আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থার্ড জেনারেশন বা থ্রিজির সাতকাহন

সর্বপ্রথম জাপানে বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের ২৫টি দেশে ৬০টির মতো থ্রিজি নেটওয়ার্ক রয়েছে। হাইস্পিড প্যাকেট অ্যাঙ্সে (এইচএসপিএ) টেকনোলোজির সাহায্যে চালিত থ্রিজি নেটওয়ার্ক এর আগের টুজির চেয়ে আরও অনেক বেশি গতিসম্পন্ন। এর মানে অডিও, গ্রাফিঙ্ ছাড়াও থ্রিজি কাস্টমাররা থ্রিজি কভারেজ এলাকায় ভিডিও আদান-প্রদান করা যাবে।

থ্রিজিতে চলতি পথেই দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং ডাটা সার্ভিস পাওয়া যায়।

থ্রিজিতে ভিডিও কলসহ আরও নানা ধরনের মাল্টিমিডিয়া সার্ভিস ব্যবহার করা যায়, যা টুজিতে সম্ভব নয়। থ্রিজি কানেকশন এবং একটি থ্রিজি কভারেজ আছে, এমন এলাকায় থ্রিজি ব্যবহারযোগ্য মোবাইল ফোন থাকলেই থ্রিজির সুবিধা উপভোগ করা যাবে। থ্রিজি দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়। পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে রিয়েল টাইমে মুখোমুখি ভিডিও কলে কথা বলা যায়। সুপার ফাস্ট পেজ লোডিং টাইমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

এমনকি বড় বড় ফাইল প্রচণ্ড দ্রুতগতিতে ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়।

বিশাল সব অ্যাটাচমেন্টসহ মেইল পাঠাও বা রিসিভ কর। ইন্টারঅ্যাকটিভ এইচডি গেম ডাউনলোড করে অনায়াসেই খেলা যায়। তবে থ্রিজির স্পিড কিছু বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। স্পিড নির্ভর করে হ্যান্ডসেট, কাভারেজ, নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এবং ওই নির্দিষ্ট সময়ে কতজন থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার হচ্ছে তার ওপর।

থ্রিজি থাকলে মোবাইলে স্ট্রিমিং ভিডিও দেখা এবং মোবাইলেই ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়াও নিজের বানানো কনটেন্ট যেমন মোবাইলেই রেকর্ড করা ভিডিও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে।

অন্যদিকে মোবাইল ব্রডব্যান্ড চলন্ত অবস্থায়ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং ডাটা সার্ভিস দেয়। শুধু একটি থ্রিজি হ্যান্ডসেট এবং হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করার জন্য থ্রিজি কানেকশনে সাবস্ক্রাইব করা লাগবে। এক কথায় যোগাযোগ মাধ্যমকে আরো ডিজিটালাইজেশন করবে এ থার্ড জেনারেশন বা থ্রিজি।

বর্তমানে বাংলাদেশেও লেগেছে থ্রিজির ছোঁয়া। ইতোমধ্যে টেলিটকের মাধ্যমে পদচারণা ঘটেছে এ যুগের। সম্প্রতি এ জগতে নাম লিখিয়েছে গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, বাংলালিংক ও রবি। শীঘ্রই এ চারটি অপারেটর তাদের থ্রিজির কার্যক্রম ও সেবা শুরু করতে যাচ্ছে। * ইনফো ডেস্ক

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।