আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহসান কবিরের উপর হামলার প্রতিবাদে।

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

আজকে একটা খবর শুনে মনটা বিষন্ন হলো, অনেক কিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম, হয়তো তার কিছুটা করবোও, তবে খানিকটা সময় নিরবতার তুলে রাখি সেই আহসান কবিরের জন্য। আহসান কবিরের সাথে হঠাৎ করেই কয় দিন আগে পরিচয় হলো, তখনই সে একটা বড় ধাককা সামলে এসেছে। তার অসুস্থতার কারনেই তাকে ডাক্তার সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছিলো। তবে তার ইচ্ছা ছিলো তার নিজস্ব পেশায় ফিরে যাওয়ার। তার চা- সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ এসব নিয়েও কথা হচ্ছিলো।

কথা হচ্ছিলো তার যাওয়া না যাওয়া নিয়ে। আমার দেশ নামক দৈনিকে তার কি কাজ তাও আমি জানি না। যাই হোক সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে হয়তো তার জন্যই ভালো হতো। তার কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে কোনো অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসী দল তার উপরে হামলা করেছে। লেখকের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে মায়া কান্নার অবসর কি আসলে আছে? যেকোনো সাধারন নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করতে অক্ষম রাষ্ট্র তবুও একজন পরিচিত লেখক এবং একজন সাংবাদিককে নিরাপত্তা দেবে রাষ্ট্র এমনটাই প্রত্যাশা থাকে, তারাই দেশের বিবেক বলেই তাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে রাষ্ট্র নিরত করবে এমন অমূলক প্রত্যাশাও থাকে।

তবে কারো কাছে বিচারের দাবী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই আসলে এখন, রাষ্ট্র যখন নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বিব্রত তখন আহসান কবিরের উপর সন্ত্রাসী হামলার দায় রাষ্ট্রের কাঁধে চাপিয়ে তাকে আরও বেশী বিব্রত করতে নারাজ এখন আমি। উপদেষ্টারা হাঁচলে পাদলে যেভাবে সাংবাদিক দল ঝাপিয়ে পড়ে তাদের উপরে যেভাবে শামসুর রহমানের মৃতু্যর পর অশালীন ভাবে তার মৃতু্য পরবর্তি মাতম সরাসরি প্রচারিত হয়েছিলো বিভিন্ন চ্যানেল নিউজে তেমন তা আহসান কবিরের ব্যাপারে হয় নি, আসলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে খুব বেশী মিডিয়া আনুকল্য পেতে হলে পকেটের জোর কিংবা অন্য কিছুর জোর থাকতে হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।