আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃতু্য কত সহয

ঘুমিয়ে পড়ার আগে......

আমি রাবু ভাইয়ের কথা বলছি । 1990 এর দিকে আমরা উনাদের এলাকয় আসি। রাবু ভাই এক সময় ছাএ রাজনীতি করতেন । আমরা এসেই শুনলাম উনাকে নাকি কারা গলির মুখে ছুরি মেরে ফেলে রেখেছে। সেই যাএা বেঁচে গেলেন।

তারপর নিজের চোখেই একদিন দেখলাম এলাকার পাহার থেকে কারা যানি গুলি করল,সেই যাএা ও বেঁচে গেলেন তিনি। আসলে উনার যে এত কঠিন মৃত্যু ছিল না। দেখা হলেই বলতেন মামা কেমন আছ। তা নিয়ে বাসাই কত হাসাহাসি আমাকে ও মামা ডাকে আব্বাকে ও মামা ডাকে। পরবর্তিতে রাজনীতি ছেরে দিলেন,প্রেম করে বিয়ে করলেন।

উনার বড় ছেলে স্বাধীন কাস 4 এ পরে,মেঝ মেয়ে কাস 1এ আর ছোট মেয়ে টা এখন কোথাও ভর্তিহয় নি। কাল সকালে নিযে ঢাকা থেকে গারি চালাই আসলেন ,ইলিস মাছ কিনলেন সাতশ টাকা দিয়ে,মা কে বলল মা মাছ রাঁধ রাতে মাছ দিয়ে খাব। বিকালে বলল শরীর খারাপ লাগছে,মেডিকেলে নিতে নিতে 38 বছর বয়সে দুনিয়া ছেরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আর বলবে না মামা কেমন আছ। উনার যানাযা থেকে আসার সময় দেখলাম উনার মেঝ মেয়ে খেলছে।

সে ত বুঝতেছেনা সে কি হারাল। ভাবতে অবাক লাগে একসময় উনাকে মারার যন্য কত চেষ্টা,আর আজকে উনাকে বাঁচানোর যন্য চেষ্টা করার ও সুযোগ দিলেন না। আসলে দুনিয়া তে বেঁচে থাকাই কঠিন মারা যাওয়া সহয । আল্লাহ উনি ত তোমারি বান্দা তুমি উনারে মাফ কইরা দাও ,উনার পরিবারের সহায় হয়ে যাও। (দুপুর 2টা...12.06.06 চট্রগ্রাম)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।