আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পুরুষবোধ (পর্ব-7) : বাবলুভাইর অপ্সরা বউ আর আমাদের প্রেমভাব

একটি পুরুষ হয়ে ওঠার বৃত্তান্ত

প্রভার সাথে শত্রুতা জমলো না প্রভার হার মেনে নেবার ভঙ্গিতে। তার চোখে আপোষের দৃষ্টি। থিতিয়ে গেল প্রভ া আর ট্যাবলেটের গল্প। ট্যাবলেটকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নিয়েছি। আর কল্পনার নায়িকা তখন রক্তমাংসের পাড়ার বোন।

সেই সময় আশ্চর্য্য ঘটনাটা ঘটলো। প্রভার মায়ের প্রেমিক বাবলু ভাই বিয়ে করে নিয়ে এলেন এক আশ্চর্য্য অপ্সরী - কি আশ্চর্য্য গায়ের রঙ, কি সুন্দর তার চোখ, ববিতার মতো চুলের থেকে এক ফালি নেমে এসেছে চোখের কোনায়, আর সে চোখ যে কি মিষ্টি... আমরা তাকে দেখি আর ... মনে হয় সিলভিকে নিয়ে চলে যাই দুরের কোন দেশে... ওর সব কষ্ট ধুয়ে মুছে দেই>> আমরা কল্পনায় দেখি প্রভার মা ( আমরা বলতাম ব্রিগেডিয়ারের বউ) আর বাবলু ভাই এর অন্তরঙ্গ দৃশ্য -কিছুতেই মেনে নিতে পারি না এই লোকটি এই সুন্দর মেয়েটার সাথে প্রেমের অভিনয় করবে... আমরা আমাদের বারান্দায় জটলা করে দাড়িয়ে থাকি- কাঠের টুকরোকে ব্যাট বানিয়ে পিংপং বল কিংবা টেনিস বলে ক্রিকেট খেলি আর অপেক্ষা করি-. কখন সিলভি বের হবে... সিলভিয়া ছিল উনার নাম - আমরা ডাকতাম সিলভি - তাকে কখনোই ভাবী ডাকতে ইচ্ছা করেনি। দিনের বেলা বাবলু ভাই অফিসে গেলে পুরোটা দিন একলা ঘরে থাকতে হতো বলেই প্রায়ই তিনি বারান্দায় আসতেন। আমাদের একতলা খোলা বারান্দার সাথের লাগোয়া বাড়ির বারান্দাটাই ছিলো বাবলুভাই এর। মাঝখানে তিন ফুটি একটা লাল দেয়াল দাড়িয়ে জায়গাটা আলাদা করা।

তিনি বেরিয়ে এসে একটা সুন্দর হাসি ছুড়ে দিয়ে আমাদের খেলা দেখতেন। আমাদের মন আনন্দে ভরে যেত। বাবলু ভাই এর সাথে খালাম্মার সম্পর্ক বাইরে থেকে তখনও বেশ ভালো। তিনি বাবলু ভাইকে বউসহ প্রায়ই দাওয়াত করে খাওয়াতেন। আমাদের ইচ্ছা করতো আমরা তাকে সব বলে দেই।

ধেির ধীরে সিলভির প্রতি আমাদের টান কামার্ততার ছোয়া পায়। একদিন এক দারুন রাতে তাকে আমরা দেখে ফেলি পেটিকোট আর ব্লাউজ পরা অবস্থায়। আমরা আর স্থির দাড়াতে পারি না। কিছুদিন পরসিলভি আমেরিকায় ওর ভাই এর কাছে দুই মাসের জন্য বেড়াতে যান। সেই সময় বাবলু ভাই এর ঘরে খালাম্মাকে যেতে দেখে শরীরের ভেতর এক উত্তাপ টের পাই।

আমি অনেকদিন পরও অভিমানী খালাম্মার সাথে বাবলু ভাই এর মান ভাঙানো আচরন কল্পনা করে রমন কল্পনার উত্তেজনা কল্পনা করেছি। এমন সময় পাড়ায় এলো সুমী - ভারী কিন্তু নিটোল শরীরে ও গট গট করে হেটে যেত। ওর নাম দিলাম হোন্ডা সিভিক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।