আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উলটো রথ ঃঃ আসছে গনমাধ্যম শাসনের আইন

আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।

কত বিচিত্র না আমাদের এই দেশ!!! বিএনপি সরকারের গত নির্বাচনের ইশতেহারের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে গনমাধ্যমের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করবে। টেলিভিশন-রেডিও যে যার নিজের মতো কাজ করতে পারবে। দুই একজন সচেতন নাগরিক হয়তো এই সব প্রতিশ্রুতিতে ধরা খেয়ে তাদেরকে দুই একটা ভোটও দিয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে।

স্বায়ত্বশাসন কই? কত দূর? হাহাহাহাহাহাহা .... জটিল প্রহসন। বাংলাদেশে এখন কতজন শতাংশ টেলিভিশন দর্শক বাংলাদেশ টেলিভিশন কিংবা বাংলাদেশ বেতার শুনে আমার সন্দেহ আছে। নিলজ্জ দলীয়করন আর নিন্মমানের অনুষ্ঠান আর হাজারো দেশি বিদেশী বেসরকারী চ্যানেলের দাপটে ওই দুইটি সরকারী চ্যানেল কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ডে টেলিভিশন কেনার সময় ক্রেতাকে অবশ্যই তার বাসার ঠিকানা দিতে হয় এবং ঠিক সময়ই টিভির লাইসেনসের কাগজ বাসায় পৌঁছে যায়। অধিকাংশ সময়ই টেলিভিশনের চেয়ে লাইসেনসের ফি বেশি, তবুও টাকা পরিশোধ করতে হয় নতুবা কের্াটের সমন জারি হতে বেশি সময় লাগে না।

আবার টেলিভিশন ফ্রিকোয়েনসি কার প্রায়ই জনঅধ্যুসিত এলাকাগুলো অতিক্রম করে পরীক্ষা করে দেখে কাদের বাসায় টেলিভিশন আছে এবং কারা কারা ফি পরিশোধ করেছে। এই ফি'র টাকা শুনেছি পুরোটাই বিবিসি তার ব্যয়ে ব্যবহার করে। অথচ আমরা টেলিভিশনের লাইসেনস পরিশোধ করি না। এই কারনেই হয়তো বিটিভির কলাকুশলীদের সন্মানী 25 টাকা থেকে শুরু। ফার্মগেটের ফকিরও দিনে কমপক্ষে 125 টাকা কামাই করে।

যেই দেশে গুনীর সন্মান নেই, সেই দেশে গুনী জন্ম নিতে ভূলে যায়। তারপর আবার টিভি, রেডিওতে সরকারের শাসন, সারাদিন ফাঁকা একটা স্টেজে সু্যটের বুটের ভুড়িওয়ালা অখ্যাত গায়ক গেয়েই চলেছে জিয়া বন্দনা। আর বিখ্যাত আটটার সংবাদ শুনলে তো মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আর তার চ্যালাচামুন্ডারা ছাড়া এইদেশে কোন জনমনুষ্যিই নাই। চারিদিকে শুধু উন্নতির জোয়ার, ভেসে চলেছি অথচ ঘরে পানি নাই। আর রাজনীতির প্যাঁচে পড়ে সবার প্রিয় একুশে টেলিভিশন কাওয়ান বাজারেই ওই দালানটাতেই আটকে আছে।

আজকের [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িঢ়ৎড়ঃযড়স-ধষড়.হবঃ/া1/হবযিঃসষহবংি1/পধঃবমড়ৎু.ঢ়যঢ়?ঈধঃবমড়ৎুওউ=1্উধঃব=2006-08-05]প্রথম আলো[/লিংক] পড়ে জানতে পারলাম দেশের স্বাধীনতা, সার্বভোমত্ত্বের অজুহাতে নতুন কঠোর আইন আনছে সরকার। প্রস্তাবিত আইনের 20 ধারায় বলা হয়েছে [গাঢ়]সরকার যে কোন স্থানে এবং যে কোন সময়ে, জনস্বার্থে চ্যানেলের সংখ্যা নিধর্ারন, পরিবর্তন বা যে কোন চ্যানেল বন্ধ ঘোষনা করতে পারবে। [/গাঢ়] এই দিকে সরকারের মন্ত্রীদের নতুন ব্যবসার শুরু হয়েছে, তারা নতুন নতুন চ্যানেল আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত। অথচ রাজনীতির প্যাচেঁ পড়ে জনপ্রিয় একুশে টেলিভিশন কাওরানবাজারের দালানটাতেই আটকে আছে। কি আর বলবো, জ্ঞানী সব চুপ থাকুন।

লাগ ভেলকি লাগ ... হাতে পায়ে চোখে মুখে লাগ!!! সূত্রঃ [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িঢ়ৎড়ঃযড়স-ধষড়.হবঃ]প্রথম আলো[/লিংক]

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.