আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমতিয়াজ আহমেদ কানাডা থেকে দেশে ফিরেই কোটিপতি ব্যবসায়ী!

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই কপর্দকহীন অবস্থায় দেশে ফিরে এসেছিলেন ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাবু। কানাডায় ড়ফফ লড়ন করা স্বল্প বেতনের এই যুবকের পরের ইতিহাস ভিন্ন। সোনালী ব্যাংকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায়, তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, 2003 সালে ঢাকা নিটিংয়ের ব্যাংক ঋণের জন্য দাখিল করা স্থাবর সম্পদের তালিকায় 1টি সিএনজি স্টেশন, 1টি গর্মেন্টস ফ্যাক্টরি, একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা, একটি জুয়েলারি শপ, বনানীতে 7 কাঠা জমি, কাকরাইলে বাড়ি, 1টি প্রাডো জিপ ও 1টি নোয়া মাইক্রোবাস দেখানো হয়েছিল।

এসব সম্পদের মূল্য ধরা হয়েছিল 3 কোটি 93 লাখ টাকা। এই সম্পদের তালিকা এবং নগদ অর্থের পরিমাণ এখন অনেক দীর্ঘ বলে জানা গেছে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি পিতার ক্ষমতা ও প্রভাবকে ব্যবহার করেই তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার নিটিং ফ্যাক্টরির 24 কোটি 12 লাখ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যই সোনালী ব্যাংকে প্রথমে এমডি এবং পরে চেয়ারম্যানকে পরিবর্তন করা হয়েছে। অবৈধ সিএনজি ফিলিং স্টেশনটিকে পাহারা দেয়ার জন্য সরকার পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় যে নিটিং কম্পানিটি করার প্রসত্দাব সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে সেটিতে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা শ্যামাকে এমডি দেখিয়ে তার শেয়ারের পরিমাণ দেখানো হয়েছে 36 শতাংশ। শ্যামার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কোনো সম্পদ থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ব্যাংক ঋণের জন্য যেসব সম্পদ দেখানো হয়েছে সেগুলোও বাবুর নিজস্ব। বাকি 54 শতাংশ কম্পানির চেয়ারম্যান বাবুর নামে। নিটিংয়ের অন্য দুই পরিচালক হচ্ছেন লালমাটিয়ার গাজী আবুল কালাম ও বাড্ডা রাজউক আবাসিক এলাকার মনির হোসেন।

এ দুজনের শেয়ারের পরিমাণ 5 শতাংশ করে। প্রসঙ্গত, বাবু 2003 সালে নিজ পছন্দে ঢাকার সায়েদাবাদে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর পেশায় একজন ট্যাক্সিচালক এবং শাশুড়ি রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেলের কম্পিউটার অপারেটর। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আত্দীয়তার পর তারা দুজনই তাদের পুরনো পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দেশের মানুষের কাছে বাবু রাষ্ট্রপতি পুত্র হিসেবে পরিচিত হলেও নিজ গ্রামের মানুষ এখনো তাকে আবুল কাসেমের ছেলে হিসেবেই মনে করে।

কারণ ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ 1977 সালে তার নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জের নোয়াগাঁওয়ের প্রতিবেশী আবুল কাসেমের 7 দিনের একটি শিশুকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই শিশুটিই আজকের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুত্র ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাবু। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের কোনো সনত্দান না হওয়ায় তিনি এই দত্তক গ্রহণ করেছিলেন। অবশ্য ইয়াজউদ্দিনের সাবেক আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ স্ত্রীর গর্ভেও দুই সনত্দান রয়েছে। যাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির এখন প্রকাশ্য কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানা গেছে।

যদিও বঙ্গভবনের প্রকাশনায় রাষ্ট্রপতির সনত্দানের বর্ণনায় তিন সনত্দানের 'জনক' হওয়ার কথাই উল্লেখ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী দুজনের জনক, বাংলাদেশের পুত্রের (বাবু) পালক পিতা, জনক নন। সূত্রটি জানায়, ইয়াজউদ্দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকাতেই বাবু বড় হয়েছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ও কলেজ থেকে বাবু এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।

প্রথম বর্ষে থাকাকালেই কানাডায় পাড়ি দেন। সেখানে তার পড়াশুনার কতোটুকু হয়েছে তা জানা যায়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।