আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই জমিতে কথাকলির সারাৎসারে স্বপ্ন রোপা- কোপা! কোপারে কবি কোপা!

বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..

উপরোক্ত উদ্ধৃতিটি ব্লগার সুমন চৌধুরির প্রোফাইল থেকে নেয়া হইয়াছে। আলোচ্য উদ্ধৃতিপ্রসুত আন্দোলন কর্মকান্ড হঠাৎ আমার হৃদয়মূলে তাহার ভোতা ও ধারালো উভয় পাশ দ্্বারা যে কোপ বসাইয়াছে তাহা সংক্ষেপে বিবৃত করাই এই লেখার উদ্দেশ্য। সন্দেহাতীতভাবে কবি একটি ঐতিহাসিক প্রত্যয়। ইতিহাস এই সম্প্রদায়ের বর্ণাঢ্য অবদানের নানান চিত্রে ভরপুর। সে সকল চিত্রাদি পুংখানুপৃংখ আলাপের নিমিত্তে অপর একটি মহাকাব্য নির্মাণ আবশ্যক।

অধম বাকী বিল্লাহ সেই কর্মকান্ডের লায়েক নহে। সে শুধু নানা অর্থপূর্ণ অথবা অর্থহীন বাক্য প্রয়োগ দ্্বারা তাহার হৃদয়োচ্ছাসকে হাজির করিতে চেষ্টা করিতেছে। কবি সম্প্রদায় বিষয়ে মহাজন প্লেটোর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বরাবরই এথেনসের গৌরব বিষয়ে সম্যক সচেতন ছিলেন এবং কবিগণ যে আপন হৃদয়ের উস্কানী সহযোগে সেই গৌরবকে কালিমালিপ্ত করতে পারে এমন আশংকা তাহার ছিলো। এ প্রসঙ্গে, মূলত: আদর্শ রাস্ট্রে কবিদের অবস্থান সম্পকে তাহার বক্তব্য ছিলো কিছুটা নিম্নরূপ, কবিগণ আমাদের মহান সম্পদ।

তাহাদের আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। তাহাদের গলায় আমরা পুস্পমাল্য দিবো এবং সারা শহর তাহাদের প্রদক্ষিণ করাইয়া অত:পর শহর থেকে তাহাদের বাহির করিয়া দিবো কারন আদর্শ রাস্ট্রে তাহাদের কোন স্থান নাই। তাহারা রাস্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। কবি বিদ্যাপতি ছিলেন রাজকবি। রাজার প্রশস্তিকারী রাজকবিদের কোন অভাব আমাদের ভুখন্ডে কোনকালেই হয় নাই।

প্লেটো তার সময়কালে এরুপ কবিদের সন্ধান পেলে তাহাদের সম্মান হয়তো করতেন না কিন্তু আদর্শ রাস্ট্রে জায়গা দিতেন নি:সন্দেহে। কবি চন্ডীদাস ছিলেন বিদ্যাপতির ঠিক বিপরীত। বিদ্যাপতি এবং চন্ডীদাসের সাক্ষাৎ নিয়ে এক চমকপ্রদ কাল্পনিক আখ্যান লিখেছেন কবি সুনীল গাঙ্গুলী। পাঠকগণ নিজ দ্্বায়িত্বেতাহা পড়িয়া দেখিতে পারেন। মূল প্রসঙ্গে ফেরত আসিয়া এই অর্থহীন লেখায় ক্ষান্ত দিতে চাহিতেছি।

ইতিহাস আমাদের কবিগণের দুটি ভিন্নরূপের প্রতি দৃষ্টিপাত করায়। কবি কোপান, কবি রোপেন। কবি ঘি-ছানা ও খান। কিন্তু কবি যখন পেট ভরে নানারকম ফলফলাদি ও ব্যঞ্জন দ্্বারা উদরপূর্তি করেন তখন ভবিষ্যতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে। রাজন্যবর্গের প্রশস্তি রচিত হতে থাকে বস্তাকে বস্তা।

কবি পেটে ক্ষুধা আর হাহাকার নিয়ে কোপাতে থাকবেন আজীবন, আর আমাদের স্বপ্নের মাঠ উর্বর হবে। মাঠ উর্বর হলে ফসল তো কখনো না কখনো ফলিবেই। আসন্ন ডিসেম্বরে কবিগণ, খড়গ ধাঁর দিয়া কোপানোর জন্য তৈয়ার হন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।