিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করেছিলাম,কে বলেছে ওরা উইকেট নিতে পারে না,এইতো কত উইকেট নিচ্ছে। আবার এক সময় অনেক সমালোচনা হত বাংলাদেশের কোন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় নেই।

সাকিব নামের একজন এসে দাঁড়িয়ে গেলো,চ্যালেঞ্জ করলো আবার চ্যালেঞ্জ নিলো কাঁধে, জয় করলো কাউন্টি,আইপিএল,বিপিএল,সেরা অলরাউন্ডার,উইজডেন সেরা,এ প্রকারের সব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, নামের সাথে যোগ হল “সুপারস্টার খেতাবটি। এতো দেখি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি রে ভাই,খুঁজে ফিরছিলাম একজন আন্তর্জাতিক মানের তারকা যার নামে কমপক্ষে বাংলাদেশ দলটাকে সবাই চিনবে, কিন্তু মহাতারকা পেয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে সেই পথ ধরে তামিম,মাশরাফি,আব্দুর রাজ্জাক,নাসির,মুশফিকরাও তাদের তারকা স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠত করেছে বিশ্ব ঘরানায়,সেই মিছিলে যোগ দিয়েছে গাজী,মমিনুল,আবুল হাসান,আনামুলদের মত নবাগতরা। এরকম অনেক উদাহরনই দিতে পারবো যেখানে আমাদের দামাল ছেলেরা শেষ পর্যন্ত মাথা নিচু হতে দেয়নি। বিপিএল’কে ঘিরে নানা শংকা ও অজানা ভয় মোটামুটি সব ক্রিকেটভক্তদের মনেই কিঞ্চিত হলেও দোলা দিয়েছিলো তা অনায়াসেই বলা যায়।

কিন্তু আবারো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবার সেই অস্তিত্বের লড়াইয়ে সামনে থেকে লড়ছে আমাদের স্বপ্নবাজ,লড়াকু সৈনিকরা। প্রান কাড়া চার, ছয় এর ফুলঝুরি আর দারুন দারুন সব উইকেট নিয়ে “বিপিএল” এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে রঙের দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছে নাসির,মোহাম্মদ আশরাফুল,সাকিব,আনামুল,শাহরিয়ার নাফিস,আবুল হাসান,মোশাররফ রুবেল,মমিনুল,শুভ,গাজী,ডলার মাহমুদসহ আমাদের লোকাল খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে গতকাল দুরন্ত রাজশাহী বনাম চিটাগং কিংস এর টান টান জমজমাট,উত্তেজনাপূর্ন খেলাটি যেন বিপিএল এর চেহারাই পাল্টে দিয়েছে,নিয়ে গিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। আবার দ্বিতীয় ম্যাচে আশরাফুল ও নাসিরের তান্ডবলীলা, কি টেকনিক বা কি পাওয়ার কোনটার কমতি রাখেনি এইদুজন তাদের ছন্দময় ব্যাটিং প্রদর্শনীতে। এখন বার বার মনে হচ্ছে আরো কত কিছু তাহলে বাকী আছে !! পুরো এক মাস খেলা চলবে , আরো কত বড় বড় খেলোয়াড় আসবে কত ম্যাচ বাকি,সেমি ফাইনাল-ফাইনালও বাকি, ভাবতেই শিহরিত হতে হয়।

ইয়াহু বিপিএল সফল হবে কিনা সেই দুশ্চিন্তায় জ্বর বাধিয়েছিলাম নিজের অজান্তে,এখন ডাক্তারের পরামর্শ হচ্ছে ...............“সুস্থ হতে বেশী বেশী ৪/৬ খেতে হবে, সবগুলো খেলা দেখতে হবে ও বিপিএল’কে সফল করতে হবে,তবেই নাকি এই জ্বর নামবে। “ঔষধ একটাই ,ওয়ান পিস মেড কারিগর ডেড” *পোস্ট রিভিশন চলছে ,বানান বা বাক্যে ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।