আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিলিজিয়াস সিম্বলজি: ক্রস ও ক্রুসিফিক্সন

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

"আমি শুধু ঠিক, বাকি সবাই ভুল" - ধর্মে এই ধরনের মতবাদকে বলা হয় এক্সক্লুসিভ ডকট্রিন। কোন ধর্মের পরম পুরুষদের ভিতরেই এই ধরনের মানসিকতা ছিলো না। তারপরেও পরিশেষে দেখা গেছে কালের বিবর্তনে হিংসা, বিদ্্বেষের কারনে অনুসারীদের মাধ্যমে এক্সক্লুসিভনেসের আগমন ঘটেছে সব ধর্মে। ইসলাম ধর্মে পিপল অফ দি বুক বলে খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মকে এবং সাবিয়ান বলে (খুব সম্ভবত) জোরোয়াস্ট্রিয়ান ধর্মকে (অনেক স্কলারের মতো এটি বৌদ্ধ ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকেও বুঝায়) এবং ধর্মের অনুসারিদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি খ্রিস্টান সাধুদের বিশেষ সন্মানও দেখানো হয়েছে কুরআনে যাতে নিবের্াধ আরবরা ধর্মের অযুহাতে তাদের উপাসনালয়কে ধ্বংস না করে।

একটা ইনক্লুসিভ সহিঞ্চুতা সব ধর্মের ভিতরেই আছে। কারন যে পরম পুরুষদের হাত ধরে ধর্মের বাণীগুলো রচিত হয়েছে সেই মানুষগুলো পরম মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তারা মানুষকে এক করতে এসেছিলেন, বিভক্ত করতে নয়। ফলে তারা সবসময় ইনক্লসিভ মনোভাব ধারন করলেও অন্ধ অনুসারীদের কাছে সেটা এক্সক্লুসিভতায় রূপ নিয়েছে। আসল প্রসঙ্গে এবার আসি।

ইসলাম ধর্মে এক্সক্লুসিভতার একটা অন্যতম উদাহরন হচ্ছে অন্য ধর্মের প্রতীকের প্রতি ভুল বোঝাবুঝি, ঘৃণা ছড়ানো মানসিকতা। বানোয়াট বিভিন্ন মতবাদের সংমিশ্রনের প্র্রভাব পড়েছে খ্রিস্টান ধর্মের ক্রুশের উপরেও। কাঠমোল্লারা তাই ক্রুশকে বিদাতের একটা অংশ হিসেবে দেখে। যদিও তাদের অধিকাংশ ব্যক্তিই ক্রুশের প্রকৃত প্রতীকি অর্থটি বোঝে না। একই দোষে দুষ্ট অন্ধ খ্রিষ্টানরাও।

ক্রুশের যে প্রতীকি অর্থ সেটা তাদের অনেকের কাছেই অজানা। ক্রুশ হলো নাফস বা false self তার বিনাশের প্রতীক। ক্রুশের আকারটা ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন একটা লম্বা কাঠের উপরে আড়াআড়ি আরেকটা কাঠ চলে গেছে। লম্বা কাঠটি আই বা আমিত্ব (নাসফস) ধারন করে। আড়াআড়ি কাঠটি সেটাকে নেগেট করে বা কেঁটে দেয়, আমিত্বকে বিসর্জন বা কুরবানী দেওয়ার প্রতীক।

রিলিজিয়াস সিম্বলজির মাস্টার হলো মরমীরা। এরকম এক মরমী সুফি ইনায়েত খান ক্রুশের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছেন: The real meaning of crucifixion is to crucify the false self, that the true self may rise. As long as the false self is not crucified, the true self is not realized.। "যে নিজেকে চেনে সে খোদাকে চেনে "- নবী মুহাম্মদ (সালাম) যে নিবিড় মরমী কথাটি বলে গেছেন তার সাথেও ক্রুশের প্রতীকি অর্থের সম্পর্ক আছে। নিজের মিথ্যা ইগোকে কুরবানী করার অন্যতম প্রতীক এটি। আরো গভীর সিম্বলজিতে যদি যাই তবে মুর্শিদ স্যামুয়েল লুইসের কথায় আসা যায়।

তবে তার কথা একটু উপরের স্তরের। তিনি ক্রুশের প্রসঙ্গে বলেছেন: The Cross is the symbol of Light. The vertical line is the way by which Light passes from Source to manifestation and also the way by which energy returns from manifestation to Source. This is seen in the breath. The horizontal line is caused by the action between the lower and upper currents and forms the mind-mesh. The Cross has two forms, one like the letter 'T' in the European languages. This represents the crucifixion of the soul in matter. The energy does not pass above the horozontal line. It strikes it and returns again to the earth-plane. This action is called Karma, and it brings to one the results of all speech, thought and action. পরিশেষে একটা ফারসী কবিতার ভাবানুবাদ থেকে মিথ্যা ইগোর কুরবানী সম্পর্কে একটা চমৎকার কাহিনী পাওয়া যায়। When I went to the gate of the divine Beloved and knocked at the door, a voice came and said - Who art you?' When he had told, 'I am so and so', the answer came, 'There is no place for anyone else in this abode. Go back to where you come from'. He turned back and then, after a long time, after having gone through the process of the cross and of crucifixion, he again went there - with the spirit of selflessness. He knocked at the door; the word came, 'Who are you?', and he said, 'Yourself alone, for no one else exists but You'. And God said, 'Enter into this home for now it belongs to you'. এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া যায় নবীর একটা হাদীসের কথা যেখানে তিনি বলেন, যার অন্তরে সামান্য পরিমান অহংকার (মিথ্যা নাফসের ধোঁকা) অবশিষ্ট থাকবে তার পক্ষে বেহেস্তে প্রবেশ সম্ভব হবে না। [link|http://mysticsaint.blogspot.com/2006/02/real-meaning-of-crucifixion.html|

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।