আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চকলেট শপিং

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

ছোটবেলায় চলকেট খেয়ে 5ম শ্রেনীতে উঠার আগেই কয়েকটি দাত শহীদ হয়েছে। মামার চকলেট কারখানা থাকায় চকলেটের জন্য আমাদের কষ্ট করতে হয়নি। কিন্তু দাতের সে কি ব্যথা। তখন গ্রামে কিসব মহিলা আসতো দাঁতের পোকা বের করার জন্য।

অনেকের মতো আমার মা ও ওদের দিয়ে পোকা বের করে যখন কোন কাজ হতো না তখন আবার মামার কাছে(মামা ডাক্তার)। স্কুলেই থাকতে ফ্যামেলির সবাই পরবাসী। আমি ও মাঝে মাঝে বায়না ধরে এখান থেকে অনেক চকলেট পেতাম। এখানে আসার পর চকলেট খাওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছি। একদিন ভাইয়া বলে "কিরে দেশে থাকতে শুধু চকলেটের জন্য চিল্লাফাল্লা করতি এখন তো চকলেটের কাছে ও দেখি না" ।

মা বলে "ওর পকেটে সব সময় চকলেট থাকে"। সমস্ত মার্কেট খুজে আমি দেশের মিমি চকলেটের মতো একটা চকলেট খুজে পেয়েছি। সাইজ এতো পিচ্চি যে একসাথে অনেকগুলো পকেটে রাখা যায়। আর অনেক রকমের ফ্লেবার। (ক্লোজআপহাসি)।

দেশে যাকেই এই চকলেট গিফট করি সবাই খুব পছন্দ করে। নিজে ও দেশে যাওয়ার সময় বস্তা ভরে বিভিন্ন করমের চকলেট নিয়ে যাই। কাউকে গিফট করলে ও চকলেট। দেশে অনেকগুলো পিচ্চি বোন আছে। কোন সময় চকলেট পাঠালে বলে -ভাইয়া তুমি এতো চকলেট পাঠাও।

খেতে তো 2মাস লাগে। এক ফ্রেন্ড হঠাৎ করে দেশে যাবে। কোন কিছুই কেনাকাটা করতে পারে নাই। আমি একটু ফ্রি তাই টিকেট থেকে শুরু করে শপিং ও আমাকে করতে হচ্ছে। আমি চকলেট কেনার দায়িত্ব নিয়েছি।

গত বছর যখন ও দেশে যায় তখন নাকি ওর চকলেট কম হয়েছে। আল্লার নাম নিয়ে শপিং সেন্টারে ঢুকে ট্রলিতে চকলেট নিতে নিতে দেখি এখন আর জায়গা নাই। তিনটি বড় ব্যাগে ও জায়গা হচ্ছে না। হাতে নিয়ে বুঝলাম আজকে খবর আছে। মিনিমাম 30 কিলো হবে।

কোনমতে বাসায় এসে ওজন করে আমার মাথায় হাত। 27 কিলো চকলেট। বন্ধু অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলেছে আমার ইচ্ছে মতো,প্রান খুলে চকলেট কিনতে (ব্যাটা বুঝে নাই এখন ঢেলা বুঝবে)। টিকেটে ওজন লিখা আছে 35 কিলো। আমার চকলেট কেনার অবসহা উনি জানে না।

এখন ও কসমেটিক কেনা হয়নি। কসমেটিকসের ওজন তো আরও বেশি হবে। কসমেটিক কিনতে যাওয়ার আগে উনাকে একটু পাম দিতে হবে যাতে কম কিনে। ঝাড়ি খাওয়ার বিরাট সম্ভাবনা। তারপর ও তো নিজের নামের প্রতি অবিচার করা যায় না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।