আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালচাড়াল শক।

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারনে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মাঝে মাঝে, এখন যেখানে আছি সে দেশে আবার পদবির সামনে মিঃ লাগিয়ে সম্বোধনের নিয়ম, আবার কিছু কিছু স্থানে ফার্সট নেমের সামনে মিঃ লাগিয়ে সম্বোধনের নিয়ম। আমার এক প্রিয় বান্ধবি একবার আমাকে বললো তোমাদের ওখানের রীতি কি? তোমরা কিভাবে বড়দের সম্বোধন করো? আমি চিন্তিত হয়ে বললাম সচারাচর মামা চাচা ভাই দাদা খালা এইসবই চলে , বড়দের নাম ধরে ডাকলে সচারাচর তাদের সম্বোধনের শেষে কোনো একটা সম্পর্কসূচক পদও লাগানো হয়। তাই আমাদের হাজার হাজার মামা চাচা খালা ভাই থাকে। আমাকে প্রশ্ন করার কারন ছিলো তার সদ্য কথা বলতে শেখা মেয়েকে ঠিক কোন পদ্ধতিতে বড় করে তুলবে এটা নিয়ে। বেশ কয়েক বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে আড্ডা দেওয়ায় একটা বাজে অভ্যাস গড়ে উঠেছিলো, একা খেতে না পাড়ার ব্যামো।

বাসায় আমি যেসময় খেতাম সে সময় ভদ্্রলোকেরা সবাই রতিঃক্রিয়া সেড়ে ঘুমাতো। যারা অতিরিক্ত পবিত্রতাবাদী তাদের স্লানের শব্দ ঝংকারের সাথে আমার রাত্রিকালীন খাওয়া চলতো। তবে দুপুরে কিংবা বিকালে খাওয়া হতো সদলবলে। এখানে আসার পর এই এক ঝামেলায় সারাক্ষন সঙ্গি খুঁজতাম, কার সাথে দুপুরে খাওয়া যায়। কেউ সঙ্গি না হলে উপাস থাকার মতো অবস্থা।

এক দিন সন্ধ্যায় ক্লাশ শেষ তখন চোখে াপন্ধকার দেখছি ক্ষুধায়। অফিসে কেউ নেই, আমার অফিস মেট আসলো, তাকে বললাম আমার ক্ষুধা লাগছে চলো একসাথে খেতে যাই। সে উত্তর দিলো আমার আজকে ডিনার আছে। আমি নাছোড়বান্দা বললাম আরে বাবা ডিনারের ক্ষতি হবে না, সামান্য কিছু স্ন্যাকস খেয়ে চলে আসবে, কিংবা একটা কোক, একা খেতে ইচ্ছা করছে না বলেই তোমারে অনুরোধ করতেছি। সে ভাঙা রেকর্ড পূনরায় বাজালো, আমার আজকে ডিনার আছে ।

আমি বুঝলাম, পরে একজন আমাকে জানালো এই ডিনারের কথা শুনলে আর অনুরোধ করতে নেই, ওটা অভদ্্রতা, এখানে ছেলে মেয়েতে ডিনারে যাওয়া মানে কিছু রসায়ংহটিত বিষয়াসয় বিদ্যমান। এর পর থেকে আর কাউকেই ডিনারের কথা বলি নি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য দৃশ্য দেখেছি গাওসিয়ায়। এক দিন এক বন্ধুর সাথে গেলাম, উদ্দেশ্য তার জন্য জামা কেনা এবং চপ্পল কেনা এবং আরও কিছু, মেয়েদের সাথে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই আরও কিছু টুকিটাকি কিনার কথা বললে না যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ, আমার অবশ্য অখন্ড অবসর ছিলো তাই অপচয়ে কৃপনতা করি নি। সেখানে ভয়ংকর ভীড়।

একপা হাঁটলেই মেয়েদের সাথে ধাককা লাগার সম্ভবনা। ওসব এড়িয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছি, দেখলাম এক ছেলে মেয়ের স্তন ধরে হাঁটছে, এবং মেয়েটা পাত্তা না দিয়ে গল্প করতে করতে আগাচ্ছে, এমন একটা দৃশ্য বেশ অপরিচিত, বরং বাংলাদেশের পরিচিত দৃশ্যের কাতারে এই বিষয় পড়ে না মোটেও। আমি হাঁ করে তাকিয়ে ভেবে বের করলাম, এই গাওসিয়ায় একদল স্তনলোভী মানুষ ঘুরে, তাদের কাজই হলো সুযোগ পেলেই মেয়েদের বুকে আর পাছায় হাত দেওয়া, তাই এই মানব বর্ম পেছনে দাড়িয়ে পাছা সামলানো এবং নিজের প্রেমিকার স্তন অনাক্রান্ত রাখতে প্রেমিক খুব ব্যাস্ত হয়ে বন্ধনির কাজ করছে। সেই বক্ষবন্ধনী হাতের মালিককে হাজার সেলাম।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.