আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথিলার মৃত্য তদন্ত



আঠারো বছর বয়সে মানুষ অসুখে মারা যাবে তাও আমেরিকার মত একটা দেশে চিকিৎসা করতে যেয়ে। রুবেল ছেলেটার প্রতি আমার বিরক্তির শেষ নাই। তার পোস্ট পড়লে মনে হয় খালি শিরোনামে ভরপুর, বিস্তারিত কোন খবর নাই। রুবেল কে বলেছিলাম মিথিলার অসুখ সম্পর্কে জানাতে, মিথিলার কোন পোস্টেও ওর অসুখের কোন বিস্তারিত জানি নি। আমার কথা হল বিত্ত অনুপাতে রোগ চিকিৎসার করার সামর্থ্য থাকার পরেও কেউ অল্প বয়সে মারা গেলে আমি খুবই বিরক্ত হই, কারণ এক্ষেত্রে মূল কারন হয় অজ্ঞতা, শুধুই অজ্ঞতা।

ক্যান্সার কোন জেনেটিক রোগ নয়। এটার চিকিৎসা সম্ভব, তবে তা শুরু করতে হয় প্রথম থেকেই চিকিৎসা করাতে দেরী করলে পরে আর কিছু করার থাকেনা। মিথিলার যেহতু ক্যান্সারে মুত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই। আমার এক পরিচিত জনের একটা সাধারণ রোগ হয়েছিল, রোগটা কি? রোগটা সাধারণ তবে ক্যান্সার-সাধারণ রোগ।

এধরনের রোগের প্রথমে কমপ্লিকেশন হয় খুবই সাধারণ তবে ছেড়ে দিয়ে রাখলে ৫- থেকে ২০ বছরের মধ্যে ক্যান্সারে রূপ নেয়। ক্যান্সার আবার দুধরনের একটা স্ট্যাটিক যেটা যেখানে হয় তার আসেপাশে ছড়ায় যা অপারেশন করে কেটে ফেলা যায় , দুএকটা মিউটেটেড সেল থাকলে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি দিয়ে সারানো হয়। আরেকটা হল ছড়ানো টাইপের যেটা এক জায়গায় হলেও দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যায়। যেমন ফুসফুসে হলেও সেটা মস্তিস্কে ছড়িয়ে যায়। মিউটেডেট সেল গুলো রেডিও/কেমো থেরাপি দিয়েও ধরা যায় না।

যার চিকিৎসা কঠিন এবং মৃত্যু হওয়া টা খু্বই সম্ভব। এখন প্রশ্ন আসছে অবহেলার বিষয়টি। কেউ যদি কোন রোগ হওয়া পর তা ক্যান্সারে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত রোগ টাকে অবহেলা করে , তার প্রতি আমার কোন মমতা নেই। অজ্ঞতার কোন ক্ষমা নেই। মিথিলা কি রোগ হয়েছিল এটা বিস্তারিত জানতে পারলে ওর প্রতি একটা উপসংহার টানতে পারতাম।

রুবেল বিস্তারিত জানাবেন আশা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।