আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পুরুষবোধ (পর্ব -3) : একটি মেয়ের হাত ধরা ও সচোক্ষে প্রথম নিরাভরন নারী

একটি পুরুষ হয়ে ওঠার বৃত্তান্ত

ক্লাশ টুর শেষের দিকে পাশের বাড়িতে এলো তৃপ্তি । আমার ক্লাশেই পড়ে, তবে অন্য স্কুলে। তৃপ্তিকে ঘিরে আমার প্রথম বউ ভাবনার জন্ম। একদিন পড়ার ফাকে লেখার খাতায় গোটা গোটা অরে নিজের অজান্তেই লিখে ফেললাম তৃপ্তি আমার বউ। লিখেই লেখাটার উপর পেন্সিলের ঘষায় পৃষ্ঠাটাই গেল ছিড়ে।

তৃপ্তিরা ছিল দুই বোন। বড় বোন রাত্রি ছিল দুই ক্লাশ উপরে। দুই বোনই ছিলো আমার খেলার সঙ্গী। খেলায় খেলায় দিন পার হচ্ছিল দ্রুত। একদিন খেলার সময় আমি অজান্তে তৃপ্তির হাত ধরলে সে চিৎকার করে উঠে।

আমি ভয়ে হাত ছেড়ে দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে মাথা নেড়ে চুপ করে যায়। এসময় আমাদের তিন তালায় আসেন এক অপ্সরার মতো ভাবী। দুধে আলতা রঙে তাকে কি যে ভালো লাগতো। ভদ্রমহিলার নাম এখন আর মনে নেই। কিন্তু এই মহিলাকে ঘিরে আমার মধ্যে প্রথম নারী বিষয়ক ঈর্ষার জন্ম।

ভদ্রমহিলার স্বামীর প্রতি এখন আর সেই ঈর্ষা এখন আর নেই। মহিলাটির চেহারা মনে করবার চেষ্টা করলে যে ছবিটি ভেসে ওঠে তার সাথে ববিতার প্রথম দিককার ছবির মিল পাওয়া যায়। এই দম্পতি অল্প দিনের মধ্যেই কোথায় জানি চলে যান। এ সময় একটি ঘটনা ঘটে। রাত্রি আমাকে প্রথম বড়দের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে গল্প বলে।

গল্পগুলো আমার মধ্যে কোন উত্তেজনা তৈরী করে নি। আমি কেবল রঙ করা পুতুলের মতো রাত্রির গল্প শুনে যেতাম। রাত্রিই আমার জীবনে প্রথম বাস্তবের নারী রহস্য দর্শন। এক মেঘলা দুপুরে আমি রাত্রিদের বাসায়, ঘরে কেউ নেই আমায় ফেলে কোথায় জানি গেল। আমি বসে আছি ওর অপোয়।

হটাৎ শুনি ওর ডাক -আমি এগোতেই থমকে দাড়াই - রাত্রি দাড়িয়ে আছে পূর্ণ নিরাভরন দেহে। আমার কিন্তু আশ্চর্য্যভাবে সবই স্বাভাবিক লাগছিল। আমি কেবল দাড়িয়ে ওকে দেখি - ও আশ্চর্য্য সাবলীলভাবে আমার সামনে বিনা কাপড়ে ঘুরে বেড়ায়। আমিও স্বাভাবিকভাবে বসে থাকি। একসময় কলিংবেলের শব্দে ওর গায়ে কাপড় ওঠে।

আমি তখন ক্লাশ ফোরে রাত্রি সিক্সে। পরের দুই বছরে রাত্রির সেই নিরাভরন দেহের কথা আর পড়া হয় নি। কেবল নর নারীর গোপন অভিসারের গল্পে শ্রোতা হয়ে বসে থাকতে হয়েছিল। রাত্রি হারিয়ে গেল গোটা জীবনের জন্য, কেবল ইন্টার মিডিয়েট পরীার পর ওকে দেখেছিলাম রাস্তায় বান্ধবীদের সাথে দাড়িয়ে থাকতে। আমি না দেখে এড়িয়ে চলে যাবার মুখে খপ করে হাত চেপে ধরলো সে।

আমায় না চিনার ভান করে চলে যাচ্ছিস- আমি কাষ্ঠ হাসি মুখে এনে চুপ করে দাড়িয়ে থাকি। সে বকা ঝকা করে আমায় বাসার ঠিকানা ধরিয়ে দিল। কিন্তু সেখানে আমার আর যাওয়া হয় নি। গেলে হয়তো আর একটা গল্পের জন্ম হতো। সে তো অনেক পরের কথা।

এর মধ্যে এসেছিল - কচি। ষষ্ঠ শ্রেনীর বালক আমি তখন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।