আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহম্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আমাদের ক্ষমা করুন! (আপনি অপরাধ করেছেন গো. আজমের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়ে)।

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। ১/সৈয়দ ওয়াহেদুল আলম জুনু-(সাকা-র বিরুদ্ধে অন্যতম স্বাক্ষী) রহস্যজনক মৃত্যু। ২/তানভীরমোহাম্মদ ত্বকীর(না.গন্জ গনজাগরন মঞ্চের উদ্যোক্তা-রফিউর রাব্বির মেধাবী সন্তান) ৩/আহাম্মদ রাজিব হায়দার(ব্লগার,শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চের সক্রিয় কর্মি) ৪/কনস্টবল বাদল মিয়া(শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সি সি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রক) ৫/জাহিদ হোসেন জিতু(বরিশাল একাত্তর মঞ্চের কর্মি,ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক) ৬/জগতজ্যোতি তালুকদার(সিলেটের গনজাগরন মঞ্চের কর্মি,যুবলীগ নেতা) ৭/সানিউর রহমান সানী(শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অংশগ্রহণকারি) ৮/কামাল পাশা(যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার কন্ঠ) ৯/রিয়াজ হায়দার(চট্রগ্রাম গনজাগরন মঞ্চের কর্মি) ১০/কবির হোসেন সিদ্দিকী(চট্রগ্রাম সাঙ্গু পত্রিকার সম্পাদক) শেষ করা যাবেনা এই তালিকা......জামাতি তান্ডবে নিহত পুলিশ সদস্য সহ অসংখ্য জনতা। এই মৃত্যুর মিছিল আর কতটা দির্ঘ হোলে সরকারের টনক নড়বে!তাহোলে কি যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ার অপরাধে হারাতে হবে আমাদের ভালবাসার আপন জনদের ।

এটাই কি আমাদের নিয়তী। কোথায় আপনাদের স্বাক্ষী সুরক্ষা আইন?কি পদক্ষেপ নিয়েছেন অসহায় স্বাক্ষীদের রক্ষা করার জন্য। আমরা কোন গালভরা প্রতিশ্রুতি চাইনা বর্তমান সরকারের কাছে। যা কোন কাজেই আসেনা আমাদের জিবদ্দশায়। অনুগ্রহ করে আমাদের জিবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করুন দয়া করে।

সবকিছু নিয়ে রাজনিতী করবেবনা- প্লিজ। তাহোলে কি মনে করবো, সরকারই চাইছেনা যুদ্ধাপরাধীদেরবিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়া হোক। অনেকেই প্রচন্ড ইচ্ছা থাকা সত্বেও স্বাক্ষ্য দিতে চায়-না শুধুমাত্র পরিবারের কথা চিন্তা করেই। এখানে কি প্রশ্নবিদ্ধ হোয়ে যায়না বিচার প্রসঙ্গটি। আর এই সুযোগটুকু গ্রহণ করছে বিরোধী দল।

আমরা কি তাহোলে আপনাদের রাজনিতী,রাজনিতি খেলার পুতুল হবো? এখনও সময় আছে প্রতিটি নাগরিকের জিবনের নিরাপত্তা দিতে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করুন। আর তা যদি না পারেন অস্রগারের তালা খুলে দিন। সাধারন মানুষ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেস্ট শক্তশালী। এই জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তি প্রজন্ম,আমাদের পুর্ব-পুরুষরাই যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে। ৭১-এর বিজয়ীরা কখনই পরাজিত হোতে পারেনা।

এত বিশাল অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারলে আজকের রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধটাতো কিছুই নয়। বুলবুল ভাই দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বললেন,কোন সন্দেহ নাই তার স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্যই জিবন দিতে হলো তার ছোট ভাইকে। তাহোলে কেনো আমরা স্বাক্ষী দিয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জিবনকে হুমকির মুখে ফেলবো!আমরা কি বুঝবো স্বাধীন বাংলাদেশে গো.আজম,নিজামিরাই বেশি শক্তিশালী। ধীক স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সরকারকে। বিরোধী-দল ঘোষণা দিয়েই রক্ষা করছে যুদ্ধাপরাধীদের।

তাদের সমস্ত দ্বায়-দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজেদের কাধে। কারন তাদের ভোট ছাড়া নাকি ক্ষমতা দখল করা যাবেনা। তারা রাজাকারদের কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে। আর বর্তমান সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হোচ্ছে। তাহোলে কি বুঝবো আমাদের যুদ্ধটা শুধু আমাদেরকেই লড়তে হবে।

হায়রে ক্ষমতা,হায়রে রাজনিতী!! অভাগা বাংলাদেশ। জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.