সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com কয়েক মাস আগে ভারতের বিখ্যাত (আসলে কুখ্যাত) বাল ঠাকরে মারা যান। বাল ঠাকরে কে সকলেই চেনেন আশা করি। তার মারা যাওয়াতে শোক পালনের জন্য ৩ দিন মহারাষ্ট্র বন্ধ থাকে। সেই সময় একটি মেয়ে ফেসবুকে স্টেটাস দেন- 'বাল ঠাকরের মতো লোক প্রতিদিন মুম্বাইয়ে হাজারটা জন্ম নেন। তার জন্য তিন দিন শোকপালনের কি দরকার'।
ব্যাস, তার সাথে কি হয়নি তা বলেন !! তার কাকার ক্লিনিক ভাংচুর হয়, বাড়িতে পাথর চালানো হয়। আরো কত কি। মেয়েটির নামে থানাতে কেসও হয়। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার জন্য মেয়েটির উপর মামলা করা হয়। পুলিশ মেয়েটিকে গ্রেফতার করে।
ঐ পোষ্টে মেয়েটির এক বান্ধবী লাইক দেন বলে তাকেও পুলিশে গ্রেফতার করে।
আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশে কি ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনা, বা ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করা প্রসঙ্গে কোন আইন নেই। যদি থাকে তবে মুসলিম ব্লগার বা সংগঠনরা চুপ কেন?
আর যদি কোন আইন না থাকে তবে বাংলাদেশী মুসলিমদের অবস্থা তো আমাদের থেকেও খারাপ। কারণ ভারতে ইসলামের অবমাননা খুবই কম হয়।
দাঙ্গার সময় অনেক মুসলিমরা মারা যায় এটা ঠিক।
কিন্তু তাতো সংখ্যার কারণে। সংখ্যালঘুরা সবসময় মারা যাবে বেশি। বাংলাদেশি দাঙ্গায় হিন্দু বেশি মারা যাবে, আমেরিকার দাঙ্গায় ইহুদি বা মুস্লিম বেশি মারা যাবে।
কয়েক বছর আগে কলকাতার একজন লেখক নবীজী সা. কে লুচ্চা বলে একটি বই লেখেন যা খুব শীঘ্রই ব্যান করা হয়। সলমন রুশদির মিডনাইট চিল্ড্রেন্সকেও ভারতই প্রথম ব্যান করে।
সাম্প্রতিক আক্ষয় কুমারের খিলাড়ি ৭৮৬ এর ব্যাপারে কিছু মুসলিম অভিযোগ করলে নাম পালটে খিলাড়ি নং ৭৮৬ করা হয়। ছোট ছোট অনেক বেপারেই সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেই।
আমি মনে করি বাংলাদেশি মুসলিমদের আসিফের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।